ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

এই সরকার যতদিন আছে ততদিন কালো টাকা সাদা করার আইন বলবত থাকবে;###;রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা উচ্চাভিলাষী বলে মেনে নেন

বিনিয়োগে ইতিবাচক ধাক্কা ॥ বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:১৪, ৪ জুন ২০১৬

বিনিয়োগে ইতিবাচক ধাক্কা ॥ বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রাকে ‘অবশ্যই উচ্চাভিলাষী’ বলে জোর দিয়ে উল্লেখ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বলেছেন, গত বছর রাজস্ব আদায় ‘নিম্নমানের’ হলেও আগের বছরের পুরো সময় তা দুই অঙ্কের উপরে ছিল। তাই এবার ৩০ শতাংশ অতিরিক্ত কর আদায়ের কার্যক্রম নিজেই শুরু করে সফল করার কথাও বলেছেন অর্থমন্ত্রী। জাতীয় সংসদে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করার পরদিন শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে গত সাত বছরে ঘোষিত বাজেটের ৯৫ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে। এর আগে কোন সরকারের বাজেট বাস্তবায়ন ৮৮ শতাংশের বেশি হয়নি। গত দেড় বছরে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা তৈরি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগে বড় ধরনের ‘ইতিবাচক ধাক্কা’ লেগেছে। কালো টাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ সরকার যতদিন আছে ততদিন কালো টাকা সাদা করার আইন বলবৎ থাকবে। এটা নিয়ে অহেতুক প্রশ্ন করার কোন প্রয়োজন নেই। বর্তমান সরকারের প্রবীণ এ মন্ত্রী বলেন, বিএনপি আগের মতো এবারও বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়াশীল মন্তব্য করছে। মূলত রাজনীতির প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ না থাকার কারণেই তারা এমন মন্তব্য করে আসছে। রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেনÑ বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, অর্থ প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সচিব ও উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা উচ্চাভিলাষী কিনাÑ এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, অবশ্যই উচ্চাভিলাষী। আমি নিজেই বলেছি উচ্চাভিলাষী। গত বছরের রাজস্ব আদায় বেশ নিম্নমানের ছিল। এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে গত দুই অর্থবছরের রাজস্ব আদায় পরিস্থিতির তুলনা দেখিয়েছেন তিনি। বলেছেন, গত বছর রাজস্ব আদায় ‘নিম্নমানের’ হলেও আগের বছরের পুরো সময় তা দুই অঙ্কের উপরে ছিল। তিনি বলেন, আমি সাত বছর ধরে এ মন্ত্রণালয়ে আছি। সাত বছরে রাজস্ব আদায়ের ক্ষমতা বহুগুণে বাড়ানো হয়েছে। কয়েক হাজার লোক নিয়োগ হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ৯৬টি উপজেলায় কর অফিস হয়েছে। এটা প্রতিটি উপজেলায় হবে। কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এনবিআরের সক্ষমতা রয়েছে। এজন্য আরও অতিরিক্ত ৩০ শতাংশ কর আদায়ের প্রস্তাব করেছি। কিছু কাজ করতে হবে। জুলাই মাস থেকে সে কার্যক্রম শুরু হবে। আমি নিজেই এ কার্যক্রম শুরু করব এবং এটা সফল করব। সংবাদ সম্মেলনে মুহিত বলেন, সব দেশের চেয়ে আমরা সব থেকে কম আদায় করি। আমাদের হ্যাবিটটা চেঞ্জ করা দরকার। রাজস্বের দিকে নজর দিতে হবে। কারণ আমরা সব সময় সরকার কী সেবা দিল তা নিয়ে হৈচৈ করি, দাবি করি। কিন্তু সরকার সেবা দিতে গেলে যে রাজস্ব প্রয়োজন সেটা নিয়ে মোটেই মাথা ঘামাই না। তাই একটু রাজস্ব বেশি দিলে মন্দ হয় না। অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের গড়ে ৯৫ শতাংশ বাজেট বাস্তবায়ন হয়েছে। কোন সরকারের বাজেট বাস্তবায়ন ৮৮ শতাংশের বেশি হয়নি। কর্পোরেট কর কমিয়ে উৎসে কর বাড়ানো হয়েছে, এতে কোন লাভ হয়েছে কিনাÑ জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যবসায়ীরা এ বিষয়ে সন্তুষ্ট। সুতরাং উৎসে কর বাড়ানোর পরিকল্পনা যৌক্তিক। গত অর্থবছরে ৮৭টি পণ্যের দাম কমানো হলেও সত্যিই দাম কমেছে কিনাÑ এমন প্রশ্নের জবাবে মুহিত বলেন, গত সাত বছর ধরে পণ্যের দাম বাড়ে না। এ বছর দাম কমছে। প্রধান কারণ দুটি। তেলের দাম বিশ্ববাজারে কম। ফলে সব পণ্যের দাম কম। এর প্রভাব অবশ্যই বাজারে থাকবে। জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, তেলের দাম কিছুটা কমিয়েছি, এটা চলমান। আমি এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীকে কিছুটা উপদেশ দিয়েছি। আর যেহেতু সেটা আলাদা মন্ত্রণালয়, দামের বিষয়টি তারা বিবেচনা করবে। তিনি বলেন, তেলের দাম কিন্তু আবার ৫০ ডলারে পৌঁছেছে। সেজন্য তেলের দাম আকস্মিকভাবে নামলে তা সাবধানতার সঙ্গে পর্যালোচনা করা উচিত। মোবাইলে কথা বলার ওপর ট্যাক্স বসানোর বিষয়ে প্রবীণ এ মন্ত্রী বলেন, আগে সিমের মাধ্যমে যে ট্যাক্স আসত এখন তা আসে না। ১৩ কোটি মানুষের মোবাইল আছে। এর বেশি হবে না। তাই এখান থেকে আর বেশি আয় সম্ভব নয়। তাই কথা বলার ওপর ১ শতাংশ বেশি ট্যাক্স দিতে কেউ দ্বিমত করবেন না। এর মাধ্যমে একটু বেশি রাজস্ব আয় করতে পারব। অর্থমন্ত্রী বাজেট উপস্থাপনের পর বৃহস্পতিবার রাতেই জাতীয় রাজস্ব বোর্ড একটি এসআরও জারি করে, যাতে মোবাইল ফোনের সেবায় সম্পূরক শুল্ক ৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করার কথা বলা হয়। ওই এসআরও পাওয়ার পরপরই মোবাইল অপারেটররা গ্রাহকদের কাছ থেকে নতুন হারে টাকা কাটা শুরু করেছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে জেলা বাজেট বাদ দেয়া হলো কেনÑ এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, জেলা বাজেটের উদ্দেশ্য ছিল টু এ্যাসেস একটা জেলায় কতটা কাজ করছি। অদূর ভবিষ্যতে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় একটা পরিবর্তন আনতে হবে। বাজেট বাস্তবায়ন হবে জেলা পর্যায়ে। এজন্য জেলা বাজেট একটা টেস্ট ছিল, সেটা আমরা শেষ করেছি। আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমাদের একেকটি জেলা একেকটি দেশের সমান। জেলায় এমন অবস্থান তৈরি করতে হবে যাতে জেলাই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। জেলা পরিকল্পনা করবে, বাস্তবায়ন করবে। কেন্দ্রীয় সরকার রেখে এটা করা যাবে। এজন্য রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত দরকার, কিভাবে করবেন। দেশে বিদেশী বিনিয়োগ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমার মনে হচ্ছে, বিনিয়োগে একটা ইতিবাচক ধাক্কা এসেছে। অভ্যন্তরীণ ও বিদেশী বিনিয়োগ বেড়েছে। গত বছর দুই বিলিয়ন ডলার বিদেশী বিনিয়োগ হয়েছে। কারণ গত দেড় বছর ধরে দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা তৈরি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, দেশে এখন কোন ধরনের অবরোধ-হরতাল না থাকায় অনেকে বিনিয়োগে আগ্রহী হচ্ছে। তাছাড়া মানুষ এখন অবরোধ-হরতালে আগ্রহী নয়। কারণ দেশের শ্রমশক্তি এখন এত বলবান যে, তারা কোন ছুটি চায় না। শুধু কর্মপরিবেশ চায়। এক সাংবাদিকের প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী স্বীকার করেন, সরকার গত ছয় বছরে কর্মক্ষম সবাইকে চাকরি দিতে পারেনি। তবে বর্তমান সরকারের সময় কর্মসংস্থানের তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমরা মনে হয় কর্মসংস্থানে আমরা টার্গেট অনুযায়ী পিছিয়ে নেই। বেসরকারী খাতে পেনশন সুবিধা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে আমাদের কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর মাত্র ৫ শতাংশ সরকারী চাকরিতে নিয়োজিত আছেন, যাদের জন্য পেনশন সুবিধা রয়েছে। অন্যদিকে ব্যক্তি খাতের ৯৫ শতাংশের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে নিযুক্ত প্রায় ৮ শতাংশের কিছু অংশ গ্রাচ্যুইটি সুবিধা পেলেও বাকিদের জন্য কোন পেনশন বা গ্রাচ্যুইটি নেই। এ প্রেক্ষাপটে সকল শ্রমজীবী জনগোষ্ঠীসহ প্রবীণদের জন্য একটি সর্বজনীন ও টেকসই পেনশন পদ্ধতি প্রবর্তন এখন সময়ের দাবি। অপ্রদর্শিত আয় বিনিয়োগের সুযোগ সম্পর্কে এক প্রশ্নে মুহিত বলেন, আমাদের নিয়মিত আইন আছে যেটাতে স্টেটমেন্ট কিছু ফাইন দিয়ে রিভাইস করা যায়। এটা থাকবে। তাই কালো টাকা নিয়ে আমি চুপ আছি এর কোন মানে হয় না। এ সরকার যতদিন থাকবে ততদিন কালো টাকা সাদা করার সুযোগ উঠছে না। এ সুযোগ বলবৎ থাকবে। যে কোন কালো টাকা জরিমানা দিয়ে বৈধ করা যাবে। জিডিপি প্রবৃদ্ধি প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, জিডিপি বাড়াতে হলে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে এটা সত্য। কিন্তু আমাদের জিডিপি বাড়াতে শুধু যে বিনিয়োগ দরকার সেটা নয়। মাথাপিছু আয়ও বাড়াতে হবে। বিদেশী বিনিয়োগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আশার কথা হলো, দেশে বিনিয়োগ কমেনি। আমাদের জিডিপি বাড়াতে শুধু যে বিনিয়োগ দরকার তা নয়, ২০২০ সালের মধ্যে মাথাপিছু আয় বাড়িয়েও আমরা জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ০২ শতাংশ অর্জন করতে পারব এবং তা সম্ভবও। পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, এখন দেশে মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ১ কোটি ৮৪ লাখ ৭৭১ কোটি টাকা। অতীতের তুলনায় দেশে বিনিয়োগ বেড়েছে। এ সময় তিনি পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশের জিডিপি ও বিনিয়োগোর তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরেন। একই প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমেদ বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন উপলব্ধি করতে হবে বিভিন্ন সূচক দিয়ে। আমরা এর আগে বলেছি চলতি বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ, যা বিশ্বব্যাংকও গ্রহণ করেছে। তাহলে দেশে বিনিয়োগ না হলে জিডিপির এ প্রবৃদ্ধি কিভাবে হচ্ছে? সুতরাং বাজেটে যা উল্লেখ করা হয়েছে তা সঠিক। তবে কিছু জায়গায় সংশোধন করা হতে পারে। সর্বোপরি চমৎকার বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে। বাজেটের দুই ধরনের বিশ্লেষণ তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, একটি প্রতিক্রিয়াশীল বিশ্লেষণ, আরেকটি হচ্ছে প্রগতিশীল বিশ্লেষণ। বিএনপি আগের মতো এবারও বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়াশীল মন্তব্য করছে। মূলত রাজনীতির প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ না থাকার কারণেই তারা এমন মন্তব্য করে আসছে। এদিকে সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেয়া বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদও একই ধরনের মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, বাজেট নিয়ে বিএনপির প্রতিক্রিয়া সত্যিই দুঃখজনক। বাজেট হয়েছে প্রগতিশীল ধারায় আর বিএনপি মন্তব্য করেছে প্রতিক্রিয়াশীল ধারায়। বাজেটটি গণমুখী দাবি করে তোফায়েল আহমেদ আরও বলেন, বিএনপির যিনি বা যে নেত্রী বাজেট নিয়ে এ এমন মন্তব্য করেছেন, তিনি হয়ত বাজেট বক্তৃতা শোনেননি অথবা পড়েননি। অনেকেই বলেন, বাজেট উচ্চাভিলাষী। বাস্তব কথা হচ্ছে, উচ্চাভিলাষী না হলে উপরে ওঠা যায় না। যেমন, বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীনের স্বপ্ন দেখেছিলেন বলেই বাংলাদেশ পেয়েছি। তখন অনেকেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে উচ্চাভিলাষী বলে মন্তব্য করেছিলেন। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই অর্থমন্ত্রী বলেন, সংসদে ৯০ পৃষ্ঠা (বাজেট বক্তৃতা) পড়ার পর আজ (শুক্রবার) বক্তৃতা দেয়া উচিত নয়। যারা প্রশ্ন করতে চান তাদের কাছে দায়িত্ব ছেড়ে দিতে চাই। সংবাদ সম্মেলনে তিনি দুটি দৈনিক পত্রিকার সমালোচনা করে বলেন, একটিতে বলা হয়েছে, ‘নারীর উন্নয়নে জিডিপির ৪.৭ শতাংশ’। এর মতো নির্বোধ কমেন্ট আর কেউ করতে পারে না। এখনও মেয়েদের অর্থনৈতিক কর্মকা-ে আমাদের দেশে ৫১ শতাংশ নারী। বাজেটে তাদের সে রকম শেয়ার। বাস্তবে সে রকম হয় না। শ্রমশক্তিতে তারা সমান নয়। বাজেটের ৩০ শতাংশ তাদের জন্য সবাই গ্রহণ করবেন। আরেকটি পত্রিকার সমালোচনা করে মুহিত বলেন, দেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশে আছে। জাতিসংঘের কমিটি ঘোষণা দেয় কখন কোন দেশ মধ্যম আয়ের দেশ হলো। এটার সঙ্গে মধ্যম আয়ের দেশের কোন সম্পর্ক নেই। কমিটির ২০১৮ সালে সভায় আমাদের অগ্রগতি স্বীকার করে তারা মধ্যম আয়ের দেশ ঘোষণা করবে।
×