ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মার্কিন রিপোর্ট

আইএস এখনও বিশ্বের সবচেয়ে বড় হুমকি

প্রকাশিত: ০৩:৪৪, ৪ জুন ২০১৬

আইএস এখনও বিশ্বের  সবচেয়ে বড় হুমকি

ইসলামিক স্টেট (আইএস) সন্ত্রাসী গ্রুপ বেশ কিছুসংখ্যক বিদেশী সন্ত্রাসী যোদ্ধাসহ ইরাক ও সিরিয়ায় আধিপত্য বিস্তারকারী এক শক্তি হিসেবে নিজেদের বজায় রেখেছে এবং ২০১৫ সালে বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বড় হুমকি হয়ে আছে। এক মার্কিন রিপোর্টে শুক্রবার এ কথা বলা হয়েছে। খবর পিটিআই অনলাইনের। ‘সন্ত্রাস ২০১৫’-এর ওপর মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের বার্ষিক কান্ট্রি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইরাক ও সিরিয়ায় আইএসের সক্ষমতা ও আঞ্চলিক নিয়ন্ত্রণ ২০১৫ সালের বসন্তকালে বেশ উচ্চপর্যায়ে পৌঁছে। কিন্তু ২০১৫ সালের দ্বিতীয়ার্ধে তা হ্রাস পেতে থাকে। রিপোর্টে বলা হয়, মে মাসের পর ইরাক ও সিরিয়ায় আইএস রণাঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ কোন জয় পায়নি। ২০১৫ সালের শুরুতে গ্রুপের নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চলের ৪০ শতাংশ এলাকা মুক্ত করা হয়েছে বছরের শেষ নাগাদ। সিরিয়ায় স্থানীয় বাহিনী আইএসের দুই শক্ত ঘাঁটি রাক্কা ও মসুলের সঙ্গে সংযুক্ত রুটসংলগ্ন কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শহর থেকে বিতাড়িত করেছে। গ্রুপের সদস্যদের এবং জঙ্গী গ্রুপটির নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের সংশ্লিষ্ট প্রায় ১১ শতাংশ এলাকা পুনরুদ্ধার করেছে। আইএসের এ ক্ষতিতে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সংগঠিত করতে এবং লড়াইয়ের জন্য সমন্বিত সরকারী পদক্ষেপ গ্রহণের সামর্থ্য রয়েছে বলে প্রমাণিত হয়। রিপোর্টে বলা হয়, তা সত্ত্বেও আইএস এক ব্যাপকসংখ্যক বিদেশী সন্ত্রাসী যোদ্ধাসহ ইরাক ও সিরিয়ায় এ আধিপত্য বজায় রেখে বিশ্বব্যাপী প্রচ- হুমকি হয়ে আছে। পররাষ্ট্র দফতর বলেছে, আইএস ২০১৫ সালে ইরাক ও সিরিয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারালে এর তহবিলপ্রাপ্তির উৎস হ্রাস পায়। সন্ত্রাসী সংগঠন এখন এর নিয়ন্ত্রণাধীন স্থানীয় জনগণের কাছ থেকে আদায়কৃত চাঁদা ও করের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। তাদের আয়ের অন্য যেসব উৎস রয়েছে তা হলোÑ তেলপাচার, মুক্তিপণের জন্য অপহরণ, লুণ্ঠন, পুরাকীর্তি অপহরণ ও পাচার, বিদেশী দান ও মানবপাচার। জোটের হামলার লক্ষ্যবস্তু হলোÑ তেল অবকাঠামো, তেল শোধনাগার, পেট্রোল মজুদ আধার ও অশোধিত তেল সংগ্রহ কেন্দ্রগুলো। আইএসের সঙ্গে আল কায়েদা ও দুই গ্রুপের শাখাগুলো বুংকিনা ফাসো, মালি ও তিউনিসিয়ায় আন্তর্জাতিক হোটেলগুলোতে হামলাসহ বিভিন্নভাবে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে, যাতে হতাহত হচ্ছে ব্যাপকসংখ্যক মানুষ। আইএস জানুয়ারিতে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে আইএসআইএল-খোরাসান (আইএসআইএলকে) নামে একটি শাখা প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছে। আইএসআইএলকে আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলী নানগারহার প্রদেশে কিছুটা ভিত্তি অর্জন করেছে।
×