ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বিদেশীদের উদ্দেশে বেজিংয়ের হুঁশিয়ারি

চীনাদের ধর্মীয় বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবেন না

প্রকাশিত: ০৩:৪৩, ৪ জুন ২০১৬

চীনাদের ধর্মীয় বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবেন না

চীনের নাগরিকদের ধর্মীয় বিষয়ে কোন বিদেশী সংগঠন বা ব্যক্তিকে কখনও হস্তক্ষেপ করতে দেবে না বলে সতর্ক করে দিয়েছে চীন। জিনজিয়াং প্রদেশে ইসলামী জঙ্গীদের বিরুদ্ধে চলমান দমন অভিযানকে এর মৌলিক স্বার্থ রক্ষার এক ‘ন্যায়সঙ্গত কাজ’ হিসেবে সমর্থন করতে গিয়ে ওই হুঁশিয়ারি দেয়। প্রদেশটি পাকিস্তানের মতো দেশগুলোর সীমান্তে অবস্থিত। খবর পিটিআই ও হিন্দু অনলাইনের। চীনা সরকারের এক শ্বেতপত্রে বলা হয়, ধর্মীয় চরমপন্থীরা ধর্মের নামে উগ্রপন্থী দৃষ্টিভঙ্গি ছড়াচ্ছে এবং এক ধর্মতান্ত্রিক শাসন কায়েম করার চেষ্টায় চরমপন্থী পথ বেছে নিচ্ছে। জিজিয়াংয়ে ধর্মীয় বিশ্বাসের স্বাধীনতা ‘শীর্ষক ওই শ্বেতপত্রটি বৃহস্পতিবার বেজিংয়ে প্রকাশ করা হয়। চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় ওই প্রদেশ থেকে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ব্যক্তি ইসলামিক স্টেট যোদ্ধাদের সঙ্গে যোগ দিতে দেশ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে বলে খবর বেরোনোর পর ওই হুঁশিয়ারি দেয়া হলো। মৌলবাদী সংগঠনগুলো জিনজিয়াংয়ের লোকজনকে ভুল পথে চালিত করতে ইন্টারনেটকে কাজে লাগাচ্ছে বলে ইতোপূর্বে চীনা কর্মকর্তারা উদ্বেগ ব্যক্ত করেন। শ্বেতপত্রে বলা হয়, চীনের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে এর নিজস্ব ধর্মীয় গোষ্ঠী, কর্মীরা বা নাগরিকরাই পরিচালনা করে থাকে এবং দেশের ধর্মীয় বিষয় ও সংগঠনগুলো কোন বিদেশী নিয়ন্ত্রণের অধীন নয়। এতে বলা হয়, কোন ধর্মে বিশ্বাস করা বা না-করার কারণে কোন নাগরিকের প্রতি বৈষম্য বা অনুচিত আচরণ করা হয় না। জিনজিয়াংয়ে তুর্কী বংশোদ্ভূত ১ কোটিরও বেশি উইঘুর মুসলিমের বাস। সেখানে চীনের প্রধান সম্প্রদায় হানদের বসতি স্থাপনকে কেন্দ্র করে উইঘুরদের মনে সৃষ্ট অসন্তোষ গত কয়েক বছর ধরে গোলযোগের জন্ম দিয়েছে। প্রদেশটিতে ও বেজিংসহ চীনের অন্যান্য স্থানে কয়েকটি সন্ত্রাসী হামলা সংঘটিত হয়। সে জন্য বেজিং বিচ্ছিন্নতাবাদী পূর্ব তুর্কীস্তান ইসলামী আন্দোলনকে দোষারোপ করে। পাকিস্তানভিত্তিক জামায়াত-উদ-দাওয়া ও লস্কর-ই-তৈয়বার নেতা হাফিজ সাঈদ জিনজিয়াংয়ে উইঘুর ইসলামী জঙ্গীদের বিরুদ্ধে দমন অভিযান চালানোর কাজকে চীনের সমালোচনা করেছেনÑ এমন খবরের প্রেক্ষাপটে শ্বেতপত্রে কোন বিদেশী সংগঠন বা ব্যক্তির কথা উল্লেখ করা হয়। হাফিজ সাঈদ বলেন, চীনা নেতৃত্ব ইসলামী জীবনযাত্রার প্রতি হুমকি এবং চীন ও পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বের ক্ষতি করছে। তিনি ইসলামী অনুভূতিতে আঘাত করা থেকে দূরে থাকার জন্য চীনকে নির্দেশ দিতে পাকিস্তান সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
×