ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সবার জন্য টেকসই পেনশন পদ্ধতি চালুর ওপর অর্থমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ

প্রকাশিত: ০৮:০৫, ৩ জুন ২০১৬

সবার জন্য টেকসই পেনশন পদ্ধতি চালুর ওপর অর্থমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ প্রস্তাবিত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে সরকারী-বেসরকারী খাতের সবার জন্য টেকসই পেনশন পদ্ধতি প্রবর্তনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ভবিষ্যতে প্রবীণদের আর্থিক ও সামাজিকভাবে নিরাপত্তাহীন হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে জানিয়ে বাজেট বক্তৃতায় তিনি পেনশন ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনার কথা বলেছেন। তিনি জানান, দেশে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর মাত্র ৫ শতাংশ, যাদের প্রায় সবাই সরকারী চাকুরে এখন পেনশন সুবিধা পান। বাকি ৯৫ শতাংশের মধ্যে প্রায় ৮ শতাংশ গ্র্যাচুইটি সুবিধা পেলেও অন্যদের জন্য সে সুবিধাও নেই। অর্থমন্ত্রী বলেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমার পাশাপাশি গড় আয়ু বাড়ার কারণে জনমিতিক কাঠামো বদলে যাচ্ছে। এতে প্রবীণদের সংখ্যা এবং মোট জনগোষ্ঠীতে তাদের অনুপাত ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যদিকে নগরায়ণের কারণে একক পরিবারের সংখ্যাও বাড়ছে। এর ফলে ভবিষ্যতে প্রবীণদের আর্থিক ও সামাজিকভাবে নিরাপত্তাহীন হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারের একার পক্ষে এই ঝুঁকি মোকাবেলা সম্ভব নয় মন্তব্য করে বাজেট বক্তৃতায় মুহিত বলেন, সকল শ্রমজীবী জনগোষ্ঠীসহ প্রবীণদের জন্য একটি সার্বজনীন ও টেকসই পেনশন পদ্ধতি প্রবর্তন এখন সময়ের দাবি। এ লক্ষ্যে পেনশন ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন আনার কথা ভাবছি। এতে ভবিষ্যতে যোগদানকারী সকল সরকারী চাকরিজীবীর জন্য বিদ্যমান পেনশন পদ্ধতি পরিবর্তন করে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে পেনশন পদ্ধতি চালু করব। মুহিত বলেন, পর্যায়ক্রমে আধা-সরকারী ও ব্যক্তিখাতে আনুষ্ঠানিকভাবে এবং অনানুষ্ঠানিক বা স্ব-কর্মসংস্থানে নিযুক্ত কর্মজীবীসহ সকল স্তরের জনগোষ্ঠীর জন্য সরকার নিয়ন্ত্রিত একটি সমন্বিত কাঠামোর আওতায় সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা প্রণয়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। তিনি বলেন, বেসরকারী খাতের ডিপিএস (ডায়নামিক পেনশন সার্ভিস) ব্যবস্থার আদলে সার্বজনীন একটি পেনশন ব্যবস্থা কীভাবে করা যায়, সেই পরিকল্পনা হচ্ছে। ৩০ অক্টোবর কর দিবস ॥ প্রতি বছরের ৩০ অক্টোবর কর দিবস ঘোষণা করে ওই সময়ের মধ্যে আয়কর বিবরণী (রিটার্ন) দাখিলের বাধ্যবাধকতা আরোপের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এছাড়া আগামী বছরে (২০১৭) করদাতার সংখ্যা ১২ লাখ থেকে বাড়িয়ে ১৫ লাখে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। বাংলাদেশে বর্তমান করদাতার সংখ্যা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে তিনি বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে উপস্থাপিত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে এই প্রস্তাব করেন।
×