ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

২৩ জুন খালেদার আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন নির্ধারণ

প্রকাশিত: ০৬:০৮, ৩ জুন ২০১৬

২৩ জুন খালেদার আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন নির্ধারণ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আদালতে হাজির হয়ে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য সময়ের আবেদন করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ২৩ জুন তারিখ নির্ধারণ করেছে। এছাড়া জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় তার সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ জুন। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে তিনি পুরান ঢাকার বকশীবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেডে মাঠে তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের অস্থায়ী এজলাসে গিয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য সময় আবেদন করেন। পরে এ আদেশ দেন বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের অস্থায়ী আদালত। এদিকে খালেদা জিয়া আদালতে আসায় বিএনপির বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী আদালত প্রাঙ্গণ ও আশপাশের এলাকায় গিয়ে ভিড় জমান। এ সময় ওই এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। বিএনপি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেনÑ মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সিনিয়র নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নাজিমউদ্দিন আলম প্রমুখ। উল্লেখ্য, গ্রেফতার এড়াতেই জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের নির্ধারিত দিন বৃহস্পতিবার আদালতে যান বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। ঢাকার বকশীবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে আদালতের অস্থায়ী এজলাসে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বিচারিক কার্যক্রম চলছে দীর্ঘদিন ধরে। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের সর্বশেষ তারিখ ছিল ১৯ মে। কিন্তু অসুস্থতার কথা বলে তার আইনজীবীরা সময়ের আবেদন করলে শুনানি পিছিয়ে যায়। তবে ১৯ মে ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার ২ জুন বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়া আদালতে হাজির না হলে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হবে বলে আগেই সতর্ক করে দেন। এ মামলায় এর আগে ৭, ১৭ ও ২৫ এপ্রিল ও ৫ মে চার দফা খালেদা জিয়ার সময়ের আবেদনে তার আত্মপক্ষ সমর্থন পিছিয়ে যায়। গত বছরের শুরুর দিকে হরতাল-অবরোধ ডেকে টানা তিন মাস খালেদা নিজের গুলশান কার্যালয়ে অবস্থান নিয়ে থাকার সময় আদালতে না যাওয়ায় একই বিচারক গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। সেই পরোয়ানা জারির এক মাস দশ দিন পর গত বছর ৫ এপ্রিল আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান খালেদা জিয়া। ৯২ দিন পর গুলশান কার্যালয় থেকে বেরিয়ে জামিন পেয়ে ওই দিনই তিনি গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় চলে যান। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে আসা অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এ মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। খালেদা জিয়া ছাড়া এ মামলার অন্য আসামিরা হলেনÑ তার সাবেক রাজনৈতিক সচিব বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়াসহ চার জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। পরের বছরের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আসামিদের বিচার শুরু হয়। এ মামলায় জামিনে থাকা জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খান ৭ এপ্রিল আত্মপক্ষ সমর্থন করে আদালতে লিখিত বক্তব্য জমা দেন। আর হারিছ চৌধুরী মামলার শুরু থেকেই পলাতক।
×