ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া

বাজেট ব্যবসা ও শিল্পবান্ধব ॥ এফবিসিসিআই

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ৩ জুন ২০১৬

বাজেট ব্যবসা ও শিল্পবান্ধব ॥ এফবিসিসিআই

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে ব্যবসা ও শিল্পবান্ধব বলে মন্তব্য করেছে দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই)। বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর মতিঝিলে সংগঠনের কার্যালয়ে সভাকক্ষে বাজেট সম্পর্কে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলা হয়। অন্যদিকে, ব্যবসা পরিচালনায় ব্যয় হ্রাসের উদ্যোগ গ্রহণের পাশাপাশি ট্যাক্স এবং ভ্যাট সংগ্রহের প্রক্রিয়ার সহজীকরণের আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। বৃহস্পতিবার ভিন্ন ভিন্ন কার্যালয়ে বাজেট সম্পর্কে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলা হয়। রাজধানীর মতিঝিলে সংগঠনের কার্যালয়ের সভাকক্ষে বাজেট সম্পর্কে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, এই বাজেট ব্যবসা ও শিল্পবান্ধব। প্রস্তাবিত বাজেটে শিল্পের মেটারিয়ালসের ওপর ডিউটি ফি কমানো হয়েছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের দাবির প্রেক্ষিতে প্যাকেজ ভ্যাট চালু রাখা হয়েছে। অনেকেই বড় বাজেট বললেও এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট মনে করেন, এটা অনেক ছোট বাজেট। তার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এবারের বাজেট (৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা) সবচেয়ে বড় বাজেট। কিন্তু দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি। জনসংখ্যার তুলনায় ২০১৬-১৭ সালের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ছোট। আশা করি, আগামী বাজেটগুলোতে সরকার সেদিকে মনোযোগ দেবে। তিনি আরও বলেন, সপ্তম পঞ্চবার্ষিকীতে পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এই বাজেটের গুরুত্ব অপরিসীম। বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে আয়কর ৭১ হাজার কোটি টাকা ও মূল্য সংযোজন কর থেকে ৭২ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ৯০ শতাংশেরও অধিক মানুষ কর প্রদান করে না। বিপুল পরিমাণ এ জনগোষ্ঠীকে করের আওতায় আনতে পারলে রাজস্ব আদায় বাড়বে। আর যারা দিচ্ছে তাদের ওপর হয়রানি ও চাপ কমবে বলেও জানান তিনি। শিল্প অবকাঠামোর উন্নয়নে এবার বাজেটে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে এমন কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রামের বাইরেও জেলায় জেলায় শিল্প-কারখানা গড়ে তোলা যাবে। এতে বিনিয়োগ বাড়বে। আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের কর থেকে অব্যাহতি দিয়েছে সরকার। এ কারণে সরকারকে সাধুবাদ। এবারের বাজেটে ১০ বড় প্রকল্পে মেগা বাজেট দিয়েছে সরকার। এতে বাইরের বিনিয়োগকারীরা উৎসাহিত হবেন। এ সময় এফবিসিসিআইয়ের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট শফিউল ইসলাম, পরিচালক হেলাল উদ্দিন, হারুন-অর-রশিদ, আব্দুল মোতালেব, খন্দকার রুহুল আমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে, বাজেট প্রতিক্রিয়া জানাতে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি হোসেন খালেদের সভাপতিত্বে ডিসিসিআই বোর্ডরুমে একটি সভা হয়। বৈঠক শেষে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান, ব্যবসা পরিচালনায় ব্যয় হ্রাসের উদ্যোগ গ্রহণের পাশাপাশি ট্যাক্স এবং ভ্যাট সংগ্রহের প্রক্রিয়ার সহজীকরণের আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। প্রথমেই ‘প্যাকেজ ভ্যাট’ পুনর্বহাল রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানায় ডিসিসিআই। ডিসিসিআই জানিয়েছে, চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয়েছে ৭.০৫%, তবে এ লক্ষ্য অর্জনের জন্য ২০১৫-১৬ অর্থবছরে অর্জিত বিনিয়োগ ২১.৭৮% কে ২৭% তে উন্নীত করতে হবে। এছাড়াও দেশী এবং বিদেশী বিনিয়োগের বর্তমান হারকে বাড়ানোর জন্য অবকাঠামো, বিদ্যুত, জ্বালানি, বন্দর ব্যবস্থাপনার উন্নয়নের পাশপাশি বিনিয়োগ সংক্রান্ত নীতিমালার সংস্কার একান্ত আবশ্যক বলেও জানান। এছাড়াও ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বিদ্যুত খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১৩ হাজার ৪০ কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরের চেয়ে ৫.২% কম। বিদ্যুত খাতে আমদানি নির্ভরতা কমানোর পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে বিদ্যুত উৎপাদন হ্রাসকৃত মূল্যে সরবরাহ করার প্রতি মনোযোগী হতে হবে। ডিসিসিআই সভাপতি হোসেন খালেদ বিদ্যুতের মূল্য যৌক্তিক পর্যায়ে রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। ডিসিসিআই আরও জানিয়েছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৭৭ হাজার ৪০০ কোটি টাকা থাকলেও ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ২ লাখ ৪২ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা গত অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ৩৭% হারে বেড়েছে। সহজে আদায়যোগ্য ভ্যাট থেকে এককভাবে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায়ের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী ক্রয়ের পরোক্ষ করের বোঝা সকল ভোক্তার ওপর পড়বে। কারণ ভ্যাট থেকে ৭২ হাজার ৭৬৪ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও শুল্ক থেকে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমান বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্প ব্যয় (এডিপি) ১ লাখ ১৭ হাজার ২৭ কোটি টাকা, যা মোট জিডিপির ৬%। কিন্তু এডিপি বাস্তবায়নে ধীরগতি এ ফিন্যান্সিয়াল স্পেস ব্যবহার করার সুযোগ নষ্ট করছে; কারণ ২০১৫-১৬ অর্থবছরে মার্চ পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়িত হয়েছে ৫০%। এডিপি বাস্তবায়ন দ্রুতকরণের লক্ষ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয়ভিত্তিক জবাবদিহিতার জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠন ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলেও মনে করেন ঢাকা চেম্বার। ঢাকা চেম্বার কর্পোরেট ট্যাক্স কমানোর উদ্যোগকে স্বাগত জানায় এবং এতে তৈরি পোশাকসহ অন্যান্য খাতে রফতানি বৃদ্ধি পাবে বলে ডিসিসিআই মনে করে। সভায় ডিসিসিআই পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ এবং ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। নীলফামারী প্রতিবেদক জানিয়েছেন, ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে জনকল্যাণমূলক ও বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাস্তবমুখী বলে মনে করেÑ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রংপুর চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মোঃ আবুল কাশেম। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী কর্তৃক বাজেট পেশের পর তাৎক্ষণিক প্রক্রিয়ায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে রংপুর চেম্বারের পক্ষে এ কথা জানানো হয়। সেই সঙ্গে রংপুর চেম্বার মনে করে বাজেটে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া রংপুর বিভাগের ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পায়নের জন্য আলাদা শিল্পনীতি, করনীতি, ভ্যাটনীতি, শুল্কনীতি ও ঋণনীতি প্রণয়ন, ট্যাক্স হলিডের মেয়াদ ১০ বছর বৃদ্ধিকরণ, কর অবকাশ সুবিধা, শিল্পে ব্যবহৃত ফার্নেস অয়েল ও বিদ্যুতে ভর্তুকি প্রদান, আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বিমানবন্দর নির্মাণ, ¯েপশাল ইকোনমিক জোন, অঞ্চলভিত্তিক বাজেট বরাদ্দ, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পপার্ক এবং হাইটেক ও সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক স্থাপনে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাবনা থাকা প্রয়োজন ছিল। এটি না থাকায় এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হবে বলে রংপুর চেম্বার আশঙ্কা করছে। এছাড়া পিছিয়ে পড়া রংপুর বিভাগে পাইপলাইনের মাধ্যমে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহের ন্যায় জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি বাজেটে অন্তর্ভুক্ত থাকা উচিত ছিল বলে রংপুর চেম্বার মনে করে। তাই রংপুর চেম্বার জরুরীভিত্তিতে প্রকল্প প্রণয়নসহ প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের দাবি জানায়। চট্টগ্রাম অফিস জানিয়েছে, প্রস্তাবিত ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে বাজেটকে অত্যন্ত সাহসী, সময়োচিত, শিল্পবান্ধব ও কল্যাণমুখী হিসেবে আখ্যায়িত করেছে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি। বিশেষ করে কাঁচামাল আমদানি এবং বেশকিছু ক্ষেত্রে মূসক হ্রাস ও প্রত্যাহার এবং প্রণোদনা দেশের শিল্পায়নে সহায়ক হবে বলে মনে করে চেম্বার। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় চিটাগাং চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, তৈরি পোশাক শিল্পে কর্পোরেট করহার ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে, যা এ শিল্পের প্রসারে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে। সিটি কর্পোরেশনের বাইরে রিয়েল এস্টেট খাতে উৎসে কর কমানোর ফলে এসব জায়গায় এ খাতের বিকাশ হবে এবং মহানগরগুলোর ওপর চাপ কমবে। চিটাগাং চেম্বার সভাপতি বাজেট প্রতিক্রিয়ায় যানজট নিরসনে চট্টগ্রাম সিটিতে আউটার রিং রোড, ইউলুপ ও ফ্লাইওভার নির্মাণ এবং লালখানবাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ১৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার এলিভেটেট এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের ঘোষণা দেয়ায় অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমরা এর বাস্তবায়ন দেখতে চাই। তিনি বলেন, করমুক্ত আয়সীমা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। এটা ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি করা উচিত। যেকোন কোম্পানি বা ৫০ লাখ টাকার অধিক গ্রস প্রাপ্তি আছে এমন প্রতিষ্ঠানের ন্যূনতম করহার শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ করা হয়েছে এবং সারচার্জের ক্ষেত্রে ১৫ কোটি টাকার অধিক কিন্তু ২০ কোটি টাকার কম হলে ২৫ শতাংশ এবং ২০ কোটি টাকার অধিক হলে ৩০ শতাংশ করহার নির্ধারণ করা হয়েছে, যা অত্যধিক। এ হারগুলো পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন। মেট্রোপলিটন চেম্বার ॥ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বারের প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়, প্রস্তাবিত এই বড় বাজেট নিঃসন্দেহে একটি সাহসী বাজেট। তবে রাজস্ব ঘাটতি আরও কমানো গেলে ভাল হতো। প্রস্তাবিত বাজেটে জিডিপি ৭ দশমিক ২ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা গেলে সামগ্রিকভাবে অর্থনীতি আরও গতিশীল হবে। বাজেট প্রণয়নে নানামুখী নির্দেশনা দানের জন্য অর্থমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানায় এ চেম্বার। গণমাধ্যমে প্রেরিত এক প্রতিক্রিয়ায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার জানায়, সরকারী কর্মকর্তাদের আয়করসহ নতুন করদাতা সৃষ্টির প্রয়াস অবশ্যই প্রশংসনীয়। তা না হলে বর্তমান কর প্রদানকারীর ওপরই চাপ অব্যাহত থাকবে। বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও সুষ্ঠু শিল্পায়নের স্বার্থে এলএনজি আমদানিসহ জ্বালানি ও বিদ্যুত খাতকে অগ্রাধিকার দেয়াকে আমরা সমর্থন করছি। ব্যক্তিগত করদাতাদের করমুক্ত আয় সীমা ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে বর্ধিত করে ৩ লাখ টাকায় উত্তীর্ণ করা হলে ভাল হতো। খুলনা অফিস জানিয়েছে, খুলনা চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি কাজি আমিনুল ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত জাতীয় বাজেটকে জনহিতকর, বাস্তবসম্মত, সময় উপযোগী বলে উল্লেখ করে এবং প্রথমবারের মতো বেসরকারী খাতে পেনশন ব্যবস্থা চালু করার পরিকল্পনা গ্রহণ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অর্থমন্ত্রীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান। প্রস্তাবিত এ বাজেটে যোগাযোগ অবকাঠামো খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ, ক্ষুদ্র ও খুচরা ব্যবসায়ীদের জন্য প্যাকেজ ভ্যাট বহাল রাখা, বয়স্ক, দুস্থ, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতা বৃদ্ধি করায় ও বিভিন্ন উন্নয়নমূলক খাতে বরাদ্দ রাখায় এ বাজেট সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা সহজীকরণ, দারিদ্র্য বিমোচন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে খুলনা চেম্বারের সভাপতিসহ পরিচালনা পরিষদ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়া ব্যবসায়ীদের জন্য প্যাকেজ ভ্যাট সহনীয় পর্যায়ে নির্ধারণ করার জন্যও খুলনা চেম্বারের পরিচালনা পরিষদ বিশেষভাবে অনুরোধ জানায়।
×