ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ঠাকুরগাঁওয়ে বেওয়ারিশ কুকুর আতঙ্ক

প্রকাশিত: ০৪:০০, ৩ জুন ২০১৬

ঠাকুরগাঁওয়ে বেওয়ারিশ কুকুর আতঙ্ক

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও, ২ জুন ॥ কুকুরের অত্যাচারে মানুষ দূরের কথা গরু ছাগলও রক্ষা পাচ্ছে না। রাস্তায় বেওয়ারিশ কুকুরের দৌরাত্ম্যে পথচারীদের চলতে হচ্ছে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে। অথচ এ ব্যাপারে কারও কোনো মাথাব্যথা নেই। অগুনতি বেওয়ারিশ কুকুরের দৌরাত্ম্যে ঠাকুরগাঁও পৌরবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। শহরের প্রতিটি রাস্তা এখন বেওয়ারিশ কুকুরের দখলে। কুকুরের ভয়ে শিশু কিশোরসহ সকল বয়সের মানুষ যাতায়াত করতে আতঙ্কিত হয়ে থাকে। শহরের আশ্রমপাড়া, কালীবাড়ি, হাজিপাড়া, বাজার পাড়া, সার্কিট হাউস মোড়, ইসলামবাগ, টিকাপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় দল বেধে ১০-১৫টি কুকুরকে এক সঙ্গে ঘুরতে দেখা যায়। স্বাস্থ্যবান, হিংস্র হওয়ার কারণে পথচারীরা কুকুর দেখলে ভয়ে সামনে যেতে চায় না। কুকুরগুলো মানুষ দেখলেই পথ রোধ করে দাঁড়িয়ে ঘেউ ঘেউ করতে থাকে। এতে সাধারণ মানুষের আতঙ্ক আর ভোগান্তির শেষ নেই। রাতে সাইকেল বা মোটরসাইকেল নিয়ে বাসায় ফেরার সময় বেওয়ারিশ কুকুরগুলো পথ রোধ করে থাকে। গরু, ছাগলকেও ছাড় দেয় না। কিন্তু পৌর প্রশাসন এ ব্যাপারে কোন ব্যবস্থাই গ্রহণ করছে না। গত কয়েক দিনে বেওয়ারিশ কুকুরের কামড়ে ২৫-৩০টি গরু ও ছাগল মারা গেছে। কুকুরগুলো সাধারণত গরু বা ছাগলকে টার্গেট করে কামড় দেয়। কামড়ে যদি বেশি ক্ষত হয় তাহলে কামড় দেয়ার ১০-১৫ মিনিটের মধ্যে গরু বা ছাগলটি মারা যায়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার প্যানেল মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পৌর এলাকায় বেওয়ারিশ কুকুরের সংখ্যা বেড়ে গেছে। আমরা বেওয়ারিশ কুকুর নিধন করতে পারব না। কারণ আইনগতভাবে নিষেধ রয়েছে। তবে কেউ মেরে রেখে গেলে আমরা তা পরিষ্কার করে দিতে পারব। বাগেরহাটে চার হাজার পাখি উদ্ধার স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ পাচারের উদ্দেশে সুন্দরবন থেকে শিকার করে আনা মুনিয়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় চার হাজার পাখি উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে কচুয়া উপজেলার বাধাল বাজারের আব্দুল জলিলের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ পাখিগুলো উদ্ধার করে। উদ্ধার করা পাখির মধ্যে মুনিয়া, টিয়া ও ঘুঘু রয়েছে। এর মধ্যে মুনিয়া পাখিই রয়েছে আড়াই হাজারের বেশি। এদিন বিকেলে সুন্দরবনের করমজল এলাকায় উদ্ধারকৃত এ পাখি অবমুক্ত করা হয়েছে। তবে পাখি শিকার ও পাচারের সাথে জড়িত কাউকে আটক করা যায়নি। বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের পরিদর্শক রাজু আহমেদ বলেন, দুপুরে বাধাল বাজার এলাকার আব্দুল জলিলের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়।
×