ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

কলা পাকানোর অপরাধে ১৯ জনের কারাদণ্ড

প্রকাশিত: ০৮:২১, ২ জুন ২০১৬

কলা পাকানোর অপরাধে ১৯ জনের কারাদণ্ড

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কলা পাকানো অপরাধ- এটা আগে জানা ছিল না তাদের। সাজাটা পেলেন সে জন্যই। বুধবার রাজধানীর কাওরানবাজারের ১৯ কলার আড়ত মালিককে কারাদ- দিয়েছে র‌্যাব পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত। তাদের অপরাধ- ইথোফেন ও অন্যান্য উপাদান দিয়ে কলা পাকানো। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র‌্যাব নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সারওয়ার আলম। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন মেজর মোহাম্মদ আতাউর রহমান ও এএসপি মোঃ ইয়াছির আরাফাত। অভিযান পরিচালনার সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত দেখতে পান যে-বিভিন্ন কলার আড়তে মাত্রাতিরিক্ত ক্ষতিকারক ইথোফেন ও অন্যান্য রাসায়নিক উপাদান দিয়ে দ্রবণ তৈরি করে তাতে কলা চুবিয়ে কিছু সময় রাখার পর নির্দিষ্ট চেম্বারে কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা হয়। এরপর তার ওপর রাসায়নিক দ্রব্য স্প্রে প্রদান করা হয়- যাতে কলাগুলো ২/১ দিনের মধ্যে পুরোপুরি হলুদ রং ধারণ পূর্বক পেকে যায়। অথচ এ সব রাসায়নিক বোতলের গায়েই লেখা রয়েছে ফল পাকানোর কাজে ব্যবহার করা যাবে না। এ অপরাধের কারণে বিসমিল্লাহ আড়তের মোঃ জাহিদ হাসান, সেলিম শিকদার ও জাকির হোসেন প্রত্যেককে এক মাস; আদর্শ কলার আড়তের মোঃ তারা মিয়াকে এক মাস ও সুমন সরকারকে তিন মাস, ভাই ভাই কলার আড়তের সেলিম মিয়াকে দুই মাস; মায়ের দোয়া আড়তের মোজাম্মেল হক, আশরাফ উদ্দিন, সোলায়মান প্রত্যেককে দুই মাস; তোরাব আলীর কলার আড়তের সেলিম, মোঃ আবদুস সাত্তার ও দীন মোহাম্মদকে দুই মাস; মাহবুব এ্যান্ড সন্স কলার আড়তের মোঃ রমজান আলী, আরাম কলার আড়তের মোঃ রমজান আলী, তাজু কলার আড়তের কবিরুল ইসলাম ও শাহ আলম কলার আড়তের সামসুল হক প্রত্যেককে তিন মাস এবং ইব্রাহিম কলার আড়তের সালাম, রফিক উদ্দিন ও ফরহাদ প্রত্যেককে এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদ- দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ৮০ হাজার পিস কলা জব্দ করে মাতুয়াইলের সিটি কর্পোরেশনের ডাম্পিং স্টেশনে তা ধ্বংস করা হয়। উল্লেখ্য, একই সময়ে আমের আড়তে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিশেষজ্ঞ দল পরীক্ষা করে ফরমালিনের উপস্থিতি পায়নি।
×