বলিউড মুভি বা হিন্দী সিনেমা, উপমহাদেশ বলুন আর সমগ্র মহাদেশই বলুন, প্রদর্শন, প্রচার বা চিত্রনাট্য ধারণ প্রায় ক্ষেত্রেই এখন ওয়ার্ল্ড ওয়াইড! কর্মাশিয়াল, এ্যাকশন, ডিটেক্টিভ বা থ্রিলার প্রায় সব ক্যাটাগরি সিনেমারই গ্রহণযোগ্যতা বা দর্শকপ্রিয়তার সঙ্গে ব্যবসায়ী সাফল্যও অন্য যে কোন ভাষার চলচ্চিত্র থেকে অধিক। প্রতি সপ্তাহে বা মাসে বলিউড থেকে যে সিনেমাগুলো মুক্তি পায়, সেগুলোর মধ্যে মোটামুটি একটা ভেরিয়েশন দেখা যায়। থ্রিলার বা রোমাঞ্চনির্ভর চলচ্চিত্রের দর্শক পৃথিবীর সর্বত্র! যেহেতু হিন্দী সিনেমার দর্শক বা বাজার অন্য ভাষার সিনেমা থেকে বৃহৎ! তাই নিয়মিত না হলেও অল্প সময়ের ব্যবধানে থ্রিলার বা রোমাঞ্চনির্ভর চলচ্চিত্র বলিউডে নির্মিত হয়েছে। গেল বছরের মাঝামাঝি সময়ে (নিশিকান্ত কামাতের) তেমনি এক রোমাঞ্চকর গল্প নিয়ে তৈরি হয় ‘দৃশ্যম’ বলা যায়, গল্পটা বেশ রোমাঞ্চকরই ছিল! ছবিটির ব্যবসায়ী সাফল্যও ছিল বেশ। এরপর ২০১৬’র জানুয়ারিতে মুক্তি পায় বিজয় লাম্বিয়ারের থ্রিলার ‘ওয়াজির’। ওয়াজির বলিউডের উল্লেখযোগ্য থ্রিলার চলচ্চিত্র। কালজয়ী এবি (অমিতাভ বচ্চন) এবং সময়ের অন্যতম পরিশ্রমী অভিনয়শিল্পী ফারহান আক্তার এই দুই শক্তিধরের ইউটার্ন টুইস্ট ছিল ওয়াজিরের রোমাঞ্চে। ‘এবি’ হয়ত থ্রিলারে মজেছে! তাই তো এ মাসের দশ তারিখে নতুন এক থ্রিলারে দেখা যাবে তাকে, সঙ্গে এই সময়ের রাইজিং স্টার নেওয়াজ উদ্দিন সিদ্দিকী ও বিদ্যা বালান এই তিনজনকে নিয়ে নির্মিত হয়েছে নতুন থ্রিলার ‘তিন’। চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন বাঙালী উদীয়মান পরিচালক রিবু দাশগুপ্ত। অবশ্য মে মাসের ২০ তারিখে তিন’র মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল কিন্তু, ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের সর্বোজিৎ চলচ্চিত্রের মুক্তি এবং কান চলচ্চিত্র উৎসবে এর প্রদর্শন সব মিলে ‘তিন’ এর তারিখ পরিবর্তন করা হয়। ট্রেলর দেখে আন্দাজ করা যায় দর্শক ‘তিন’-এর রোমাঞ্চে ডুবে যাবেন! রোমাঞ্চের শুরুটা কলকাতা শহরের প্রবীণ বাসিন্দা জন বিশ্বাস (এবি)কে নিয়ে, আট বছর আগে তার নাতনি এ্যাঞ্জেলাকে অজানা কারণে ভয়ঙ্করভাবে অপহরণ করা হয়। অপহরণের সেই ভয়ঙ্কর স্মৃতি প্রায়ই মনে করিয়ে দেয় মি. বিশ্বাস ও তার স্ত্রীকে। ঘটনার আট বছর পার হওয়ার পরও নাতনিকে ফিরে পাওয়ার আশা ছাড়েন না মি. বিশ্বাস, থানা কিংবা পুলিশ কেউই তাকে সাহায্য করে না, বুঝতে চেষ্টা করে না প্রবীণ মানুষটির মানবিক আবেদন। মার্টিন ফাদার দাশ প্রাক্তন পুলিশ অফিসার বর্তমানে যাজক ঘটনাচক্রে মি. বিশ্বাস এবং যাজক একই রকমভাবে মানসিক বিপর্যস্ত। কেবল যাজকই মি. বিশ্বাস কে সাহায্য করেন। এর মধ্যে ঘটে যায় আর একটি ঘটনা, অপহরণ হয় আর একটি বাচ্চা কুলুটা মিলে যায় এ্যাঞ্জেলা অপহরণের সঙ্গে।
রহস্যের জাল উদ্ঘাটনে পুনরায় নিযুক্ত হন মার্টিন ফাদার দাশ, সঙ্গে লেডি ইন্সপেক্টর স্বারিতা সরকার (বিদ্যা বালান) গল্পের আবহ শুনে বুঝতেই পারছেন এ রোমাঞ্চের রোমাঞ্চকতা। বাকিটা জানতে ডুবতে হবে পর্দায়!
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: