ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে শুরু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি

প্রকাশিত: ০৬:৩৩, ২ জুন ২০১৬

বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে শুরু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমরা এলিট গ্রুপে এবং নৈপুণ্য দিয়ে আমাদের পজিশনের (চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলা) মূল্য রাখার চেষ্টা করব।’ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সূচী ঘোষণা হওয়ার পর বলেছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। বুধবার টুর্নামেন্টের সূচী ঘোষণা হতেই জানা হয়ে যায় ‘এ’ গ্রুপে আছে বাংলাদেশ। ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ের সেরা আট দলের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড আছে বাংলাদেশের গ্রুপে। আগামী বছরের ১ জুন যে শুরু হবে টুর্নামেন্ট, তাতে দ্য ওভালে অনুষ্ঠেয় প্রথম ম্যাচটিই খেলবে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ আবার স্বাগতিক ইংল্যান্ডই। যখন বাংলাদেশের গ্রুপ ও কার কার সঙ্গে খেলা জানা হয়ে যায়, তখনই মাশরাফি নিজের বিশ্বাসের কথা বলে দেন। কঠিন গ্রুপেই পড়েছে বাংলাদেশ। র‌্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে সেরা আটদল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলবে। সেখানে জায়গা হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ওয়ানডের সেরা দলগুলোর সঙ্গেই খেলবে বাংলাদেশ। এক নম্বর দল অস্ট্রেলিয়া, চার নম্বর দল নিউজিল্যান্ড ও ছয় নম্বর দল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে। ১ জুন স্বাগতিকদের বিপক্ষে খেলার পর ৫ জুন দ্য ওভালে অস্ট্রেলিয়া ও ৯ জুন কার্ডিফে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে লড়াই করবে। টুর্নামেন্টে প্রতিটি দলই লীগ পর্বে তিনটি করে ম্যাচ খেলবে। ‘বি’ গ্রুপে ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান আছে। ক্রিকেটে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ মানেই হচ্ছে উত্তেজনা, স্নায়ুচাপ, জেতার তীব্র আকাক্সক্ষা। সেই সবকিছুর দেখা মিলবে ৪ জুন। এজবাস্টনে এ দুই দল পরস্পরের মুখোমুখি হবে। টুর্নামেন্টে মোট ১৫টি ম্যাচ হবে। চারটি দল উঠবে সেমিফাইনালে। লীগ পর্ব খেলা শেষে পয়েন্ট তালিকায় দুই গ্রুপ থেকে যে দুটি করে চারটি দল ওপরে থাকবে, তারাই সেমিফাইনাল খেলবে। ১ জুন থেকে ১২ জুন পর্যন্ত টানা লীগ পর্বে দুই গ্রুপের খেলা হবে। মাঝখানে একদিন বিরতি দিয়ে ১৪ জুন প্রথম সেমিফাইনাল ও ১৫ জুন দ্বিতীয় সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম সেমিফাইনালে পয়েন্ট তালিকায় ‘এ’ গ্রুপের এক নম্বর দলের বিপক্ষে খেলবে ‘বি’ গ্রুপের দুই নম্বর দল। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ‘এ’ গ্রুপের দুই নম্বর দলের বিপক্ষে ‘বি’ গ্রুপের এক নম্বর দলের লড়াই হবে। দুই সেমিফাইনালের জয়ী দুই দল ১৮ জুন দ্য ওভালে ফাইনালে মুখোমুখি হবে। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের জন্য আবার ১৯ জুন রিজার্ভ ডেও রাখা হয়েছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সূচী ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পর আইসিসির পক্ষ থেকে সবদলের বর্তমান অধিনায়কদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। অনুভূতি জানতে চাওয়া হয়। সেখানে মাশরাফি ভাল খেলার প্রত্যয় প্রকাশ করেন। ২০০৬ সালের পর আবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলবে বাংলাদেশ। র‌্যাঙ্কিংয়ে ৭ নম্বরে থেকেই তা নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। এই যে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ, টুর্নামেন্টে নৈপুণ্য দেখিয়ে তার সম্মানও রাখতে চান মাশরাফি। বলেছেন, ‘আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আবার খেলতে পারায় আমি খুশি। শুরুতেই স্বাগতিকদের সঙ্গে খেলা, যাদের আমরা এ্যাডিলেডে (২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপে) হারিয়ে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিলাম। আমরা ধারাবাহিক নৈপুণ্য দেখিয়েই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার সুযোগ করে নিয়েছি। স্বাগতিকদের হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও ভালভাবে শুরু করতে চাই।’
×