ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সামনে রমজান ॥ মুড়িপাড়া সরগরম

প্রকাশিত: ০৪:৩১, ২ জুন ২০১৬

সামনে রমজান ॥ মুড়িপাড়া সরগরম

আবু জাফর সাবু, গাইবান্ধা ॥ রমজানে মুড়ি অপরিহার্য। ইফতারের আইটেমে যতো উপাদানই থাকুক সাদা ফুরফুরে মচ মচে মুড়ি ছাড়া জমে না। এছাড়া গ্রামবাংলার ঐহিত্যবাহী নাস্তা এবং অতিথি আপ্যায়নের অন্যতম উপাদান মুড়ির প্রচলন এদেশে প্রাচীনকাল থেকেই। তবে সে মুড়ি হালের মেশিনে বানানো বিস্বাদ মুড়ি নয়। মুড়ির কারিগরদের মাটির খোলায় লবণ পানি মেশানো চাল দিয়ে গরম বালুতে ভাজা হাতে তৈরি মুড়ি। আসন্ন রমজানকে ঘিরেই মুড়ির অতিরিক্ত চাহিদা পূরণে তৎপর হয়ে উঠেছে মুড়িপাড়া। গাইবান্ধা জেলা শহর ও পার্শ্ববর্তী এলাকার হাট-বাজারসমূহে মুড়ির প্রধান যোগানদাতা সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের জগৎরায় গোপালপুরের বৈরাগীপাড়ার মুড়ির কারিগররা। দেশী মুড়ি সরবরাহের কারণেই এই গ্রামটিকে এখন সবাই ‘মুড়ির গ্রাম’ হিসেবে চেনে। মুড়ি যাদের জীবন-জীবিকার উৎস, সেই মুড়িওয়ালা নামের মুড়ি তৈরির অখ্যাত কারিগরদের এই গ্রামে কারবার ও বসবাস। গাইবান্ধা শহর থেকে ৫ কিমি দূরে বালুয়া-নাকাইহাট-গোবিন্দগঞ্জ সড়কে সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের জগৎরায় গোপালপুরের বৈরাগীপাড়া। এই গ্রামে মুসলমান, হিন্দু ও বৈষ্টমি সম্প্রদায়ের দেড়শ’ পরিবার প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ বছর ধরে মুড়ি ভেজে তা বাজারে বিক্রি করে পরিবার পরিজন নিয়ে বেঁচে আছে। প্রথমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর শুধু হিন্দু ও বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের লোকজনই বংশপরম্পরায় এই মুড়ির কারবারে জড়িত ছিল। সে কারণে গ্রামটির নাম বৈরাগীপাড়া। ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেক পরিবার ভারতে আশ্রয় নিয়ে আর ফিরে আসেনি। সেই থেকে মুসলমান সম্প্রদায়ের লোকজনও এই পেশায় সম্পৃক্ত হয়ে পড়ে। আত্রাই-বগুড়া সড়ক যেন মরণফাঁদ বিশ্বজিৎ মনি, নওগাঁ ॥ জেলার আত্রাই থেকে বগুড়াগামী সড়কের কালীগঞ্জবাজার সড়কটি যেন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। রাস্তাটি বেহাল হওয়ায় প্রতিনিয়ত সেখানে ট্রাক ও ভারি যানবাহন কর্দমাক্ত গর্তে আটকা পড়ছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার কারণে সড়কের বিভিন্ন অংশের কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। জানা গেছে, আত্রাই থেকে সরাসরি বগুড়ার সঙ্গে সড়কপথে যোগাযোগের জন্য এই রাস্তার কোন বিকল্প নেই। আত্রাই থেকে বগুড়ার সঙ্গে সরাসরি ট্রেন যোগাযোগ না থাকায় প্রতিদিন শত শত যাত্রী ওই সড়ক দিয়ে বগুড়ায় যাতায়াত করে থাকেন। বিশেষ করে আত্রাইয়ের নওদুলীবাজার, মস্কিপুরবাজার, পতিসরবাজার, নাটোরের সিংড়ার কালীগঞ্জবাজারসহ বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়ীরা বগুড়ার পাইকারি মোকাম থেকে তাদের ব্যবসায়ী পণ্য এই সড়কপথেই পরিবহন করে থাকেন। এ ছাড়াও সড়কটি জনগুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় প্রতিনিয়ত এ দিয়ে বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, সিএনজি, ব্যাটারিচালিত টমটমসহ ছোটবড় যানবাহন চলাচল করে থাকে।
×