ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নতুন ভ্যাট আইনে ভোক্তা পর্যায়ে ব্যয় বাড়বে

প্রকাশিত: ০৪:২৬, ২ জুন ২০১৬

নতুন ভ্যাট আইনে ভোক্তা পর্যায়ে ব্যয় বাড়বে

এফবিসিসিআই জেনারেল বডি মেম্বার ও হার্বাল প্রডাক্ট, কসমেটিকস এ্যান্ড ডায়েটারি সাপ্লিমেন্ট ম্যানুফেকচারার এ্যাসোসিয়েশন সহসভাপতি, মোয়াজ্জেম হোসেন বাদল বলেছেন, ১ জুলাই থেকে কর্যকর হতে যাচ্ছে ২০১২ সালে পাশ হওয়া নতুন ভ্যাট আইন। ঢালাও ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আইন কার্যকর হলে ভোক্তা পর্যায়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে ক্ষুদ্র ও এসএমই শিল্পখাত অর্থাৎ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। ফলে এসএমই শিল্প খাতে উৎপাদিত পণ্যের দাম বেড়ে যাবে। আর এই সুযোগ পাশর্^বর্তী দেশ থেকে অপেক্ষাকৃত কম দামে নকল ও ভেজাল পণ্যে এক সময় পুরো দেশ ছড়িয়ে যাবে। নকল ভেজাল ও আমদানি নির্ভর হয়ে মুখ থুবড়ে পড়বে এবং অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়বে ক্ষুদ্র ও এসএমই শিল্প খাতটি। তিনি বলেন, ভ্যাটের ভার সবসময়ই ভোক্তার কাঁধে যায়। নতুন বাজেটে ভ্যাটের শুল্ক-কর হার পুনর্বিন্যাসের কারণে পণ্যমূল্য বাড়বে। তাছাড়া বাজেট ঘোষণা মাত্রই পণ্যের দাম বেড়ে যায়। নিয়ন্ত্রণের সকল উপায়ই ব্যর্থ হয়ে যায়। ইউনানী-আয়ুর্বেদিক ওষুধ এবং ভেষজ উপাদানের ওপর মূসক অব্যাহতির সুযোগ সম্পর্কে বাদল বলেন, বিগত চারদলীয় জোট সরকার এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলেও সরকারী সিদ্ধান্ত অনুসারে ইউনানী-আয়ুর্বেদিক পদ্ধতির জন্য বাজেট বরাদ্দ ছিল না। এই খাতে সরকারী সিদ্ধান্ত ও নীতিগত সহযোগিতা থাকা সত্ত্বে ইউনানী-আয়ুর্বেদিক ওষুধ, শিক্ষা, চিকিৎসা ও গবেষণার জন্য বাজেট বরাদ্দের সরকারী সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না হওয়া এবং প্রশাসনিক প্রয়োজনীয় সহযোগিতার অভাবে এই দুই পদ্ধতির কাক্সিক্ষত উন্নয়ন সম্ভব হয়নি। মূসক অব্যাহতি দিলেও পূর্ববর্তী জোট সরকার ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার দেশজ কাঁচামাল নির্ভর ইউনানী-আয়ুর্বেদিক ওষুধ এবং ভেষজ উপাদান ও চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নে জাতীয় এ্যাডভাইজরি কমিটি কর্তৃক গৃহীত অবাস্তবায়িত ৪৬টি সুপারিশ বাস্তবায়নের কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। ফলে এই দুই পদ্ধতির শিল্পের কাক্সিক্ষত বিকাশ সম্ভব হয়নি। বাদল বলেন, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১২০০০ কোটি টাকার স্বাস্থ্য বাজেটে ইউনানী-আয়ুর্বেদিক পদ্ধতির ওষুধ ও ওষুধ শিল্পের উন্নয়ন প্রসার ও গবেষণার জন্য কোন বরাদ্দ রাখা হয়নি। যা বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইস্তেহারের স্বাস্থ্য বিষয়ক অঙ্গীকারের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। মানব সম্পদ উন্নয়নের খাতে ও এই দুই পদ্ধতির চিকিৎসা, প্রযুক্তি ও শিক্ষাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ফলে নতুন শিল্প স্থাপনে প্রকল্প ঋণ বা উৎপাদনশীল শিল্পের বিএমআরইতে অর্থায়নে কোন সুযোগ সৃষ্টি হয়নি। এখন পর্যন্ত ইউনানী-আয়ুর্বেদিক ওষুধ শিল্পের প্রায় সবগুলোই ব্যক্তি পুঁজির মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। -অর্থনৈতিক রিপোর্টার
×