ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

অমৃত আম-দুধ

প্রকাশিত: ০৩:৩৯, ২ জুন ২০১৬

অমৃত আম-দুধ

জয়কেতু বড়ুয়া প্রথম শ্রেণীর আগে শিশু শ্রেণীতে পড়ার সময় বাল্যশিক্ষা বইয়ে ফলের নাম পড়েছি। ‘আম, জাম, নারিকেল, সুপারি, কাঁঠাল, দাড়িম্ব, কমলা, কলা, কামরাঙ্গা, তাল, বেল, লেবু, আনারস, আতা, হরীতকী, তরমুজ, কুল, ফুটি, লিচু, আমলকী। এর বাইরেও আমরা গাব, ডুমুর, চাইলদা, মনগোটা আরও অনেক ফল গ্রামে পাওয়া যেত। আমাদের দেশে আপেল, আঙ্গুর, কমলা, মোসাম্বির ইত্যাদি ফল তখন পাওয়া যেত না। এখন সব ফল পাওয়া যায়। বাংলার গ্রামে গ্রামে আগে প্রচুর আম, কাঁঠাল, লিচুগাছ ছিল। সকাল বেলায় গাছের নিচে বহু আম পড়ে থাকত। ঘুম থেকে কার আগে কে উঠবে এবং আম কুড়ায়ে ঘরে নিয়ে যাবে চলতো তার প্রতিযোগিতা। বিভিন্ন গাছে বিভিন্ন নামের আম ধরত যেমন- উড়িয়া, গগন্যা, সিলন্যা ইত্যাদি। সবচেয়ে বড় আমকে বলত মালদার আম। এখন বুঝি চাঁপাইনবাবগঞ্জের পাশে ভারতের মালদহের আম খুব বিখ্যাত ছিল। এখনও গোপালভোগ, হিমসাগর, ফজলী কত আম পাওয়া যায়। গরুর দুধের সঙ্গে আমের রস মিশিয়ে খেতে অমৃতের মতো লাগত। এখন প্রায় সব ফল সারা বছরই বিভিন্ন স্থানে বৈজ্ঞানিক উপায়ে চাষ হয় এবং সারা বছরই পাওয়া যায়। আপেল, আঙ্গুর, কমলা ইত্যাদি সাধারণত উচ্চবিত্ত এবং উচ্চ-মধ্যবিত্তরা খেতে পারে। মধ্যবিত্তের অসুখের সময় কিনতে বাধ্য হয়। নিম্ন-মধ্যবিত্তদের আম, কাঁঠাল খেয়েই তুষ্ট থাকতে হয়। তাও এখন আমের দাম চড়া প্রতিটি লিচু তিন টাকা। তাই বলব আম, কাঁঠাল খেতে হলে প্রত্যেকে নিজ নিজ বাড়িতে আম, কাঁঠালের গাছ লাগান। এমনিতেও সব আম, লিচু বিদেশে রফতানি হয়ে যাচ্ছে। তাই গাছ না লাগালে মধ্যবিত্তের পক্ষেও ফল কিনে খাওয়া সম্ভবপর হবে না। হালিশহর, চট্টগ্রাম থেকে
×