ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আমাদের সন্তানদের ডানা মেলে উড়তে দিন -স্বদেশ রায়

প্রকাশিত: ০৩:৩৩, ২ জুন ২০১৬

আমাদের সন্তানদের ডানা মেলে উড়তে দিন -স্বদেশ রায়

মাছরাঙা টেলিভিশনের রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে ঢাকা ট্রিবিউন একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেখানে আমাদের ছেলেমেয়ে যারা জিপিএ-৫ পাচ্ছে তাদের চূড়ান্ত অজ্ঞতার এক ছবি। সন্তান যখন অজ্ঞ থাকে, পিতা-মাতা হিসেবে এর থেকে বড় ব্যথার আর কোন কারণ আছে বলে আমার জানা নেই। পিতা-মাতার আরও বড় ব্যথার কারণ হবে যখন জিপিএ-৫ পাওয়া সন্তান ভর্তি পরীক্ষায় ফেল করবে। শুধু তাই নয়, তার পরবর্তী পাঠ্যসূচীর লেভেলও তাকে এর থেকে বেশি কিছু দেবে না। তাই কাজের ক্ষেত্রে এসে সে যখন কাজ পাবে না, বেকারত্ব তাকে নিঃশেষ করে দিতে থাকবে। সে কষ্ট শুধু কি তখন ওই সন্তানের একার? এর পরেও আরেকটি বিষয় আছে, ওই সন্তানটি তো একজন মানুষ, তাকে বেঁচে থাকতে হবে দীর্ঘ উজ্জ্বল পরমায়ু নিয়ে। এই পরমায়ু উজ্জ্বল হতে হলে তার জন্য তো অনেক মনোজগতের দরকার হবে। জীবনের আয়-রোজগারের বাইরে, নিজের কাজের বাইরে তার এই একান্ত মনোজগতগুলোই তো তার পরমায়ুকে করবে উজ্জ্বল। যেমন আইনস্টাইনের রিলেটিভিটির থিওরি তাঁর জীবনের কালকে করেছিল উজ্জ্বল তেমনি তিনি যখন ভায়োলিনে তান তুলতেন তাও তাঁর আয়ুষ্কালকে করত আলোকময়। একটি মানুষের অসংখ্য মনোজগত ছাড়া সে কিন্তু মানুষ হিসেবে আনন্দময় জীবনযাপন করতে পারে না। অর্থবিত্ত তাঁকে সব সুখ দিতে পারে না। জোবসও তাঁর কর্মীদের নিয়ে যেমন মিটিং করতেন তেমনি কনসার্টও করতেন। আমাদেরও এখন চূড়ান্ত সময় বয়ে যাচ্ছে, আমাদের সন্তানদের নিয়ে ভেবে দেখার। যখন আমাদের জিপিএ-৫ পাওয়া সন্তান পিথাগোরাসকে ঔপন্যাসিক বলছে তখন তাদের গার্ডিয়ান হিসেবে, সরকার, সমাজ ও মিডিয়া যদি বসে থাকে- তাহলে সে বসে থাকা পাপ। ভবিষ্যত এই পাপকে কোন ক্ষমা করবে না। তাছাড়া এখন আমাদের সমাজ, মিডিয়া ও সরকারের কিছু করারও সুযোগ হয়েছে। কারণ, সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সুমতি হয়েছে। সাত বছর পরীক্ষা পরীক্ষা খেলা খেলে এখন ক্লান্ত বালকটি শান্ত হয়েছেন। অন্তত কোমলমতি সন্তানদের পরীক্ষার হাত থেকে মুক্তি দিয়েছেন। গত সাত বছরে এই পরীক্ষা পরীক্ষা খেলা খেলতে গিয়ে একটি জেনারেশনের যে কত ক্ষতি হয়েছে, সমাজের যে কত ক্ষতি হয়েছে আর তাঁর পাশাপাশি মৌলবাদীরা যে কতটা লাভবান হয়েছে তা ভবিষ্যত বলবে। আমাদের মতো ক্ষুদ্ররা শুরু থেকেই বলেছি ফুলের মতো সন্তানগুলোকে পরীক্ষার দড়িতে বেঁধে বন্দী আত্মা তৈরি না করার জন্য। যখনই ক্লাস ফাইভে পরীক্ষা চালু হয়, এ কলামে তখনই লিখেছি, শিশুদের এ শাস্তি না দেয়ার জন্য। আমার মতো অশিক্ষিতের কথার কোন মূল্য নেই এ সমাজে আমি বুঝি। তবু পেশায় সাংবাদিক, অর্থাৎ সমাজের পাহারাদার কুকুর। তাই যখনই দেখি বাড়িতে চোর আসছে তখনই সাধ্য মতো ঘেউ ঘেউ করি। তাতে করে কখনও মন্ত্রীরা নাখোশ হন- শক্ত কথা নরমভাবে শুনিয়ে দেন, কেউ বা দালাল বলেন, আবার কখনও কনটেম্পট খাই। তবু দায় এড়ানোর তো কোন জায়গা নেই- চোর বা চুরি দেখলেই তো ঘেউ ঘেউ করতে হবে। জেল-ফাঁসি সব মেনে নিয়েই ঘেউ ঘেউ করতেই হবে। জীবনে এই ঘ্যাগাসুরের গাঙে যখন নেমেছি এখান থেকে ওঠার কোন পথ নেই। আর উঠতেও চাই না। তাই সন্তানদের এ দুরবস্থা দেখে এখন বলতে হয়, বাড়িতে আগুন লেগেছে শীঘ্রই জল ঢালুন। দেরি হলে সব পুড়ে ছাই হয়ে যাবে। এখন প্রশ্ন আসতে পারে, জিপিএ-৫ পাওয়া এই সন্তানদের জ্ঞানের এ দুরবস্থা কাটাব কীভাবে? সে তো বলছে, সে সায়েন্সের ছেলে, পরীক্ষায় ভাল রেজাল্ট করার জন্য সায়েন্সের সাবজেক্টের পাঠ্যসূচীর পরেই সে জোর দিয়েছে। অন্য কিছু পড়েনি। সে কচিমন, তার সমস্যা কিন্তু সে বলে দিয়েছে। এখন সমাধানের দায়িত্ব রাষ্ট্রের, সমাজের আর মিডিয়ার দায়িত্ব মতামত তৈরি করা, এগিয়ে নেয়া। সমস্যা হলো, সে অন্য কিছু পড়েনি। কেন পড়েনি? সে পড়ার পরিবেশ পায়নি। কারণ, পারিবারিক লাইব্রেরির যুগ শুধু নয়, পাড়ায় পাড়ায় যে লাইব্রেরির কালচার ছিল তাও উঠে গেছে। পড়ার অভ্যাস ও পারিবারিক লাইব্রেরি পুরনো কিছু মধ্যবিত্ত ও উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারের ভেতর সীমিত হয়ে পড়েছে। তাও বই মেলে না। দেশে বই আসার পথ ট্যাক্স দিয়ে রুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে এক ধরনের অসাধু ও সমাজের প্রতি দায়বোধহীন পাবলিশার্স। কারণ, বই আমদানির ট্যাক্স অর্থমন্ত্রী তুলে দিতে গিয়েছিলেন। তাঁর সে সাধু কাজকে ঠেকিয়ে দেয় এই পাবলিশার্সরা। অর্থাৎ দেশটাকে অন্ধকার করে রাখার চক্রটি বেশ বড় ও বিস্তৃত। তার পরেও সরকারকে এ চক্র ভাঙতে হবে। বই পড়াতে হবে। আর শুধু পাঠ্যসূচী পড়ালে কখনই সন্তানদের শিক্ষিত করা যাবে না। তাই এ মুহূর্তে উন্নয়নশীল দেশ, যাদের শিক্ষার দীর্ঘ ঐতিহ্য নেই তারা যে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে আমাদেরও তাদের পথ নিতে হবে। অর্থাৎ এখন এই যে প্রাইমারী লেভেল ক্লাস এইট পর্যন্ত করা হয়েছেÑ এখানে রিডিংকে পড়ার সূচীর ভেতর আনতে হবে। তবে খুবই সাবধানে এ কাজটি করতে হবে। কারণ ছাত্ররা যদি একবার বুঝে ফেলে এটা তাদের পড়ানো হচ্ছে, তাদের জ্ঞান ও আনন্দের জন্য নয় তাহলেই কিন্তু উদ্দেশ্য সফল হবে না। তাই একেবারেÑ শিশু থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত ওই সব দেশে যেভাবে আনন্দের ভেতর দিয়ে পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা হচ্ছে বা করার উদ্যোগ নিচ্ছে- এদেরও সেই পথে নিতে হবে। তবে আবার যদি ওই পথ দেখতেই মন্ত্রী ও সচিবসহ চল্লিশ জনের একটি টিম পৃথিবী পরিক্রমায় বেরিয়ে পড়েন তাহলে তো প্রজেক্টের টাকা ওখানেই শেষ হয়ে গেল। ছাত্র আর স্কুলের খাতায় তো শূন্য। এমনি তো প্রতি বছর বিল্ডিং হয় স্কুলে কিন্তু বই থাকে না লাইব্রেরিতে। যাহোক, প্লে গ্রুপের ছাত্রদের সামনে দেয়ার মতো অনেক বই তৈরি করতে হবে, বিদেশ থেকে আনতে হবে, অনুবাদ করতে হবে। তার পরে স্কুলে তারা যেন মনের আনন্দে বইগুলো শুধু নাড়াচাড়া করতে পারে এই ব্যবস্থাটুকু করতে হবে। এর থেকে বেশি নয়। নরম মাটি কিন্তু, বেশি হলে ভেঙ্গে যাবে। তারপরে দু’-এক বছর পরে দেখা যাবে ওরা বই পড়তে শুরু করেছে। একেক জন একেক ধরনের বই পড়ছে। তখন যেন তাদের বইয়ের যোগান না কমে। তাছাড়া এখন উন্মুক্ত পৃথিবী আছে কম্পিউটারে, কিনডেলে, ট্যাবে তার ব্যবস্থাও করতে হবে। তার জন্য শিক্ষকদেরও জানতে হবে, পড়তে হবে। ওদের সঙ্গে তাল মেলানোর জন্য শিক্ষককে আরও এক কদম এগিয়ে থাকতে হবে, কখনও জ্ঞানে না পারলে অন্তত আচরণে। পাশাপাশি ওদের বই তৈরি করে দেয়ার জন্য তাদের পূর্বপুরুষরা রক্ত দিয়ে যে প্রতিষ্ঠানটি তৈরি করে গেছে সেটাকে সচল করতে হবে। তার এ মৃতদশা কাটাতে হবে। বাংলা একাডেমির দায়িত্ব জ্ঞানের রাজ্যে পৌঁছে দেয়ার জন্য সৃজনশীল বই তৈরি করা। বিশ্ব জ্ঞানভা-ার থেকে জ্ঞানকে নিজ ভাষায় আনা। কীভাবে আনতে হয় তা কবি ও সচিব মঞ্জুরে মওলা দেখিয়ে দিয়ে গেছেন। যাহোক, বাংলা একাডেমি নিয়ে বেশি কিছু বলা আমার উচিত নয়, আগে একবার বলতে গিয়ে গালি শুনেছি। যে গালির অর্থ বিধর্মী। কিন্তু আমি মানুষ, মানবের সকল ধর্ম আমার ধর্ম। তাই আমাকে বিধর্মী বলার কোন কারণ থাকতে পারে না। যাহোক, যারা বলেছিল সেটা তাদের রুচি। তবে এ কাজ বাংলা একাডেমিকে দিয়েই করাতে হবে। স্কুল লেভেলের এই রিডিং পার্টে মাতৃভাষা ছাড়া আরও দু’একটি ভাষার বই রাখতে হবে। কারণ, ভাষা শিক্ষার জন্য শিশুকালই সব থেকে সঠিক সময়। এ সময়ে ব্রেন দ্রুত নতুন কিছু ধারণ করতে পারে। এই পড়ার ভেতর দিয়ে বাচ্চারাও কখন যে দুই তিনটি ভাষা শিখে যাবে তা সে নিজেও টের পাবে না। তবে তার আগে শিক্ষককে ভাষা শিখিয়ে নিতে হবে। সে ক্ষেত্রে শিক্ষক প্রশিক্ষণে বিশ্বব্যাংকের যে অযাচিত হস্তক্ষেপ দেখা যাচ্ছে তা যদি সরকার মেনে নেয় তাহলে তা হবে দিন দুপুরে ডাকাতি করার সুযোগ দেয়া। ব্রিটিশ কাউন্সিল নয়, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র শেখাবে ইংরেজী! আসলে বড় বিচিত্র এ দেশ। আবদুল্লাহ আবু সায়ীদকে অনেকে খুবই শ্রদ্ধা করে। কিন্তু তিনি বইও পড়াবেন, মশাও মারবেন আবার জাতীয় জীবনের কোন অশুভর বিরুদ্ধে তিনি দাঁড়াবেন না। বিএনপি আমলের হিন্দু কেটে ফেলার সময় তিনি কথা বলেন না অথচ আওয়ামী লীগ আমলে গাছ কাটতে গেলে গাছ ধরে দাঁড়িয়ে থাকেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিপক্ষে অবস্থান নেন না যদি তার প্রতিষ্ঠানে বোমা পড়ে এই অজুহাতে। বিশ্বব্যাংককে ধরে ব্রিটিশ কাউন্সিলের বদলে কোন যোগ্যতা ছাড়া ইংরেজী, অংক ও বিজ্ঞান শিক্ষকদের ট্রেনিং দেয়ার ৪৪ কোটি টাকার প্রজেক্ট বাগাতে চান। এরপরে তাঁর সম্পর্কে মন্তব্য করার আর কিছু থাকে না। তবে, যে দেশের শিক্ষিত লোক এত সুবিধাবাদী হয় সে দেশে সন্তানদের প্রকৃত শিক্ষা দেয়া কিন্তু অনেক কঠিন। অবশ্য সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী আশির দশকে লিখেছিলেন, যে দেশে শিক্ষার হার কম ওই দেশে শিক্ষিত লোকেরা সব থেকে বেশি সুবিধাবাদী হয়। বঙ্গবন্ধুও বলেছিলেন, আমার কৃষক চুরি করে না। চুরি করে এই শার্ট-প্যান্ট পরা ভদ্র লোকেরা। যাহোক, যে সরকারের প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ফাইট করে নিজ অর্থায়নে পদ্মা সেতু তৈরি করছেন, ওই সরকার নিশ্চয়ই বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আর মান্নান ভূইয়ার লোকদের খপ্পরে পড়ে এ ধরনের ভুয়া প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে না। কারণ, সত্যি অর্থে আমাদের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও তাদের পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলাও বাধ্যতামূলক করা দরকার। কারণ, যিনি ছাত্রকে পড়ার আনন্দে ভাসিয়ে দেবেন তাকে তো আগে ওই আনন্দে ভাসতে হবে। তবে এর পাশাপাশি প্রতিটি মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের অনেক ভোগের সামগ্রী বাদ দিয়ে সন্তানের জন্য জ্ঞানের সামগ্রী কিনতে হবে। যাতে সন্তানটি বাড়িতে একটি জ্ঞানের পরিবেশ পায়। মা-বাবা যদি সারাদিন বসে জি টিভির সিরিয়াল দেখেন তাহলে সন্তান কিন্তু পিথাগোরাসকে ঔপন্যাসিকই বলবে। শুধু সরকারকে ও শিক্ষানীতিকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। তবে শিক্ষকরা দ্বিতীয় পিতা-মাতা, তাদেরও দায়িত্ব আছে সন্তানদের মনোজগত তৈরি করে দেয়ার। কবিতায় আনন্দিত হওয়া একটি ছেলে সম্প্রতি একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজী সাহিত্যের শিক্ষক হয়েছে। তার শিক্ষকরা আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন বলে সে আমাকে স্যারই বলে। অথচ তার কাছ থেকে আমি অনেক কিছু শিখি। চাকরি পাওয়ার কয়েকদিন পরে আমার স্টাডি রুমে বসে নানা আলোচনায় এক পর্যায়ে বলে, স্যার আমার ক্লাসের সব ছাত্রকে আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম ক্লাসের পড়ার বাইরে, ইতিহাসপড়া, নাটক দেখা, মুভি দেখা বা বাড়তি লিটেরেচার পড়ার প্রতি তাদের কার কেমন আগ্রহ। এর ভেতর তিনটি ছেলেমেয়ে ছাড়া কারও ক্লাসের পড়ার বাইরে কোন জগত নেই। বাকি তিন জনের ভেতর দুজন মাত্র দুটি নভেল পড়েছে। একজন একটু মুভি দেখে। অনার্স লেভেলে একটি ইংরেজী সাহিত্য ক্লাসের ছাত্রদের চিত্র এই। মাছরাঙা টেলিভিশন যে চিত্র তুলে ধরেছে, এ চিত্রও তার বাইরে নয়। তাই আর মনে হয় কালবিলম্ব নয়। এখনই তরণী ছাড়তে হবে সাগর পাড়ি দিতে। পড়ার বাইরের পড়াকে বাড়াতে হবে। বাড়াতে হবে মুভি দেখা, নাটক দেখা, ইতিহাস পড়া, শুধু রাজনৈতিক ইতিহাস নয়, মানুষের ইতিহাস, সিভিলাইজেশনের ইতিহাস, অর্থনীতির ইতিহাস এবং এ জন্য শিশু শ্র্রেণীতেই তাকে বই নিয়ে খেলতে দিতে হবে যাতে নৌকা মাঝ সাগরে যেতেই সেও সাগর চিলের সঙ্গে ডানা মেলে উড়তে পারে। আশা মেয়েটি বড়ই দুরন্ত, ওর দিগন্ত বড়ই বিস্তৃত তাই ওর হাত ধরে আমরাও আশা করতে পারি, আর দেরি নয় এখনই শুরু হোক আমার সন্তানদের ডানা তৈরির। আমাদের জীবদ্দশায় আমরা দেখে যাই আমাদের সন্তানরা ডানা মেলে উড়ছে পৃথিবীর আকাশে। [email protected]
×