ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

স্বপ্নের দেশ গড়ার বাজেট কাল

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ১ জুন ২০১৬

স্বপ্নের দেশ গড়ার বাজেট কাল

এম শাহজাহান ॥ ‘স্বপ্নের বাংলাদেশ’ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে বাজেট ঘোষণা করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। আগামীকাল ২ জুন বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এবারের বাজেটের সম্ভাব্য আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা। তবে একেবারে শেষ মুহূর্তে কিছুটা বাড়িয়ে বাজেটের আকার ৩ লাখ ৪১ হাজার ৯১০ কোটি টাকা করা হতে পারে। টাকার অঙ্কে এটিই হচ্ছে এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় বাজেট। এবারের বাজেটে কর্মসংস্থান ও দারিদ্র্য বিমোচনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (এডিপি) বাস্তবায়নে ও বিদেশী সহায়তা ব্যবহারে আগামী বাজেটে গঠন করা হবে প্রকল্প পরিচালক পুল বা পিডি পুল। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের। জানা গেছে, পাঁচ বছরের উন্নয়ন পরিকল্পনা মাথায় রেখে সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সরকারের চলতি মেয়াদের প্রথম বাজেট ঘোষণা করা হয়। নতুন অর্থবছরে ৭ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে ২০২১ সালের আগেই দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি অর্জনকে সম্ভব করার স্বপ্ন দেখছেন অর্থমন্ত্রী। বর্তমান সরকারের চলতি মেয়াদের শেষ বছরে অর্থাৎ ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তিনি ৫ লাখ কোটি টাকার বাজেট দিয়ে যেতে চান। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বের মাঝে একটি মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে সফল আত্মপ্রকাশ করবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন। এ সময়ের মধ্যে দেশে দারিদ্র্যের হার ১৮ শতাংশের নিচে নেমে আসবে এবং মানুষের গড় আয় দাঁড়াবে দুই হাজার ডলারের কাছাকাছি। অবশ্য সরকারের পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যেই মধ্যম আয়ে দেশের তালিকায় নাম লেখাবে বাংলাদেশ। এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত চলতি বাজেট ব্যক্তিতায় ঘোষণা দিয়েছেন, ‘আমাদের অগ্রযাত্রার নির্দেশক হলো দারিদ্র্য দূরীকরণ। জাতি হিসেবে জন্মলগ্ন থেকেই আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত লক্ষ্য হচ্ছে দারিদ্র্য দূর করা। এই লক্ষ্য অর্জনে ব্যাপকভাবে দেশে মানুষের চাহিদা বাড়াতে এবং তা মেটাতে আমরা সচেষ্ট আছি। গত দুই দশক ধরে প্রবৃদ্ধির হার ৬ শতাংশের বেশি। আমাদের অকল্পনীয় কৃতিত্ব হলো, একদিকে যেমন প্রবৃদ্ধির হার বাড়িয়েছি, অন্যদিকে তেমনি বৈষম্যকেও বাড়তে দেইনি। এই কৌশলের ফলেই দারিদ্র্য দূরীকরণে যথেষ্ট সাফল্য অর্জন করা গেছে।’ সূত্রমতে, একটি সুখী ও সমৃদ্ধশালী দেশ গড়তে আসছে বাজেটে সুষম উন্নয়নের পথ দেখাতে চান অর্থমন্ত্রী। আগামী তিন বছরের মধ্যে দেশে আয় বৈষম্যে একটি দৃশ্যমান পরিবর্তন আনতে চান তিনি। মানুষকে অর্থনৈতিক কর্মকা-ের সঙ্গে জড়াতে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে চান গ্রামগঞ্জে। এজন্য গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে প্রান্তিক পর্যায়ের রাস্তাঘাট, অবকাঠামোর উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে আগামী বাজেটে। সেই সঙ্গে জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণত করতে কারিগরি শিক্ষা ছড়িয়ে দিতে চান দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে। আর মানব সম্পদ, শিক্ষা ও স্বাস্ব্য খাতে ঢেলে সাজাতে চান এবারের বাজেটের মাধ্যমে। শুধু তাই নয়, উচ্চ প্রবৃদ্ধি ও আয়ের সুষম বণ্টন এই সেøাগান সামনে রেখে নতুন বাজেট ঘোষণা দেয়া হবে। আয়ের সুষম বণ্টনকে দেখানো হয়েছে বাজেটে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতের পাশাপাশি কৃষি প্রণোদনা ও ক্ষুদ্র ঋণে ব্যয় বাড়ানো, সুবিধাবঞ্চিত শ্রেণীর সহায়তায় বিশেষ ব্যবস্থা এবং জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল বাস্তবায়নের দিকনির্দেশনাকে। প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ‘২০২১’, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) এবং সরকারের নীতি-অগ্রাধিকার বাস্তবায়নকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি সরকারের অগ্রাধিকার কার্যক্রমে সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করার দিকনির্দেশনা রয়েছে বাজেটে। একই সঙ্গে এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্রে পৌঁছানোর জন্য একটি রূপরেখা দেয়া হবে। এজন্য জিডিপিসহ মাথাপিছু আয়ের উচ্চ প্রবৃদ্ধি, সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং টেকসই ও পরিবেশবান্ধব উন্নয়নের ঘোষণা দেয়া হবে। এ প্রসঙ্গে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদ জনকণ্ঠকে বলেন, আগামী বাজেট হবে প্রবৃদ্ধি, উন্নয়ন ও আয়ের সুষম বণ্টনের বাজেট। এ বছর শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতকে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রতি বছরের মতো এবারও জিডিপির ৫ শতাংশের মধ্যে বাজেট ঘাটতি রাখা হবে। মানবসম্পদ উন্নয়নে একটি ফান্ড গঠন করা হবে। এছাড়া গবেষণা কাজে বাড়তি বরাদ্দ দেয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণেও বিশেষ কৌশল নেয়া হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে। শুধু তাই নয়, উচ্চ প্রবৃদ্ধির পথ রচনা হবে নতুন এই বাজেটের মধ্য দিয়ে। প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ॥ এবারের বাজেটে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ দশমিক ২ শতাংশ। যদিও বর্তমান সরকারের প্রথম মেয়াদের ৫ বছরের প্রবৃদ্ধির হার ৬ শতাংশের ঘরে সীমাবদ্ধ ছিল। দ্বিতীয় মেয়াদের তৃতীয় বছরে প্রবৃদ্ধির হার ৬ শতাংশের ঘর অতিক্রম করে ৭ শতাংশে পৌঁছায়। প্রবৃদ্ধির হারের দীর্ঘ সময়ের বৃত্ত ভেঙে আগামী অর্থবছরে সরকার ৭ দশমিক ২ শতাংশ অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এ লক্ষ্য যাতে অর্জিত হয় সেজন্য সব ধরনের বাস্তবমুখী পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশনাও মন্ত্রণালয়গুলোতে ইতিমধ্যে দেয়া হয়েছে। এছাড়া মূল্যস্ফীতির হার নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ এবং মোট জিডিপির আকার ধরা হয়েছে ১৯ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকা। সামগ্রিক বাজেট ঘাটতি জিডিপির ৫ শতাংশের মধ্যেই রাখা হয়েছে। বাজেটের আয়-ব্যয়সমূহ ॥ আসছে বাজেটে মোট ব্যয়ের লক্ষ্য ধরা হতে পারে ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা। এটি মোট জিডিপির ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ। এর মধ্যে অনুন্নয়ন ব্যয় ২ লাখ ২৯ হাজার ৩০৬ কোটি টাকা। এই অর্থ ব্যয় হবে সরকারী চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা, বিদেশী ঋণের সুদ পরিশোধ, ভর্তুকি, সেবা ও সরবরাহ খাতে। এছাড়া বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর (এডিপি) মূল আকার ১ লাখ ১০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারের অর্থায়ন ৭০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা হচ্ছে ৪০ হাজার কোটি টাকা। অন্যদিকে আগামী অর্থবছরের বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৪২ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা, যা জিডিপির ১২ দশমিক ৪ শতাংশ। এর মধ্যে এনবিআরের করের লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ৩ হাজার ১৫২ কোটি টাকা। এটি নন-এনবিআর করের লক্ষ্যমাত্রা ৭ হাজার ২৫০ কোটি টাকা, কর ছাড়া প্রাপ্তি আয় হচ্ছে ৩২ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা। আসছে বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ ধরা হচ্ছে ৯৭ হাজার ৮৫৩ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৫ শতাংশ। ঘাটতি মেটাতে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ৬০ হাজার ৭৭ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হবে। এর মধ্যে শুধু ব্যাংক থেকে নেয়া হবে ৩৭ হাজার ৪৬৭ কোটি টাকা। সঞ্চয়পত্র খাত থেকে নেয়া হতে পারে ২২ হাজার ৬১০ কোটি টাকা। এছাড়া বৈদেশিক উৎস থেকে ঋণের লক্ষ্য ঠিক করা হতে পারে ৩৯ হাজার ৬৬৫ কোটি টাকা। এর বাইরে অনুদান ৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা ও বিদেশী ঋণ পরিশোধের লক্ষ্য ধরা হতে পারে ৮ হাজার ৮৮ কোটি টাকা। তবে বাজেটের এখনও আয়-ব্যয়ের হিসাব মেলাতে গলদঘর্ম জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন নিয়ে চাপের মুখে রয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এছাড়া উচ্চ প্রবৃদ্ধির এডিপি বাস্তবায়নের পাশাপাশি রাজস্ব আদায় লক্ষ্য ধরেছেন ২ লাখ ৪২ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা। চলতি বছরের বড় ঘাটতি বিবেচনায় যা অর্জন প্রায় অসম্ভব। নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন করে আয় কিছুটা বাড়াতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ব্যবসায়ীদের তীব্র আপত্তির মুখে ভ্যাট আইন কার্যকর হবে কি না সেটাও এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। এতে প্রত্যাশিত রাজস্ব আয়ের ঝুঁকি আরও বেড়ে গেছে। আগামী বছর ৯৭ হাজার কোটি টাকার বিশাল ঘাটতি বাজেটের দায় কাঁধে নিতে হবে তাকে। এত কিছুর পরও অর্থমন্ত্রীর আশা, অর্থনীতির ইতিবাচক ধারা অব্যাহত থাকবে। এজন্য বড় বাজেটের স্বপ্ন বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ নিচ্ছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গবর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন সম্প্রতি এক প্রাক-বাজেট আলোচনায় বলেন, নতুন ভ্যাট আইন তিনটি পর্যায়ে বাস্তবায়ন করা যেতে পারেÑ উৎপাদন, বিতরণ ও বিক্রয়। কিন্তু বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন করা দুরূহ হয়ে পড়বে। সরকারের রাজস্ব আয় বাড়াতে তাই সেদিকে নজর দেয়া প্রয়োজন। তিনি বলেন, মেয়রদের ঘোষণা অনুযায়ী ঢাকা সিটিতে ৩ হাজারের মতো নতুন গাড়ি আসবে। এক্ষেত্রে পুরাতন গাড়ির ওপর অতিরিক্ত করারোপ করা প্রয়োজন। এতে সরকারের রাজস্ব আদায় বাড়বে। বড় বাজেট বাস্তবায়নে বড় অঙ্কের রাজস্বেরও প্রয়োজন। বাজেটে যেসব খাতে নজর দেয়া হচ্ছে ॥ আগামী বাজেটে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়নসহ সার্বিক মানবসম্পদ উন্নয়ন, বিদ্যুত, জ্বালানি, সড়ক, রেলপথ ও বন্দরসহ সার্বিক ভৌতকাঠামো উন্নয়ন, কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃজন, সরকারী সেবা প্রদানে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন, জলবায়ু মোকাবেলায় সক্ষমতা অর্জন, বহির্বিশ্বের অর্থনৈতিক সুযোগ অধিক ব্যবহার, প্রবাস আয় বৃদ্ধি এবং নতুন নতুন রফতানি বাজার সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ করা হবে। এছাড়া আগামী বাজেটে বিনিয়োগ ও গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা করতে বরাদ্দ থাকছে ৫৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা। বিশেষ করে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হচ্ছে। পাশাপাশি বিনিয়োগ বাড়াতে ভৌত অবকাঠামো খাতে ব্যাপক সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এছাড়া বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর আওতায় সব ধরনের ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বাড়ছে আওতাও। উপকারভোগীর আওতা ৫ থেকে ১০ শতাংশ বাড়িয়ে তা ৫০ লাখে উন্নীত করা হবে। এছাড়া বয়স্কভাতা ৪শ’ থেকে বাড়িয়ে ৫শ’ টাকা করা হবে। উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে ৫ শতাংশ। চা শ্রমিকদের ভাতার সুবিধাভোগীর সংখ্যা ২০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৩০ হাজার করা হচ্ছে। অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতার সুবিধাভোগীর সংখ্যা ৬ লাখ থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৭ লাখে উন্নীত করা হয়েছে। ভাতার পরিমাণ ৫শ’ থেকে বাড়িয়ে ৬শ’ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিদ্যুত ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দ থাকছে ১৭ হাজার ৫৩৬ কোটি টাকা। এছাড়া পদ্মা সেতুসহ দ্রুত সময়ে বাস্তবায়িত মেগা দশ প্রকল্পের জন্য এবারের বাজেটে বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে।
×