ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সিম পুনর্নিবন্ধন কর্মযজ্ঞ শেষ

প্রকাশিত: ০৪:১৩, ১ জুন ২০১৬

সিম পুনর্নিবন্ধন কর্মযজ্ঞ শেষ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম পুনর্নিবন্ধনের মহাকর্মযজ্ঞ শেষ হয়েছে। আজ বধুবার থেকে অনিবন্ধিত সিম বন্ধ হয়ে যাবে। অনিবন্ধিত সিম নিবন্ধন করতে হলে সরকারের ভ্যাট ট্যাক্স পরিশোধ করে করতে হবে। গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর থেকে ৩০ এপ্রিল ছিল সিম নিবন্ধনের শেষ দিন। পরে আরও এক দফা সময় বাড়িয়ে ৩১ মে করা হয়েছিল। সাড়ে ৫ মাস ধরে সিম নিবন্ধনের কাজ চলার পরে আর নতুন করে সময় বাড়ানো হচ্ছে না। সিম নিবন্ধনের শেষ দিনে অপারেটরদের কাস্টমার সেন্টার ও এজেন্টদের কাছে ছিল উপচে পড়া ভিড়। তবে সার্ভারে কোন জটিলতা দেখা না দেয়ায় সহজেই গ্রাহকরা সিম নিবন্ধন করেছেন। কোন কোন এলাকায় কিছুটা সমস্যা দেখা দিলেও সেটা ছিল সাময়িক। বিটিআরসির মিডিয়া ইউয়িংয়ের কর্মকর্তা সারোয়ার আলম বলেন, সিম নিবন্ধনের জন্য নতুন করে সময় বাড়ানো হয়নি। তাছাড়া সময় বাড়ানোর কোন প্রয়োজন নেই। কারণ সরকারের টার্গেট ছিল ১০ থেকে ১১ কোটি মোবাইল সিম নিবন্ধন হলেই হলো। এই টার্গেট পূরণ হয়েছে ২৯ মের মধ্যেই। আরও দুই দিনে প্রায় এক কোটি সিম নিবন্ধন হয়েছে। এখন পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না ঠিক কতটা সিম নিবন্ধন হয়েছে। রাত ১২টার পরে এই হিসাব জানা যাবে। সময় না বাড়ানোর কারণে আড়াই থেকে তিন কোটি সিম নিবন্ধনের বাইরে থেকে যাবে। এতে কোন সমস্যা হবে না। এই সিমগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। তবে এগুলো আবার গ্রাহকরা ভ্যাট ট্যাক্স দিয়ে নিবন্ধন করে নিতে পারবেন। আড়াই থেকে তিন কোটি সিমের মধ্যে অবৈধ ভিওআইপির জন্য ব্যবহার হওয়া সিম কোনদিনও নিবন্ধনের আওতায় আসবে না। সরকার এর আগে অবৈধ ভিওআইপিতে ব্যবহার হতো এমন কয়েক লাখ সিম চিরতরে বন্ধ করে দিয়েছে। একনেক বৈঠকে পল্লী বিদ্যুতায়নসহ ছয় প্রকল্প অনুমোদন পল্লী বিদ্যুতায়নের মাধ্যমে ২৫ লাখ গ্রাহক সংযোগসহ ৬ প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৭৪৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারী তহবিল থেকে ১ হাজার ১৫৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ব্যয় হবে ১ হাজার ৫৯০ কোটি ৯ লাখ টাকা। মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এসব প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। খবর বাসসর। একনেক সভায় প্রকল্প সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সচিব এবং পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যবৃন্দ অংশ নেন।
×