ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সালথায় সংঘর্ষে আহত ২০

প্রকাশিত: ০৪:০১, ১ জুন ২০১৬

সালথায় সংঘর্ষে আহত ২০

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফরিদপুর, ৩১ মে ॥ সালথা আওয়ামী লীগের বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর দুইটার দিকে সালথা উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের মাদ্রাসা মাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে সালথা থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকাবাসীরা জানায়, শনিবার পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনে বল্লভদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক নূরুল ইসলাম মিয়া। নির্বাচনে বিজয় উপলক্ষে মঙ্গলবার দুপুরে তিনি আনন্দ মিছিল এবং তার সমর্থক ও কর্মীদের জন্য ভোজনের আয়োজন করেন। সংঘর্ষে গুরুতর আহত ফুলবাড়িয়া গ্রামের সেন্টু মোল্লা (৩০) ও টুকু ফকিরকে (৬০), ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েয়ছে ১৪ জনকে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। অপরদিকে সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনের বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর হয়েছে। মঙ্গলবার সকলে সাড়ে সাতটার দিকে এ ঘটনা ঘটে সালথা উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের ইউসুফদিয়া গ্রামে। শনিবার পঞ্চম ধাপে ভাওয়াল ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন লাভে ব্যর্থ হয়ে দেলোয়ারের ভাইয়ের স্ত্রী মমতাজ পারভীন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সাভারে আহত ১০ নিজস্ব সংবাদদাতা, সাভার থেকে জানান, নির্বাচনী সহিংসতায় প্রতিপক্ষের হামলায় আওয়ামী লীগের এক দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থীরসহ ১০ কর্মী আহত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার সাভার মডেল থানাধীন বনগাঁও ইউনিয়নের সাধাপুর কাজীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বনগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম জানান, সকালে তার ১০ কর্মী সাধাপুরের বিভিন্ন এলাকায় ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার লাগিয়ে বাসায় ফেরার পথে কাজীপাড়া এলাকায় বনগাঁও ইউনিয়নের বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইদুল ইবনে হাসিব সোহেলের লোকজন তাদের ওপর লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে তার কর্মী ওমর ফারুক, মহিউদ্দিন, কালাম, শফিকুলসহ ১০ জন আহত হয়। এ সময় হামলাকারীরা তাদের সঙ্গে থাকা ৫০ হাজার টাকা ও কয়েকটি মোবাইল ফোন লুট করে পালিয়ে যায়। তারা একটি প্রাইভেটকারও ভাংচুর করে। মৃতব্যক্তিসহ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ থেকে জানান, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে হেরে গিয়ে পরাজিত এক মেম্বারপ্রার্থী প্রতিপক্ষ লোকজনকে নানাভাবে হয়রানি শুরু করেছে। মামলাবাজ খ্যাত ওই মেম্বার প্রার্থী ইতোমধ্যেই এলাকায় থাকেন না এমন এক সংখ্যালঘু নারী ঝর্না রানীকে (৭৮) বাদী বানিয়ে তার নির্বাচনী প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে জমি সংক্রান্ত একটি মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছেন। গাইবান্ধায় পরাজিতকে বিজয়ী ঘোষণার অভিযোগ নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা থেকে জানান, পঞ্চম দফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা পদের নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিজয়ী প্রার্থীর পরিবর্তে পরাজিত প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার একেএম সারুয়ার আলম কেন্দ্রের প্রদত্ত ফলাফল কাটাকাটি করে এই অপকর্মটি করেছেন বলে অভিযোগে জানা গেছে। ইউনিয়নের কুমেদপুর ১নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পুঁটিমারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কুমেদপুর ২নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের কর্তব্যরত প্রিজাইডিং অফিসার স্বাক্ষরিত ফলাফল শীট অনুযায়ী গণনা করে দেখা যায়, সংরক্ষিত মহিলা পদে ইসমত আরা (বক) ১ হাজার ৫ শ’ ১৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বেলা বেগম (কলম) ভোট পেয়েছেন ১ হাজার ১ শ’ ২৪। অথচ কুমেদপুর ১নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রদত্ত ফলাফল শীট কাটাকাটির মাধ্যমে ফলাফল পরিবর্তন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে প্রদত্ত ফলাফল শীটে বেলা বেগম (কলম) কে বিজয়ী দেখানো হয়েছে। এদিকে নদী ভাঙনের কারণে সৃষ্ট সীমানা সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে মামলা থাকায় গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের নির্বাচন স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার দুপুরে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাচন অফিসে এসে পৌঁছলে নির্বাচন স্থগিতের বিষয়টি জানা যায়। ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শফিকুর রহমান আকন্দ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, হাইকোর্টে দায়ের করা একটি রিট পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত ওই ইউনিয়নের নির্বাচন ৩ মাসের জন্য স্থগিতের আদেশ দেন। ময়না ইউপি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা সংবাদদাতা, বোয়ালমারী, ফরিদপুর থেকে জানান, অবশেষে আগামী ৪ জুন উপজেলার ময়না ইউপি নির্বাচনের ভোট গ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণায় প্রার্থী ও ভোটাররা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। সোমবার রাতে উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে নির্বাচন কমিশন থেকে এ সংক্রান্ত একটি ই-মেইল পেয়েছেন বলে জানান নির্বাচন কর্মকর্তা আল-আমিন।
×