ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

যৌতুক ॥ গৃহবধূর মুখ থেঁতলে দিল স্বামী

প্রকাশিত: ০৩:৪৭, ১ জুন ২০১৬

যৌতুক ॥ গৃহবধূর মুখ থেঁতলে দিল স্বামী

নিজস্ব সংবাদদাতা, রূপগঞ্জ, ৩১ মে ॥ রূপগঞ্জে যৌতুকের টাকা না দেয়ায় স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন রড দিয়ে মুক্তা বেগম নামে এক গৃহবধূর মুখ থেঁতলে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয়, নির্যাতনের পর বাড়ি থেকে বের করে দেয়। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার আতলাশপুর এলাকায় ঘটে এ ঘটনা। গৃহবধূ মুক্তা বেগম উপজেলার পিতলগঞ্জ এলাকার মফিজ উদ্দিনের মেয়ে। গৃহবধূ মুক্তা বেগম জানান, গত ১৫ বছর আগে আতলাশপুর এলাকার মোক্তার হোসেনের ছেলে সুমন মিয়ার সঙ্গে মুক্তা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সায়েম (১৪) ও সানি (৪) নামে দুই ছেলে সন্তান হয়। বেশ কয়েক দিন ধরেই পারিবারিক ঝগড়া-বিবাধ নিয়ে মুক্তা বেগমকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। এছাড়া যৌতুক হিসেবে দুই লাখ টাকা দাবি করা হয়। মঙ্গলবার সকালে টাকা না দেয়ায় স্বামী সুমন, শাশুড়ি শাহিনুর বেগম, দেবর সোহাগ, মহসিনসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন গালিগালাজ শুরু করে। একপর্যায়ে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশ জখম করে। এ সময় গৃহবধূ মুক্তা বেগমের মুখ রড দিয়ে থেঁতলে দিয়ে বাড়ি থেকে বিতাড়িত করে দেয়। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে মুক্তা বেগমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। দুদকের ভেতরেই দুর্নীতি ॥ হাজার হাজার মামলা ডিপফ্রিজে দুদক চেয়ারম্যান স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশনের ভেতরেই দুর্নীতি রয়ে গেছে। আমি গত আড়াই মাসে দেখেছি, অনুসন্ধান-তদন্ত যে সময়ে করার কথা, সে সময়ে করা হয় না। সত্য বলতেই হবে। সত্য বলার পেছনে কিছু নেই। দুর্নীতি দমন কমিশনের হাজার হাজার মামলা ‘ডিপফ্রিজে’ পড়ে আছে। অথচ কথা ছিল, তারা (দুদক কর্মকর্তারা) ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করবেন। আমি একটি মামলাও দেখিনি ৩০ দিনে অনুসন্ধান শেষ হয়েছে। দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, ১০ বছর আগের নথিও আমার কাছে আসে। মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী শিল্পকলা একাডেমিতে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের শ্রেষ্ঠ মহানগর, জেলা ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্যদের পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দুদকের ভেতরের দুর্নীতি দূর করতে ইতোমধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কেন এসব নথি পড়ে রয়েছে তার ৮৭৩টি ব্যাখ্যা দিতে দুদকের কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে। একটি সংস্থা যদি এই অবস্থায় চলে, তাহলে কীভাবে এই সংস্থা কাজ করবে? সংস্থার ওপরে কীভাবে মানুষ বিশ্বাস রাখবে? তিনি বলেন, মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে। বিশ্বাস অর্জন করতে হবে। বিশ্বাস সমাজের চালিকা শক্তি।
×