ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

জয়ের নকল ভিডিও করে জালিয়াতিতে ফেঁসেছে বিএনপি

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ৩১ মে ২০১৬

জয়ের নকল ভিডিও করে জালিয়াতিতে ফেঁসেছে বিএনপি

শংকর কুমার দে ॥ প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তাঁর তথ্য প্রযুক্তি-বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ভিডিও জালিয়াতি করতে গিয়ে প্রতারণা ও জালিয়াতিতে ফেঁসে গেছে বিএনপি। ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্ট মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর বৈঠকটি ধামাচাপা দিতে গিয়ে জয়ের সঙ্গে মেন্দি এন সাফাদির ভিডিও জালিয়াতি করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক উপদেষ্টা জাহিদ এফ সর্দার সাদি বিএনপির পক্ষে এর আগে সেনা প্রশিক্ষণের ভিডিও নির্যাতন দৃশ্যের জালিয়াতি করেছে। এই জাহিদ সর্দার সাদি বিগত ৯ বছরে ২৭ বার গ্রেফতার হয়েছে ভিডিও, স্বাক্ষর জালিয়াতিসহ রাজনৈতিক প্রতারণা ও শঠতার অভিযোগে। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীকে ইসরাইলের এজেন্টে মেন্দির সঙ্গে দিল্লীতে বৈঠক করে নির্বাচিত সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় পুলিশের করা দশ দিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানি হবে মঙ্গলবার এবং মতিঝিল ও লালবাগ থানার নাশকতার দুই মামলায় দশ দিন করে ২০ দিনের রিমান্ড আবেদন আদালত শুনবে ৬ জুন। এই খবর দিয়েছে আদালত ও গোয়েন্দা সংস্থা। গোয়েন্দা সংস্থার সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর পুত্র জয়কে ফাঁসাতে গিয়ে মেন্দির সঙ্গে যে নকল ভিডিও তৈরি করে জালিয়াতি করা হয়েছে তার নেপথ্য নায়ক হচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের সাবেক উপদেষ্টা জাহিদ এফ সর্দার সাদি। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এই সাদি শুধু এবার যে জয়েরই নকল ভিডিও জালিয়াতি করেছে তা নয়, এর আগেও সে এতই জালিয়াতি, প্রতারণা, শঠতায় পাকা যে গত ৯ বছরে ২৭বার গ্রেফতার হয়েছে। তার এই গ্রেফতারের খবরটি ঠিকানা পত্রিকায় ছাপাও হয়েছে, যার প্রতিবাদ পর্যন্ত করেননি সাদি। সাদি যে কত বড় নকল ভিডিও তৈরি করে তা ছড়িয়ে দিয়ে অপপ্রচার করার বিষয়ে পারদর্শী তার একটি উদাহরণ দেয়া হলো। ২০১৫ সালের মে মাসের ৭ তারিখে একটি বেসরকারী অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে ‘সেনা প্রশিক্ষণের ভিডিও হলো নির্যাতন দৃশ্য’ ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করা হয়। সেনাবাহিনীর কমান্ডো প্রশিক্ষণের ভিডিওটিকে নির্যাতনের ভিডিও বলে ফেসবুকে চালানোর মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে জনগণকে উস্কানি দেয়ার চেষ্টা করা হয় দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। কে এই উস্কানিদাতা তার খোঁজ নেয় গোয়েন্দা সংস্থা। খোঁজ নিয়ে গোয়েন্দারা জানতে পারে যে, এই নকল ভিডিওটি জালিয়াতি করে ফেসবুকে আপলোড করেছে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বিএনপি চেয়ারপার্সনের সাবেক উপদেষ্টা জাহিদ সর্দার সাদি। জাহিদ সর্দার সাদি ভিডিও চিত্রের ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর নির্যাতনের চিত্র দেখুন। আওয়ামী লীগ সরকারের বিরোধিতা করতে গিয়ে এভাবে নির্যাতনের শিকার হতে হয় বাংলাদেশের গর্বিত সেনাবাহিনীকে। তাহলে সাধারণ জনগণের অবস্থা কি হবে একটু ভাবুন।’ সাদি তার নকল ভিডিও চিত্রে দেখায় যে, সামরিক পোশাকে একদল সেনা সদস্যের হাত ও পা পিছমোড়া করে বেঁধে একটি মাঠে ফেলে রাখা হয়েছে, তাদের মুখে কিছু গুজে দেয়া হয়েছে, আর্তনাদ করতে শোনা যাচ্ছে, কয়েকজন সেনাসদস্যকে দাঁড়িয়েও থাকতে দেখা যায়। এক মিনিট ৩২ সেকেন্ডের ওই ভিডিও চিত্রটি। জাহিদ এফ সরদারের ভিডিওটি শেয়ার করানো হয় এবং লাইক করানো হয় ২০ হাজার ৫১৮টি। এই ভিডিওটি পোস্ট করার পর জানা যায়, এটা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কমান্ডো ট্রেনিংয়ের একটি দৃশ্য। এই ড্রিল ভিডিওটাকেই সেনাবাহিনীর ওপর নির্যাতনের ভিডিও বলে চালানো হয়, যেটা মিথ্যা ও অত্যন্ত দুঃখজনক। এই বিষয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য মিথ্যার ফাঁদে পা না দিতে সতর্ক করে দেয়া হয় এবং জাহিদ এফ সর্দার সাদির এই প্রতারণামূলক ভিডিওটি ফাঁস হয়। জাহিদ এফ সর্দার সাদির রাজনৈতিক প্রতারণা, শঠতা ও জালিয়াতির ঘটনার শেষ নেই। তার সঙ্গে আছে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আরও বিএনপি নেতা। এর মধ্যে বিএনপি নেতা ডা. মজিবুর রহমান মজুমদার অন্যতম। এর মধ্যে আরেক বিএনপির নেতার পুত্র সিজারের তো জয় অপহরণের চেষ্টার তথ্যাদি চুরির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কারণে জেল হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রেই। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বিএনপির নেতার আরেকটি জালিয়াতির ঘটনার উদাহরণ হচ্ছে, জাহিদ এফ সর্দার সাদির সঙ্গে আরেক যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বিএনপি নেতা মজিবুর রহমান মজুমদার মিলে একটি ভুয়া বিবৃতি পাঠিয়েছিলেন। সেই ভুয়া বিবৃতিটি হচ্ছে, বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ করা এবং তার ছেলে তারেক রহমাননের বক্তব্য প্রচারের নিষেধাজ্ঞা আরোপের নিন্দা জানিয়েছিল বলে ভুয়া বিবৃতি পাঠানো হয়। সেই ভুয়া বিবৃতিটি হচ্ছে কংগ্রেস সদস্যদের একটি বিবৃতি। এটা যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের দুটি অনলাইন সংবাদ পোর্টালে এবং বাংলাদেশের কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে ছাপানো ও প্রচারের ব্যবস্থা করেন তারা। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস সদস্যদের নামে ভুয়া বিবৃতিটি ছাপানো ও প্রচার করা হলে বিবৃতি পাঠিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে দুই কংগ্রেস সদস্য। প্রবাসী বিএনপি নেতাদের প্রতারণা এখানেই শেষ নয়, অন্তহীন। প্রধানমন্ত্রীর পুত্র জয়ের নামে যুক্তরাষ্ট্রে ৩০০ মিলিয়ন ডলার, জয়ের নানা, মামারা ব্যাংক ডাকাত, ‘৭৪ সালের চেয়েও ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে, হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে দেয়া হচ্ছে শিরোনামে ফেসবুকে পোস্ট করা হয়েছে, যা চরম মিথ্যাচার, ভুয়া, জালিয়াতি, প্রতারণার অপপ্রচার। এসব ঘটনা আবার বিএনপির নেতাদের মুখ দিয়েও বক্তৃতা বিবৃতিতে প্রকাশ করে মিথ্যাকে সত্যে পরিণত করার অপচেষ্টা করা হয়, যা ঘটনার পর পরই আওয়ামী লীগ ও জয়ের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানোসহ চ্যালেঞ্জ দেয়া হয়। কিন্তু বিএনপির নেতারা আওয়ামী লীগ ও জয়ের বিবৃতির চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে এগিয়ে আসেননি। অনুরূপভাবে মেন্দির সঙ্গে জয়ের বৈঠকের নকল ভিডিও তৈরি করে জালিয়াতির ঘটনারও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। জয়ের সঙ্গে মেন্দি এন সাফাদির যে ভিডিওটি ফেসবুক ও ইউটিউবে ভাইরাল করা হয়েছে, সেটি ক্রোমা স্টুডিওতে ধারণ করা এবং গ্রাফিক্যাল এডিট করে পরবর্তীতে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ছবি এডিট করে সংযুক্ত করা হয়েছে ভিডিওটিতে। মূল স্টুডিওর পেছনে সবুজ পর্দা দেখলেই অনুমান করা সম্ভব ভিডিও ধারণ করার সময় মেন্দি এন সাফাদির সামনে সজীব ওয়াজেদ জয়ের কোন ছবিই ছিল না, যা পরে যুক্ত করে দেয়া হয়েছে। সাক্ষাতকারে মেনদি এন সাফাদির কথাও একাধিকবার অসংলগ্ন মনে হয়েছে। টাইম টিভিকে দেয়া সাক্ষাতকারে সাফাদি একবার বলছেন, সজীব ওয়াজেদ জয়কে তিনি চিনতেন না। আবার ভিডিওর একটি অংশ মেন্দি বলেছেন, সজীব ওয়াজেদ জয় তাকে বলেছেন, তার সরকারকে সহায়তা দিতে মেন্দির কাছে সহায়তা চেয়েছিলেন জয় ! একই ব্যক্তির দুই ধরনের বক্তব্য এবং ভিডিও সম্পাদনার দুর্বলতার কারণে মেন্দি সাফাদির ভিডিওটি যে মিথ্যা, ভুয়া নকল ও জালিয়াতি করা হয়েছে তা সহজেই বুঝা যায়। শুধু তাই নয়, সাফাদিকে যেখানে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ছবি দেখানো হয়েছে সেখানে কোন ছবিই আদতে ছিল না। ছবি না দেখেই সাফাদি যে এক্টিং করেছে তাতে পরিষ্কার যে বিষয়টা সাজানো এবং পরস্পর যোগসাজশে তৈরি হয়েছে। আপনারা জালিয়াত জাহিদ এফ সরদার সাদীর পেজে গেলে কিছু ছবি পাবেন যেখানে খেয়াল করবেন যে ২৬ তারিখ বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টা ১৭ মিনিটে সে সাফাদির সাথে শ্যাম্পেন পানরত অবস্থায় ছবি দিয়ে বলছে ভিডিওসহ ব্রেকিং নিউজ আসছে। এরপর সে আরও কিছু ছবি দেয়, যেখানে জালিয়াত জ্যাকব মিল্টন এবং ৬ কংগ্রেসম্যানের স্বাক্ষর জালকারী বিএনপি নেতা সরদার এফ সাদী একটি হাল্কা সবুজ ব্যাকগ্রাউন্ডের স্টুডিওতে সাফাদির সাথে বসে আছেন। মেন্দি এন সাফাদি ও জাহিদ এফ সর্দার সাদীর পোশাক খেয়াল করলেই বোঝা যায়, একই পোশাক পরে যুক্তরাষ্ট্রে টাইম টেলিভিশনে তাদের আরও ছবি আছে। স্টুডিওর চেয়ারগুলো খেয়াল করলেও বুঝা যায় সেটাও একই। এছাড়া ভিডিও ভালভাবে খেয়াল করলে দেখা যায়, সব কিছুতেই বিশেষ করে সাইনি অবজেক্টগুলোতে সবুজের একটা ছায়া আছে যা পেছনের ব্যাকগ্রাউন্ডেরই রিফ্লেকশন। সাফাদি মিথ্যা বলছে, কারণ যখন তাকে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ছবি দেখানো হয়েছে বলা হচ্ছে তখন আসলে ব্যাকগ্রাউন্ডে সবুজ দেয়াল ছাড়া আর কিছুই ছিল না। এতে প্রমাণ হয় জয়ের সঙ্গে মেন্দির বৈঠকের ঘটনাটা পূর্বপরিকল্পিত ও সাজানো বৈকি। আসলাম চৌধুরীর রিমান্ডের শুনানি আজ মঙ্গলবার ॥ সোমবার তিন মামলায় আসলাম চৌধুরীকে ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় পুলিশের আবেদন করা রিমান্ডের শুনানি আজ মঙ্গলবার। রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় রিমান্ড শুনানি করেন মহানগর হাকিম মারুফ হোসেন। আর মতিঝিল ও লালবাগ থানার নাশকতার মামলার শুনানি করেন হাকিম গোলাম নবী ও মাজহারুল ইসলাম। আদালাভাবে শুনানির নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন তিনজন বিচারক। নাশকতার মামলার রিমান্ডের আবেদনের শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৬ জুন। ইসরাইলের ক্ষমতাসীন দল লিকুদ পার্টির সদস্য মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গত ১৫ মে ঢাকার খিলক্ষেত থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে আসলাম চৌধুরীকে। তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে ৭ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। এবার রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় দ্বিতীয় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবারও রিমান্ডের আবেদন জানায় পুলিশ। এ বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করেই আসলামের আইনজীবীরা হাইকোর্টে যান, যা আদেশের অপেক্ষায় রয়েছে। চট্টগ্রামের নেতা আসলাম চৌধুরীকে মাস খানেক আগে বিএনপির নতুন কমিটিতে যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে মনোনীত করেন খালেদা জিয়া। আর লিকুদ পার্টির সদস্য মেন্দি এন সাফাদি ইসরাইলের বর্তমান সরকারের উপমন্ত্রী এম কে আয়ুব কারার একজন সাবেক উপদেষ্টা। নিজের নামে মেন্দি এন সাফাদি সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল ডিপ্লোমেসি এ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস প্রতিষ্ঠানটি চালান তিনি। সম্প্রতি ভারতের এক সম্মেলনে তাদের দুজনের সাক্ষাতের ছবি ও খবর গণমাধ্যমে এলে আলোচনার সূত্রপাত হয়। আওয়ামী লীগ নেতারা অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনা সরকারকে উৎখাত করতে বিএনপি ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইল এবং দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে মিলে ‘ষড়যন্ত্র’ করছে। তবে আসলাম বা সাফাদি কেউই ভারতে ওই সাক্ষাতের খবর অস্বীকার করেননি। সাফাদিও বিবিসির বাংলাকে এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, আসলামের সঙ্গে প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে দেখা হয়েছে স্বীকার করেন। তবে তাদের মধ্যে কোন গোপন বিষয়ে কথা হয়নি। আসলাম চৌধুরীর আইনজীবী সানাউল্লা মিয়া বলেছেন, যে ধারায় আসলাম চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তা বৈধ কি না- এ বিষয়ে হাইকোর্টের নির্দেশনার প্রয়োজন রয়েছে। আমরা এ বিষয়টি মাননীয় আদলতকে জানালে তিনি বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে শুনানির দিন পিছিয়েছেন। গত ১৫ মে আসলাম চৌধুরীকে গ্রেফতার করে পরদিন আদালতে তোলে পুলিশ। সন্দেহভাজন হিসেবে ৭ দিনের রিমান্ড শেষে ২৪ মে তাকে আদালতে হাজির করার পর নতুন করে নাশকতার দুটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ২০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। মতিঝিল থানার মামলাটি গত বছরের ৪ জানুয়ারির এবং লালবাগ থানার মামলাটি গত বছরের ৫ জানুয়ারির। দুই মামলায় ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এরপর গত ২৬ মে গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক গোলাম রব্বানি গুলশান থানায় আসলামের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটি করেন, যেখানে ফৌজদারি দন্ডবিধির ১২০/বি (রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র), ১২১/এ (রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার ষড়যন্ত্র) এই রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাতেও আসলামকে ১০ দিনের রিমান্ডে চেয়ে আদালতে আবেদন করে পুলিশ। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, “সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশকে জঙ্গী রাষ্ট্র বানানোরপ্রচেষ্টায় নানা ধরনের নাশকতামূলক কার্যক্রম, ষড়যন্ত্রমূলক হত্যা ও বোমাবাজির সঙ্গে আসামি আসলাম চৌধুরীর যোগসূত্র রয়েছে। ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য তাকে রিমান্ডে নেয়া প্রয়োজন বলে রিমান্ড আবেদনে উল্লেখ করা হয়। আজ মঙ্গলবার রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় আসলাম চৌধুরীরকে রিমান্ডের আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার দিন ধার্য।
×