ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মারুফ রায়হান

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৩:৪৭, ৩১ মে ২০১৬

ঢাকার দিনরাত

কাল থেকে শুরু হচ্ছে জুন মাস। পেরিয়ে এলাম বছরের সবচেয়ে উত্তপ্ত মাস মে। তবে এটাও অনস্বীকার্য যে এবারের মে মাসটি ছিল মিশ্র; এতে তাপপ্রবাহ যেমন ছিল, তেমনি আবার বর্ষণ ধারায়ও সিক্ত হয়েছে প্রকৃতি। ঢাকার অসহনীয় গরমের দিনগুলোতে হঠাৎ স্বস্তি এনে দিয়েছে ওই বর্ষা। অবশ্য শেষ সপ্তাহের বর্ষণমুখর দিনগুলো রাজধানীবাসীকে আগাম বর্ষার কথাই মনে করিয়ে দিয়েছে। মে তো শুধু আবহাওয়ার উত্তাপের দর্প ছড়ায় না, তাতে থাকে উষ্ণতাও। কীভাবে? আমাদের প্রাণের দুই কবি রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের জন্মতিথি এই মে মাসেই। আর রাজধানীও এ উপলক্ষে নানাভাবে প্রাণবন্ত, শিল্পসিক্ত এবং উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। সে তো প্রাণেরই উষ্ণতা। সে যাক, বলছিলাম জুনের কথা। জুন মাসটি জাতীয় অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ, সন্দেহ নেই। কেননা এ মাসেই জাতীয় সংসদে বাজেট পেশ করা হয়। এই জুনের প্রথম সপ্তাহেই শুরু হচ্ছে রোজা। রোজা অনেককাল ধরে ব্যবসায়ীদের কাছে অধিক মুনাফা-বাসনার মাস। কিন্তু জুন আসার আগেই যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে গেল! তার কী হবে? শুধু ইফতারির আইটেমে ব্যবহৃত দ্রব্যÑ যেমন ছোলা, মসুর ডাল, খেজুর ইত্যাদির দাম বাড়লে না হয় একটা কথা ছিল। বেড়েছে প্রায় সব ধরনের খাদ্যদ্রব্যেরই দাম। কে জানে সামনে আরও কত উর্ধমুখী হবে এই অসাধু প্রবণতা। ফলে ভরপুর নগর আমরা বার বার শুনছি- ঢাকা পৃথিবীর বসবাসের সবচেয়ে অযোগ্য শহর। কিন্তু শহরটা বাসযোগ্য রাখার জন্য দিনরাত কিছু মানুষ যে কাজ করে চলেছে, সে কথা সেভাবে আমরা বলি না, শুনিও না। কোথাও তাদের স্বীকৃতি নেই। স্বীকৃতি তাদের কাম্য নয়। কেউ বা মুখ লুকান ক্যামেরা থেকে। দাবি একটাই, আড়ালে থেকে কাজ করতে চাই। আমাদের এক বন্ধু দিন কয়েক ধরে ঢাকার রাস্তায় কি কি ফলের গাছ আর পাখির বাসা আছে তার ছবি তুলেছেন। বেরিয়ে এসেছে অবাক হওয়ার মত তথ্য। কি নেই ঢাকায়? এখনও আম, জাম, পেয়ারা লেবু, আমলকী, কাঁঠাল, কলা, জামরুল, বেতফল, কামরাঙ্গা, পেঁপে, তাল, নারিকেল, সুপারি, তেঁতুল, জলপাইসহ রয়েছে কত গাছ। গাছগুলোয় ফল ধরে, অনেক ফল গাছেই পাকে। কিছু গাছে পাখির বাসাও আছে। এ রকম গাছ, ফল, ফুল দিয়ে বন্ধুটি এ্যালবাম করেছেন। সেখান থেকে আগামীতে কিছু ছবি দেয়া যাবে। প্রশ্ন হচ্ছে ফল, ফুল, গাছ থাকবে তো নিরাপদ? একটা পাখি যখন বটের ফল মুখে নিয়ে উড়াল দেয় তখন সে দৃশ্য দেখে অনেকেরই প্রাণ জুড়ায়। আর যিনি গাছটা লাগিয়েছিলেন, তার কেমন অনুভূতি হয়? নিশ্চয়ই তার মনে হয়- গাছটা লাগিয়ে ছিলাম শুধু এই দৃশ্যটা দেখার জন্যই। এতেই সার্থকতা। নিজের মনের তৃপ্তির আর প্রকৃতির প্রতি ভালবাসায় ঢাকাবাসী গাছ লাগান ঢাকার রাস্তায়। আসা যাক ফলের কথায়। ঢাকার বারো মাস বিকিকিনিতে ব্যস্ত ফলের দোকান তো রয়েছেই, গত এক মাসে ঢাকা জুড়ে অস্থায়ী ভাসমান ফলের দোকানও বসেছে প্রচুর। এমনকি ভ্রাম্যমাণ ফলের দোকানও দেখা যাচ্ছে শহরে। ঝুড়িভর্তি আম কিংবা লিচু নিয়ে ফুটপাথে বসে পড়ছেন গ্রাম থেকে আসা মৌসুমী দোকানি। এসব ছোট ছোট দোকানির কাছে বরং কিছুটা কম দামে ফল পাওয়া যায়। অভিজাত সুপার শপগুলো থেকেও বহু লোক ফল কেনেন। তবে যারা বেশি খুঁতখুঁতে তারা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত দোকান নয়, বরং রাস্তার পাশের খুচরা ফল বিক্রেতার কাছ থেকে দেখেশুনে দরদাম করে ফল কিনতে পছন্দ করেন। বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে মৌসুমী ফলের কল্যাণে ঢাকার রূপ যেমন কিছুটা বদলে যায়, তার গন্ধেও খানিকটা পরিবর্তন আসে বৈকি। গন্ধ বলতে সুঘ্রাণ ও দুর্গন্ধ দুটোই বলা যায়। মন্দটায় পরে আসছি। আগে নগর সুশ্রিতার কথা বলা যাক। বিচিত্র রঙের ফলে ভরে ওঠা দোকানগুলো দেখতে ভারি ভাল লাগে, আর তা আমাদের গ্রামের কথাও মনে পড়িয়ে দেয়। গ্রীষ্মে রসাল ফল দেহের জন্য উপকারী তা বলাই বাহুল্য। অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে বেশি পুষ্টি পাওয়ার উপায় হলো মধুমাসে মৌসুমী ফল খাওয়া। বিশেষ করে তরমুজের দুটি ফালি কিংবা কাঁঠালের দশ-বারোটি কোয়া খেলে এক বেলার খাবার হয়ে যায়। ঢাকার শ্রমজীবী মানুষ বলতে সবার আগে যে কয়টি পেশার নাম চলে আসে তার ভেতর রয়েছে রিক্সাচালনা, পোশাক-শ্রমিক ও নির্মাণ-মজুর। এদের সীমাবদ্ধ আয়ের টাকা দিয়ে ক্রয়ক্ষমতা আর কতটুকুই বা অর্জিত হয়। তাই রাজধানীতে রাস্তার পাশে এদেরই এক ফালি তরমুজ কিংবা এক প্লেট কাটা আনারস কিনে খেতে বেশি দেখা যায়। যারা খুচরা ফল বিক্রেতা তারাও দরিদ্র শ্রেণীরই অন্তর্ভুক্ত। গত সপ্তাহে ঢাকায় র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত তিন ফল বিক্রেতাকে দ- দিয়েছে। কবুল করছি, এই খবর পড়ে আমার মন খারাপ হয়ে গেছে। বড় ব্যবসায়ীরা দুর্নীতি করেও আইনের হাতে ধরা খান না, অথচ...। ফল বিক্রেতা একজনের অপরাধ ছিল মেয়াদোত্তীর্ণ খেজুর রাখার। যেসব আড়তে মেয়াদোত্তীর্ণ খেজুর রাখা হয়, কিংবা যারা মেয়াদোত্তীর্ণ খেজুর আমদানির সঙ্গে যুক্ত থাকেন এমন কারও শাস্তি পাওয়ার কথা কি আমরা শুনেছি কখনও? কিন্তু বেচারা জামালকে গুনতে হবে জরিমানার ত্রিশ হাজার টাকা, অনাদায়ে খাটতে হবে তিন মাসের জেল। আর সুমন ও আনিসুর সাজা পেয়েছেন দশ হাজার টাকার। অপরাধ হলো প্রতি ঝোপায় উল্লিখিত সংখ্যার চেয়ে কমসংখ্যক লিচু বিক্রি করা। হ্যাঁ, এটা বোধহয় এক শ’তে এক শ’ পাওয়ার মতোই অবস্থা। এক শ’ লিচু কিনলে কখনই ১০০ লিচু মেলে না। ৫ থেকে ১০টি লিচু কম থাকবেই। কিন্তু কথা হচ্ছে, রাজধানীর হাজারে হাজার লিচু বিক্রেতা কি ওই দুজনের জরিমানার ঘটনা থেকে শিক্ষা নেবেন? কিছু কম লিচু দেয়ার বিষয়টিকে কি কোনো বিক্রেতা অপরাধ বলে মনে করেন? কয়েক লিচুওয়ালার সঙ্গে কথা বলে দেখেছি এটিকে তারা কোন বিষয়ই মনে করেন না। হয়ত মুখে স্বীকার করেন না, কিন্তু মনের ভেতর কি তাদের কোন অপরাধবোধ থাকে না। তাছাড়া লিচুওয়ালাদের কথাইবা আমরা কেন বলছি, মাপে কম দেন না এমন দোকানি কি মিলবে হাজারে দু’চারটে? এই নীতিনৈতিকতার প্রশ্নগুলো আমরা গরিব বিক্রেতাদের বেলায় বেশি বেশি তুলে নিজেদের ধোয়া তুলসীপাতা ভাবতে চাই। গোটা সমাজেরই রন্ধ্রে রন্ধ্রে বয়ে চলেছে এজাতীয় অনৈতিকতার ধারা। তার পরও ঢাকার মৌসুমী ফল বিক্রেতাদের স্খলন আমাদের যতখানি ব্যথিত করে, তার চেয়ে বেশি আনন্দ কি পাই না ওদের শাস্তি পাওয়ার ঘটনায়! বাসাবাড়ির সদস্যদের খাওয়া ফলের উচ্ছিষ্ট যথানিয়েমে অন্য ময়লা-আবর্জনার সঙ্গে ঘর থেকে নিষ্ক্রান্ত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু ফলের দোকানগুলোর বেলায় নষ্ট ও পচা ফল ছাড়াও রয়েছে ফল গাছের পাতা ডাঁটা, ফলের উচ্ছিষ্ট ইত্যাদি। সেসব সুষ্ঠুভাবে অপসারণের বিধিব্যবস্থা আমরা পুরোপুরি গড়ে তুলতে পারিনি, যদিও আমরা তা স্বীকার করি না। ফলে রাস্তার পাশে যত্রতত্র জমে উঠছে মৌসুমী এই উচ্ছিষ্ট-আবর্জনা। ঢাকা ভারাক্রান্ত হচ্ছে বর্জ্য ও উচ্ছিষ্টে। স্বভাব কি যাবে? হঠাৎ করেই চোখ গেল সেখানে। ফুটওভার ব্রিজটা কি এগিয়ে এলো ২০ গজ? বিমানবন্দরের সামনের সড়কের কথা বলছি। প্রতিদিন উত্তরা থেকে অফিসে যাওয়া-আসার সময় এখানকার হাল দেখি। শত শত মানুষ দাঁড়িয়ে থাকেন রাস্তা পারাপারের জন্য। অথচ কাছেই রয়েছে ফুটওভার ব্রিজ। কাছে বলতে কুড়ি গজ। কুড়ি গজ হাঁটতে হবে বলে লোকজন ওই সেতু মাড়ান না। এমন একটা যুক্তি থেকে নতুন আরেকটি ফুটওভার ব্রিজ তৈরি হচ্ছে। এটি অবশ্য আগেরটার মতো অত চওড়া নয়। তবে দুই পাশে একটি করে স্বয়ংক্রিয় সিঁড়ি (এ্যাসকেলেটর) থাকছে। বিমানবন্দর চত্বর এলাকায় কিছুক্ষণ দাঁড়ালে দেখা যায়, প্রতি মিনিটে ৩০-৩৫ জন ঝুঁকি নিয়ে সড়ক পারাপার হচ্ছেন। কেউ হাত উঁচিয়ে, কেউ যানবাহনের সামনে দিয়ে দৌড়ে পার হচ্ছেন। সড়কের কয়েক জায়গায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক উত্তর বিভাগের পক্ষ থেকে ‘রাস্তা পারাপারে ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করুন’, ‘যত্রতত্র রাস্তা পারাপার দণ্ডনীয় অপরাধ’ লেখা সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে। লোকজন এসব সাইনবোর্ডের সামনে দিয়েই রাস্তা পার হচ্ছেন। ডিএনসিসির প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ করছে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ডকইয়ার্ড এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেড, নারায়ণগঞ্জ। ভাবছিলাম পথচারীর স্বভাবে কি যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে ওই নতুন ফুট ওভারব্রিজ? আজ শেষ হচ্ছে ঢাকা বইমেলা ঢাকা বইমেলা আবারও ভেন্যু পরিবর্তন করল। মনে আছে এক সময়, হয়ত বছর কুড়ি হবে, বছরের প্রথম দিন শুরু হতো ঢাকা বইমেলা। প্রথম প্রথম বিজয় সরণির পাশে সামরিক জাদুঘরের মাঠে এটা হতো। পরে ঢাবির খেলার মাঠে এমনকি সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানেও হয়েছে। এবার হচ্ছে শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে। একটা সুনির্দিষ্ট ভেন্যু ঠিক করা দরকার মেলার। যাহোক, আজই এই বইমেলার শেষদিন। এখনও যেসব বইপ্রেমী এই মেলায় যাননি, তারা সুযোগ হাতছাড়া করবেন না- এটাই অনুরোধ। ফুসফুস ফুঁসত যদি... ক্লাস টুয়ের শিশুও জানে যা না হলে মানুষের এক দ-ও চলে নাÑ তার নাম অক্সিজেন। সেই অক্সিজেন মানবদেহের যে প্রত্যঙ্গ গ্রহণ করছে তা ফুসফুস। ঢাকাবাসীর ফুসফুস ফুঁসে ওঠার কথা তার ওপর অত্যাচারের বহর দেখে। তার বদলে তার ভোগান্তিই বাড়ছে কেবল। রাজধানী ঢাকার জনসংখ্যা এখন দেড় কোটির বেশি। এই দেড় কোটি মানুষ যে কতটা অসহায় তা ভাবতেও কষ্ট হয়। নিশ্বাস নিতে না পারলে কোন মানুষ বাঁচতে পারে না। অথচ নিশ্বাস নিতে গিয়েই ঢাকার বাসিন্দারা ধীরে ধীরে মৃত্যুমুখে পতিত হচ্ছে। কারণ, নিশ্বাসে যে বায়ু তারা ফুসফুসে টেনে নিচ্ছে, সেই বায়ু এতটাই দূষিত যে তা তাদের ফুসফুসকেই অকেজো করে দিচ্ছে। নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ঢাকা শিশু হাসপাতাল সম্প্রতি ঢাকার ১১টি এলাকায় পাঁচ শতাধিক মানুষের ওপর একটি গবেষণা চালিয়ে তার প্রমাণও পেয়েছে। ফুসফুসের সক্রিয়তা বা পিএফটি (পালমোনারি ফাংশন টেস্ট) পরীক্ষায় দেখা যায়, ঢাকার ২৩ দশমিক ৪৭ শতাংশ মানুষ ফুসফুসের কোন না কোন রোগে আক্রান্ত। এর মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধদের সংখ্যাই বেশি। কিন্তু এখানে বাসিন্দাদের কিছুই করার নেই। ঘর থেকে তাদের বেরোতেই হবে। নিশ্বাস নিতেই হবে। আর দূষিত এবং ক্ষেত্রবিশেষে বিষাক্ত বাতাস ফুসফুসে ঢুকবেই। শুধু কি ফুসফুসের রোগ? ব্যাপকভাবে দূষিত পরিবেশের কারণে হৃদরোগ, লিভার ও কিডনির রোগ, এমনকি ক্যান্সারের পরিমাণও দিন দিন বেড়েই চলেছে। যাঁদের বিষয়গুলো দেখার এবং নিয়ন্ত্রণ করার কথা তাঁরা যেন নাকে তেল দিয়ে ঘুমিয়ে রয়েছেন। অফিসার্স ক্লাবে ইয়াসমীন মুশতারী কবি নজরুলের জন্মবার্ষিকী স্মরণে গত এক সপ্তাহ ধরে ঢাকায় কোথাও না কোথাও উপভোগ্য অনুষ্ঠান হচ্ছে। এসব অনুষ্ঠানের বড় আকর্ষণ যে নজরুলের বৈচিত্র্যময় গান তা না বললেও চলে। ঢাকায় যারা দীর্ঘকাল যাবত নজরুলগীতির সাধনা করছেন, যারা সারাদেশে, এমনকি দেশের বাইরেও সুপরিচিত তাদের ভেতর ইয়াসমীন মুশতারীও আছেন। তার বাবা কবি তালিম হোসেন নজরুলের স্নেহধন্য ছিলেন। এগারোই জ্যৈষ্ঠ কবির জন্মদিনে অফিসার্স ক্লাবে ইয়াসমীন মুশতারী গাইবেনÑ এটা শুনেই সেখানে যাওয়া। একটু দেরিতে শুরু হলো বলে দর্শক-শ্রোতারা আক্ষেপ করবেন কী, শিল্পীর কণ্ঠেই বরং অতৃপ্তি ঝরে পড়ল। জানালেন, সেই সকাল পাঁচটা থেকে কোন না কোন আয়োজনে যুক্ত হয়ে চলেছেন। এই ক্লাব থেকেও যেতে হবে একটি টিভি চ্যানেলে লাইভ অনুষ্ঠানের জন্য। তাই একটু ধীরে সুস্থে মন ভরে গান শোনাতে পারছেন না। বিদায়ের ঘোষণা দেয়ার পরও আরও একটি গান শোনালেন। আসলে এত আগ্রহী শ্রোতা পেলে কার আর আসর ছেড়ে যেতে ইচ্ছে করে। শিল্পী যাই বলুন, গান গাইবার সময় আমাদের একবারও মনে হয়নি তিনি তাড়াহুড়ো করছেন কিংবা গায়কীতে কোন বিচ্যুতি রয়েছে। নজরুলের বিচিত্র ধরনের গান থেকে বেছে নিলেও প্রেমের গানই বেশি গাইলেন। সত্যি মন ভরে যাওয়ার মতো। ধন্যবাদ নজরুলসাধিকা। ২৮ মে ২০১৬ [email protected]
×