ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রাজধানীতে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু

প্রকাশিত: ০৩:৫৭, ৩০ মে ২০১৬

রাজধানীতে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ রবিবার থেকে ট্রাকে করে রাজধানীসহ সারাদেশে ট্রেডিং কর্পোরেশন বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য বিক্রি কার্যক্রম শুরুর কথা থাকলেও চিঠি না পাওয়ায় রাজধানীর বাইরে অনেক জেলায় এখনও শুরু হয়নি এ কার্যক্রম। রাজধানীর প্রেসক্লাবসহ কয়েকটি এলাকায় সকাল থেকে শুরু হয়েছে টিসিবির চিনি, মসুর ডাল, সয়াবিন তেল, ছোলা ও খেজুর বিক্রি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে ভিড়ও। তবে টিসিবির পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়নি, এমন অভিযোগে সিলেট, ফেনীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়নি এ কার্যক্রম। রবিবার সকাল থেকেই বেশিরভাগ ডিলারের দোকানে টিসিবির পণ্য দেখা যায়নি। তবে টিসিবির মালামাল কেনার জন্য সকাল থেকেই আসছেন ক্রেতারা। এদিকে, টিসিবির পণ্য সরবরাহ করা হলেও ডিলাররা পণ্য না নেয়ায় ময়মনসিংহে এখনও শুরু হয়নি পণ্য বিক্রির কার্যক্রম। চট্টগ্রামে কয়েকটি পয়েন্টে পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে। রমজান মাস জুড়ে সারাদেশে ১৭৯টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে চিনি, ছোলা, ভোজ্য তেল, খেজুর ও মসুর ডাল বিক্রি করবে টিসিবি। সংস্থাটি বলছে, পণ্য বোঝাই করতে সময় লাগায় ট্রাকগুলো নির্ধারিত স্থানে পৌঁছাতে পারেনি। তবে, দুপুরের পর সব স্থানে নির্ধারিত পাঁচটি পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করবে তারা। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ভোক্তা স্বার্থে টিসিবির খোলা বাজারে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি কার্যক্রম সফল করতে সমন্বয়ের পাশাপাশি নজরদারি বাড়াতে হবে। প্রতিবছর রমজান আসার আগেই ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ-টিসিবি নির্দিষ্ট কিছু পণ্য ট্রাক ও ডিলারদের মাধ্যমে বিক্রি করে। সাধারণ মানুষকে ন্যায্যমূল্যে পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার পাশাপাশি বাজার সহনীয় রাখাই যার লক্ষ্য। তবে, শুরুর দিনের চিত্র বলছে, সমন্বয়হীনতার কারণে এখনও সবস্থানে পণ্য পৌঁছায়নি। কোন কোন স্থানে পাঁচটি পণ্যের সবগুলো পাওয়া যাচ্ছে না। আবার কোথাও ট্রাক বা ডিলাররা নির্দিষ্ট স্থানে পণ্য বিক্রি করছে না। রাজধানীতে ৩২টি ট্রাক থাকার কথা থাকলেও ৮ থেকে ১০টি স্থানে পণ্য বিক্রি হচ্ছে। এদিকে ন্যায্য দামে পণ্য পেয়ে খুশি ক্রেতারা। তবে ডিলাররা বলছেন, চাহিদানুযায়ী পণ্যের বরাদ্দ না পাওয়ায় বিক্রিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। অবশ্য টিসিবি মুখপাত্র হুমায়ূন কবির বলছেন, পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ থাকলেও সারাদেশে পণ্য পৌঁছাতে কিছুটা দেরি হচ্ছে। অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ বলছেন, আগে থেকেই আমদানি ও সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা গেলে নির্ধারিত সময়ে পণ্য পৌঁছানো যেত। উল্লেখ্য, সারাদেশে ১৭৯টি ট্রাকের মাধ্যমে পুরো রমজান মাস জুড়ে ৫টি পণ্য বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে টিসিবি।
×