ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

শ্বশুরের প্রতারণার শিকার জামাতা : বিচার চেয়ে মানববন্ধন

প্রকাশিত: ২২:১৪, ২৯ মে ২০১৬

শ্বশুরের প্রতারণার শিকার জামাতা : বিচার চেয়ে মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মেয়েকে বিয়ে করে যেন মহা ভুল করেছেন জামাতা! আর তার খেসারত হিসেবে প্রতারণার মাধ্যমে মেয়ের জামাইয়ের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে ছয় লাখ টাকা। ছলচাতুরি করে মেয়েকে দিয়ে ডিভোর্সও পাঠিয়েছেন শ্বশুর। এতেও ক্ষান্ত না হয়ে ক্রমাগত মামলার ভয় দেখিয়ে হুমকি দিচ্ছে। আর অহসায় বেচারা জামাতা কোন কূল না পেয়ে বিচারের দাবিতে রবিবার সকালে মানববন্ধন করেছেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে। নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা থানার চরবহুলী গ্রামের সৈয়দ আলীর ছেলে মো. শহিদুল ইসলাম। যিনি গত ০৬-০৬-১৪ইং তারিখে ময়মনসিংহ জেলার গৌরিপুর থানার মাইলাকান্দার শাহিনার সাথে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবন্ধ হন। শ্বশুরের নামও মো. শহিদুল ইসলাম। যিনি পেশায় একজন মাদ্রসা শিক্ষক। মানববন্ধনে জানানো হয়, শ্বশুর শহিদুল ইসলাম জামাই শহিদুলকে রেখেছেন নানা হয়রানিতে। বিয়েয় পর থেকেই ক্রমাগত ঘুমের ঔষধ খেতো শহিদুলের স্ত্রী শাহিনা আক্তার। বিয়ের একমাস পর বিষয়টি ডাক্তারকে জানালে ডাক্তার পরীক্ষা করে বলেন শাহিনা আক্তার মানসিকভাবে অসুস্থ। এরই মধ্যে শ্বশুর শহিদুল ইসলাম তার মাদ্রাসায় সুপারের পদ খালি হয়েছে এবং তিনি ঐ পদে যেতে চান এই বলে মেয়ের জামাইয়ের কাছে ছয় লাখ টাকা ধার চায়। মেয়ের জামাইও কষ্ট করে সে টাকার ব্যবস্থা করে দেন। যদিও পরবর্তীতে জমি বিক্রি করে টাকা পরিশোধের কথা থাকলেও সে টাকা আর শ্বশুর পরিশোধ করেননি। এরইমধ্যে শাহিনা আক্তার প্রায়ই না বলে বাবার বাড়ি কিংবা কখনো বন্ধুদের বাড়িতে চলে যায়। আতœহত্যা করতে চায়। যার কারণে বাধ্য হয়ে বেচারা স্বামি শহিদুল রমনা থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করেন। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ি স্ত্রী শাহিনা আক্তারকে হ‍াসপাতালে ভর্তি করাতে চাইলেও তা করতে দেননি শ্বশুর। উপরুন্ত পাওনা টাকা না দিয়ে দেনমোহরের টাকার জন্য জামাইয়ের নামে আদালতে মামলা একটি করেন। এর প্রেক্ষিতে স্ত্রীকে নিয়ে সুখে ঘর করার আশায় এবং স্ত্রীকে সুস্থ করার জন্য জামাতাও একটি মামলা করেন যার নং-১৪/২০১৬ইং। মামলা হবার পর থেকেই ক্রমাগত শ্বশুর শহিদুল ইসলাম জামাতা শহিদুল ইসলামকে হুমকি দিচ্ছেন। মূলত ছয় লাখ টাকা আত্মসাতের জন্যই তার মেয়ের চিকিৎসা করাতে দেননি বলেও মানববন্ধনে অভিযোগ করেন। বিষয়টির আইনগত সহায়তা চেয়ে ইতোমধ্যেই মানবাধিকার সংস্থায় গত ২১-০৫-১৬ইং তারিখে একটি আবেদন করা হয়েছে। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, ভুক্তভোগী ব্যক্তি, পরিবারের সদস্যরা, আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশনের চীফ কো-অডিনেটর ফিরোজা নাজমীন, পরিচালক মো. আতাউর রহমানসহ অনেকেই। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন মহলের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন ভোক্তভোগী জামাতা শহিদুল ইসলাম।
×