ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আমাদের উদ্বেগের কথা কেউ শুনছে না ॥ পুতিন

টার্গেটে রুমানিয়া ও পোল্যান্ড

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ২৯ মে ২০১৬

টার্গেটে রুমানিয়া ও পোল্যান্ড

মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যূহ নিজেদের ভূখণ্ডে স্থাপন করতে দিলে রুমানিয়া ও পোল্যান্ড রাশিয়ার রকেটের টার্গেট হতে পারে বলে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শুক্রবার হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন। পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলোতে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো সামরিক জোট যে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েছে মস্কো তাকে নিজের জন্য হুমকি বলে বিবেচনা করে। খবর এএফপি ও বিবিসি অনলাইনের। ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ইস্যুতে এটিই ছিল পুতিনের সবচেয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া। গ্রীস সফররত রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন শুক্রবার গ্রিক প্রধানমন্ত্রী এ্যালেক্সিস সিপরাসকে সঙ্গে নিয়ে যৌথ সংবাদ সম্মেনে বলেন, ‘ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যূহ রাশিয়ার নিরাপত্তার জন্য হুমকি। মস্কো এ নিয়ে বারংবার হুঁশিয়ারি দেয়া সত্ত্বেও ওয়াশিংটন সেটি আমলে নেয়নি। চলতি মাসের শুরুর দিকে মার্কিন সামরিক বাহিনী জানিয়েছিল পূর্ব ইউরোপে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা বূহ্য গড়ে তোলার উদ্দেশ্য ইরানের সম্ভাব্য আক্রমণ প্রতিরোধ করা, এটি রাশিয়ার প্রতি কোন হুমকি নয়। প্রতিরক্ষা কর্মসূচীর একটি অংশ স্থাপন করা হবে রুমানিয়ায়। এছাড়া পোল্যান্ডে যা স্থাপন করার কথা সে কাজ এখন চলছে। সংবাদ সম্মেলনে পুতিন বলেন, ‘রুমানিয়ার জনগণ কিছুদিন আগেও ভাবতে পারেনি তারা রাশিয়ার নিশানার মধ্যে চলে আসবে। একই কথা পোল্যান্ডের জনগণের বেলায়ও প্রযোজ্য।’ মস্কো কি ব্যবস্থা নিতে পারে বিষয়টি তিনি স্পষ্ট করে বলেননি। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, তার দেশ এ ব্যাপারে আগ বাড়িয়ে কিছু করবে না। ওয়াশিংটনের পদক্ষেপের ভিত্তিতেই মস্কো নিজের করণীয় ঠিক করবে। ইরানের সম্ভাব্য আক্রমণ প্রতিরোধ প্রসঙ্গে পুতিন বলেন, ‘তেহরানের পরমাণু কর্মসূচী নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি হওয়ার পর একে কারণ হিসেবে উল্লেখ করা অর্থহীন। বরং ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যূহ থেকে কোন ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হলে রুশ শহরগুলো তার আওতায় পড়বে। আমরা যে এ বিষয়ে আমাদের উদ্বেগের কথা ক্রমাগত জানিয়ে চলেছি তার প্রতি কান দেয়ার গরজ যেন কেউ অনুভব করছে না।’ সংবাদ সম্মেলনে ক্রিমিয়া প্রসঙ্গে পুতিন বলেন, ‘রাশিয়া যা করেছে ক্রিমিয়িার জনগণের ইচ্ছানুসারেই করেছে।’ ইউক্রেনের কৃষ্ণসাগরের তীরবর্তী ক্রিমিয়া উপদ্বীপটি রাশিয়া ২০১৪ সালে নিজের ভূখ-ভুক্ত করে। সংবাদ সম্মেলনে ক্রিমিয়া প্রসঙ্গে পুতিনের বাচনভঙ্গী ছিল যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ‘ক্রিমিয়া প্রসঙ্গটি শেষ হয়ে গেছে। এ নিয়ে রাশিয়া কোন আলোচনা করবে না।’ সংবাদ সম্মেলনে সিপরাস রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা দেশগুলোর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করেন। ইউক্রেনে রুশ হস্তক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় আরেপিত হয় এসব নিষেধাজ্ঞা।
×