ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রসূতির স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের অঙ্গীকারে পালিত হলো বিশ্ব নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস

প্রকাশিত: ০৪:১৩, ২৯ মে ২০১৬

প্রসূতির স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের অঙ্গীকারে পালিত হলো বিশ্ব নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সকল প্রসূতির জন্য মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য অঙ্গীকার করার মধ্য দিয়ে শনিবার পালিত হয়েছে বিশ্ব নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস। সরকারী-বেসরকারী উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় র‌্যালি, সেমিনার ও আলোচনা সভা। আলোচনায় বক্তারা বলেন, প্রশিক্ষিত ধাত্রীর সঙ্কট রয়েই গেছে। শহরাঞ্চলে হাসপাতাল ও ক্লিনিকভিত্তিক সন্তান প্রসবের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু গ্রামাঞ্চলে অদক্ষ ও অপ্রশিক্ষিত ধাত্রী দিয়েই চলছে সন্তান প্রসবের মতো ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। এতে ঝুঁকিতে থাকছেন প্রসূতি মা ও শিশু। শনিবার রাজধানীতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে র‌্যালির আয়োজন করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় জেলা এবং উপজেলা ও তদনিম্ন পর্যায়ে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে একটি র‌্যালি শাহবাগ মোড় থেকে শুরু হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় বক্তারা বলেন, মনিটরিং ব্যবস্থা শক্তিশালী করার পাশাপাশি সকলকে কমিটমেন্ট নিয়ে এগিয়ে যাওয়া দরকার। বর্তমানে বাংলাদেশে মাতৃ মৃত্যুর হার কাক্সিক্ষত পর্যায়ে নামিয়ে আনা যাচ্ছে না। এখন পর্যন্ত সরকার মাত্র ৫৫ শতাংশ মায়ের নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করতে পেরেছে। বাকি ৪৫ শতাংশ মা এখনও নিরাপদ মাতৃত্ব সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। প্রত্যেকটি মায়ের জন্য নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করা দরকার। সন্তান প্রসব করতে গিয়ে একজন মা মরে যাক তা কেউ চায় না। কারণ প্রতিটি মৃত্যুই অনাকাক্সিক্ষত। নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করতে নারীর পাশাপাশি পুরুষদেরও সচেতন করতে হবে। কারণ পুরুষরা এখানও পরিবারের কর্তা হিসেবে ভূমিকা পালন করছে। এ বিষয়ে একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার কোন বিকল্প নেই। পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের কর্মকর্তারা বলেন, মা ও শিশু স্বাস্থ্য এবং কিশোর-কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম সফল করে তুলতে হবে সামাজিক আন্দোলন। আরও জোরালো করতে হবে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম। পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণের মাধ্যমে জনসংখ্যা বৃদ্ধির অস্বাভাবিক হার নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে।
×