ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রফতানি হচ্ছে মানিকগঞ্জের কাঁচামরিচ

প্রকাশিত: ০৪:০৩, ২৯ মে ২০১৬

রফতানি হচ্ছে মানিকগঞ্জের কাঁচামরিচ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ গুণে ও স্বাদে অতুলনীয় মানিকগঞ্জের মরিচ এখন ইউরোপ-আমেরিকাসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে রফতানি হচ্ছে। মালয়েশিয়ায়ও ব্যাপক কদর এই মরিচের। চলতি বছর বাম্পার ফলন ও ভাল দামে খুশি এ অঞ্চলের মরিচ চাষীরা। কাঁচামরিচের জন্য বিখ্যাত মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা। জেলার সিংহভাগ মরিচ চাষ হয় এ উপজেলাতে। স্থানীয় এই মরিচ বিক্রির প্রধান কেন্দ্রবিন্দু হলো বরঙ্গাইল হাট। ঢাকা-আরিচা মহাড়কের পাশে অবস্থিত এই হাট থেকেই প্রতিদিন ২৫-৩০ ট্রাক মরিচ যাচ্ছে ঢাকার বাজারে। বরঙ্গাইল হাটের মরিচ ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন জানান, উপজেলা ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে চাষীরা এই হাটে মরিচ বিক্রির জন্য আসে। পরে এই হাট থেকে মরিচ চলে যায় ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায়। প্রতিদিন এই হাটে অন্তত পাঁচ হাজার মণ মরিচ বেচাকেনা হয়। তাড়াইল গ্রামের মরিচ চাষী আব্দুল লতিফ জানান, জমি তৈরি, সেচ, সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি শ্রমিক সব মিলিয়ে বিঘাপ্রতি মরিচ চাষে খরচ ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকা। প্রতি বিঘা জমিতে মরিচের ফলন হয় ৩০ থেকে ৫০ মণ। প্রতি বিঘায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা লাভ পাওয়া যায়। তিনি আরও জানান, পৌষ মাসের প্রথমেই চারা রোপণ করতে হয়। ফলন শুরু হয় চৈত্র মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে। শ্রাবণ মাসে বর্ষার পানি মরিচ খেতে না ঢোকা পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়। মৌসুমের শুরুতে এবার তারা মরিচ বিক্রি করেছেন ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে। বরংগাইল হাটে মনসুর জেনারেল ট্রেডিং কোম্পানির আলমগীর হোসেন জানান, প্রতিদিন তারা দুই হাজার কেজি মরিচ বিদেশে পাঠাচ্ছেন। ইউরোপ-আমেরিকাসহ মধ্য প্রাচ্যের কয়েকটি দেশে তারা মরিচ রফতানি করছেন। মালয়েশিয়ায়ও প্রচুর পরিমাণে মরিচ রফতানি হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক আলীমুজ্জামান মিয়া জানান, চলতি বছর প্রায় সাত হাজার হেক্টর জমিতে মরিচের আবাদ হয়েছে। এ বছর ফলন অত্যন্ত ভাল। পরিকল্পিতভাবে মরিচের আবাদ করায় জেলার চাষীরা লাভজনক অবস্থায় রয়েছেন। তাছাড়া মান ও স্বাদে ভাল হওয়ায় স্থানীয় মরিচ বিদেশে রফতানি করেও চাষীরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।
×