স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা ॥ ৫ম শ্রেণীর স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। মোবাইল থেকে টাকা বের করে দেয়ার নাম করে তাকে ধর্ষণ করা হয়। সদর উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ আলিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রক্তাক্ত ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে শুক্রবার রাতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ক্ষুব্ধ জনতা ধর্ষককে আটক করে শনিবার সকালে পুলিশে সোপর্দ করেছে। ধর্ষকের নাম সামছুর রহমান খোকন। সে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ আলিপুর গ্রামের মুনছুর আলী সরদারের ছেলে। ধর্ষিতার মা জানান, স্বামী মারা যাওয়ার পর একমাত্র মেয়েকে নিয়ে দিনমজুর খেটে সংসার নির্বাহ করেন। তার মেয়ে স্থানীয় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী।
তিনি শুক্রবার সকালে দিনমজুর হিসেবে পার্শ্ববর্তী পাট ক্ষেতের আগাছা পরিষ্কার করতে যান। দুপুর ১২টার দিকে মোবাইলে আসা অনেক টাকা বের করে দেয়ার কথা বলে তার মেয়েকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায় প্রতিবেশী সামছুর রহমান খোকন। এ সময় স্ত্রী ও মেয়ে বাড়িতে না থাকার সুযোগে সামছুর রহমান তার মেয়েকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। রক্তাক্ত অবস্থায় মেয়েটি বাড়ি আসতে চাইলে তাকে বিষয়টি গোপন রাখতে বলা হয়। নইলে তার মাকেও হত্যার হুমকি দেয়া হয়।
সিলেটে ছিনতাইয়ের অভিযোগে আটক যুবককে ছেড়ে দেয়ায় বিক্ষোভ
স্টাফ রিপোর্টার সিলেট অফিস ॥ জৈন্তাপুরে ছিনতাইকারী হিসেবে অভিযুক্ত এক যুবককে আটক করে ছেড়ে দেয়ার ঘটনায় থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় ৫টি গ্রামের লোকজন। এ সময় তারা থানার সম্মুখে সিলেট-তামাবিল সড়ক অবরোধ করে টায়ারে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভ করেন। শনিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায় গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের গৌরীশংকর গ্রামের আলতাফুর রহমানের ছেলে জমির উদ্দিনকে (৩২) দুটি চাপাতিসহ আটক করে গণধোলাই দেয়া হয়। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় জমিরকে শুক্রবার সকালে জৈন্তাপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আহত জমিরকে জৈন্তাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে রেফার্ড করেন। জমির উদ্দিনকে সিলেট শহরে নিয়ে যাওয়ার পথে পালিয়ে যাওয়ার গুজব ছড়িয়ে পুলিশ ছেড়ে দেয়ার খবর প্রকাশ হলে শনিবার স্থানীয়ভাবে উত্তেজনা দেখা দেয়। ৫টি গ্রামের লোক একত্র হয়ে জৈন্তাপুর থানা ঘেরাও করেন। দুপুর ১২টার দিকে তারা থানার সামনে সিলেট-তামাবিল সড়ক অবরোধ করে টায়ারে অগ্নিসংযোগ করে তারা বিক্ষোভ করেন। ঘন্টাখানেক অবস্থানের পর এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের হস্তক্ষেপে এসআই নাছির উদ্দিনকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে থানা থেকে প্রত্যাহার এবং ছিনতাইকারী জমির উদ্দিনকে গ্রেফতারের আলটিমেটাম দিয়ে অবরোধ তুলে নেয়া হয়।
এ ব্যাপারে জৈন্তাপুর থানার ওসি শফিউল কবির জানান, জমির উদ্দিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পুলিশ তাকে গ্রহণ না করে হাসপাতালে পাঠায়। গুরুতর আহত অবস্থায় সে সিলেটে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। পুলিশের কাছ থেকে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়।
