ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, বখাটে আটক

প্রকাশিত: ০৬:১০, ২৮ মে ২০১৬

চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যা,  বখাটে আটক

স্টাফ রিপোর্টার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ॥ সদর উপজেলার মহিপুরে শুক্রবার সকালে কনিকা রানী ঘোষ (১৪) নামে এক স্কুল ছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে বখাটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে নিহত ছাত্রীর আরও তিন সহপাঠী। বখাটে বালুগাঁ দিয়াড় গ্রামের আব্দুল মালেককে (২৮) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয় জনতা। নিহত কনিকা রানী ঘোষ সদর উপজেলার দিয়াড় ধাইনগর গ্রামের লক্ষণ ঘোষের মেয়ে। আহতরা হল- একই গ্রামের আব্দুল খালেকের মেয়ে তারিন আফরোজ (১৫), অরুণবাড়ি মহিপুর গ্রামের মোঃ তাজেমুল হকের মেয়ে তানজিমা আক্তার (১৪) ও বেহুলা গ্রামের মোকবুল হোসেনের মেয়ে মরিয়ম আক্তার। এরা মহিপুর এস এম দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম জানান, চার ছাত্রী প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে মহিপুর এলাকায় আব্দুল মালেক তাদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুরুতর আহত কনিকাকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত তিনজনের মধ্যে তারিন আফরোজকে সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অপর দু’জনের মধ্যে তানজিমাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এবং মরিয়মকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন ঘাতক আব্দুল মালেককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। নিহত কনিকার লাশ ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওসি আরও জানান, ঘাতক আব্দুল মালেক একজন মাদকাসক্ত। তবে ঘটনার মূল কারণ এখনও জানা যায়নি। বখাটের শাস্তি নিশ্চিত করার নির্দেশ শিক্ষামন্ত্রীর ॥ চাঁপাইয়ে স্কুল ছাত্রী কনিকা রানীকে হত্যা ও তিন ছাত্রীকে জখমের সঙ্গে জড়িত বখাটের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। একই সঙ্গে এই হতাহতের ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কি না তা খুঁজে বের করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নির্দেশও দেন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, স্কুলছাত্রীদের হতাহতের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি (মন্ত্রী) বখাটের কঠোর শাস্তি দাবি করেন এবং আরও কেউ যুক্ত আছে কি না তা খুঁজে বের করার নির্দেশ দেন। এই ঘটনার পর শিক্ষামন্ত্রী মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের রাজশাহীর আঞ্চলিক উপ-পরিচালক শারমিন চৌধুরীকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। শারমিন চৌধুরী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সার্বিক খোঁজখবর নেন। নিহত কনিকার পরিবারের পাশে দাঁড়ান এবং আহত তিন স্কুলছাত্রীকে জরুরী চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যালে পাঠান। শিক্ষামন্ত্রী রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসকদের সঙ্গেও এ বিষয়ে কথা বলেছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াতসহ ছাত্রীদের নিরাপদ চলাচলে সহায়তা করতে আহ্বানও জানান তিনি।
×