ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নাব্য সঙ্কটে পায়রা সমুদ্রবন্দর অকেজো হওয়ার পথে

প্রকাশিত: ০৪:১২, ২৮ মে ২০১৬

নাব্য সঙ্কটে পায়রা  সমুদ্রবন্দর অকেজো হওয়ার পথে

নিজস্ব সংবাদদাতা, পটুয়াখালী, ২৭ মে ॥ পায়রা সমুদ্র বন্দরের সঙ্গে সংযোগকারী দশটি অভ্যন্তরীণ গুরুত্বপূর্ণ নৌপথের গভীরতা কমে গেছে। এসব জলপথের বিশাল এলাকায় চর জেগে ওঠায় নৌযান চলাচল করতে পারছে না। খনন করে দ্রুত এসব নৌপথের গভীরতা বাড়ানো না হলে তৃতীয় সমুদ্র বন্দর পায়রা থেকে অভ্যন্তরীণ নৌপথে পণ্য পরিবহন বাধাগ্রস্ত হবে। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, এ জনপদকে ঘিরে দেশের তৃতীয় সমুদ্রবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়। ২০১৩ সালের ৩ নবেম্বর জাতীয় সংসদে পায়রা সমুদ্রবন্দর আইন-২০১৩ পাস হয়। এরই আলোকে রামনাবাদ চ্যানেল সংলগ্ন আন্দারমানিক নদীর পাড়ে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের ইটবাড়িয়ায় ১৬ একর জমিতে দেশের তৃতীয় সমুদ্রবন্দর প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী একই বছরের ১৯ নবেম্বর পায়রা সমুদ্রবন্দরের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের মোহনা রামনাবাদ চ্যানেল সংলগ্ন আন্ধারমানিক নদীর পাড়ে দেশের তৃতীয় পায়রা সমুদ্র বন্দর নির্মাণ কাজের পাশাপাশি বন্দরের পণ্য খালাস শুরুর কার্যক্রম চলছে। ইতোমধ্যে সাগর মোহনা থেকে চারিপাড়া হয়ে রামনাবাদ মোহনা পর্যন্ত নদীপথে পণ্যবাহী জাহাজ চলাচলে নৌপথের নাব্য নির্দেশিকার জন্য সিগন্যালিং বয়া ও কিনারে সিগন্যাল বাতি স্থাপন করা হয়েছে। তবে পায়রাবন্দরের সঙ্গে নদীপথে সংযোগকারী অভ্যন্তরীণ গুরুত্বপূর্ণ জলপথে কোথাও ডুবোচর, আবার কোথাও চর জেগে ওঠায় বন্দর থেকে জাহাজের পণ্য নিয়ে চলাচলে বাধাগ্রস্ত হবে। এ কারণে জরুরীভিত্তিতে অভ্যন্তরীণ ১০টি নদীপথের নির্দিষ্ট পয়েন্টে খনন করে নদীর গভীরতা বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বিআইডব্লিউটিএর নৌ-সংরক্ষণ ও পরিচালনা বিভাগ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক বরাবরে চিঠিতে ‘পায়রা সমুদ্র বন্দরের’ সঙ্গে সংযোগকারী নৌ-পথের নাব্য সঙ্কটযুক্ত শতাধিক পয়েন্টে প্রয়োজনীয় ড্রেজিংএর মাধ্যমে উন্নয়নের তাগিদ দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
×