ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

মহাসড়কে বন্ধ হয়নি থ্রি-হুইলার ॥ ঘটছে প্রাণহানি

প্রকাশিত: ০৪:১২, ২৮ মে ২০১৬

মহাসড়কে বন্ধ হয়নি থ্রি-হুইলার ॥ ঘটছে প্রাণহানি

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভৈরব, ২৭ মে ॥ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভৈরব দুর্জয় মোড় থেকে বিশ্বরোড চৌরাস্তা পর্যন্ত নছিমন, করিমন ও সিএনজি অটোরিক্সাসহ ঝুঁকিপূর্ণ থ্রি-হুইলার যানবাহনের চলাচল বন্ধ হচ্ছে না। এ মহাসড়কে এখনও নির্বিঘেœই চলছে অবৈধ এসব যানবাহন। ভৈরব থেকে আশুগঞ্জ হয়ে চৌরাস্তার ৩২ কি.মি. পর্যন্ত এসব যান চলাচল করছে। চলাচলের জন্য খাতিহাতা হাইওয়ে থানাকে দিতে হয় চাঁদা। মাঝে মধ্যে লোক দেখানো অভিযানের সময় সাময়িক বন্ধ থাকলেও ফের আগের মতোই চলাচল করছে এসব যানবাহন। ফলে মহাসড়কে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। ঘটছে প্রাণহানি ঘটনা। মহাসড়কে দুর্ঘটনা হ্রাসে গত বছরের আগস্টে দেশের ২২ মহাসড়কে থ্রি-হুইলার, অটোরিক্সা, অটোটেম্পো, নছিমন, করিমন ও অযান্ত্রিক যানবাহনের চলাচল নিষিদ্ধে প্রজ্ঞাপন জারি করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে এসব যানবাহন চালকদের আন্দোলনের মুখেও সরকার তার সিদ্ধান্তে অনড় থাকে। কিন্তু সরকারী নিষেধাজ্ঞার ১০ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভৈরব-সরাইল চৌরাস্তায় ৩২ কি.মি. এলাকায় এসব ঝুঁকিপূর্ণ যানবাহনের চলাচল বন্ধ হয়নি। সরকারী নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে তিন চাকার ছোট যানবাহন চলাচল করছে প্রতিনিয়ত। চালকরা জানায়, ভৈরব থেকে সরাইল বিশ্ব রোড পর্যন্ত ৩২ কি.মি. এলাকায় প্রতিদিন অটোরিক্সা চলাচল করছে পুলিশের টোকেন ইজারার মাধ্যমে। আর সিএনজি চলার টোকেন দেয় খাতিহাতা হাইওয়ে থানা পুলিশ। চালকরা জানান, এ সড়কে সিএনজি চলাচলে হাইওয়ে থানার ওসিকে দিতে হয় মাসে ৩ লাখ টাকা। টাকা দিলে সিএনজি চলাচলে কোন বাধা থাকে না। না দিলেই মামলার ভয় দেখিয়ে সিএনজি আটক করে। পরে মোটা অংকের টাকা রেখে ছেড়ে দেয়। খাতিহাতা হাইওয়ে থানার ওসি আলমগীর সিদ্দীক জানান, প্রতিদিনই পুলিশ সিএনজি আটক করছে। তবে তিনি সিএনজি চলাচলে চালকদের কাছ থেকে চাঁদা নেয়ার কথা অস্বীকার করেন।
×