ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সিলেটের কোর্টপয়েন্টে ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহার করে না পথচারীরা

প্রকাশিত: ০৪:০৬, ২৮ মে ২০১৬

সিলেটের কোর্টপয়েন্টে  ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহার করে না পথচারীরা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সম্প্রতি কোটি টাকা ব্যয়ে সিলেট নগরীর কোর্টপয়েন্টে ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণ করা হলেও পথচারীরা ব্যবহার করছেন না। এরপরও সুরমা পয়েন্টে আরেকটি ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নেয় জেলা পরিষদ যা সস্প্রতি পরিদর্শন করে বন্ধ করে দেন অর্থমন্ত্রী। এসব পয়েন্টে ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণের কোন প্রয়োজন নেই বলে মত নগরবিদদের। তবে, সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহীর দাবি, ওভারব্রিজ অনেকেই ব্যবহার করছেন। ১৫ মে দুপুর দু’টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সময় সংবাদের ক্যামেরা তাক করা ছিল কোর্ট পয়েন্টের ফুট ওভারব্রিজের দিকে। চার ঘণ্টার মধ্যে মাত্র ১৫ জন পথচারীকে ফুট ওভারব্রিজটি ব্যবহার করতে দেখা যায়। তবে ব্রিজের উপরে অর্ধশত তরুণকে আড্ডা দিতেও দেখা যায়। তারা জানান, বিনোদনের জন্য সময় কাটাতে এখানে আসেন। এলাকার ব্যবসায়ী ও পথচারীরা জানান, রাস্তার এক পাশ থেকে অন্য পাশে যেতে কম সময় লাগায় তারা ব্রিজটি ব্যবহার করেন না। শাবিপ্রবির অধ্যাপক প্রকৌশলী ড. জহির বিন আলম মতে, কোন ধরনের প্রয়োজন ছাড়াই ওভারব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে কোন ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণের পূর্বে সেটার ফিজিবিলিটি স্টাডি করা জরুরী বলেও মত দেন তিনি। তবে, সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী এনামুল হাবিবের দাবি, ওভারব্রিজটি অনেকেই ব্যবহার করেন। তিনি বলেন, ‘ওভারব্রিজটি নির্মাণের ফলে চলাচলের ক্ষেত্রে সুবিধা হয়েছে। যেহেতু মানুষ ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহারে অভ্যস্ত নয় সেজন্য অনেকে নিচে দিয়ে রাস্তা পার হয়ে থাকে।’ তবে, অর্থমন্ত্রী সম্প্রতি সুরমা পয়েন্ট পরিদর্শন করে অর্ধনির্মিত ব্রিজটির নির্মাণ কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ধরনের অপ্রয়োজনীয় নির্মাণ কাজের নেপথে রয়েছে সিটি কর্পোরেশন কর্মকর্তাদের কমিশন প্রাপ্তি। দেশের মানুষের উপকারে আসুক বা না আসুক সেটা তারা বিবেচনায় আনেন না। এসব ক্ষেত্রে ঠিকাদাররাই কাজের পথ বাতলে দেন। এতে তাদের যেমন মুনাফা হয়, তেমনি কমিশন প্রাপ্তিতে কর্মকর্তাদেরও পকেট ভারি হয়। আর মাঝখান থেকে অপচয় হয় দেশের মানুষের ট্যাক্সের টাকার। তাই এ ব্যাপারে সরকারের নীতিনির্ধারকদের দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
×