ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

কাজের স্বীকৃতি বড় আনন্দের ॥ তপন মাহমুদ

প্রকাশিত: ০৩:৫৮, ২৮ মে ২০১৬

কাজের স্বীকৃতি বড় আনন্দের ॥ তপন মাহমুদ

সঙ্গীতশিল্পী তপন মাহমুদ। সঙ্গীত সাধনাই যার জীবনের ব্রত। রবীন্দ্রসঙ্গীতের অমিয় ধারায় নিরলস নিজেকে সিক্ত করার পাশাপাশি অনেক শিক্ষার্থীর মাঝে ছড়িয়ে দিচ্ছেন তাঁর সঙ্গীতলব্ধ জ্ঞান। দীর্ঘদিন বাংলাদেশ রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থার সভাপতির দায়িত্বে থেকে দেশের সংস্কৃতি অঙ্গনকে সমৃদ্ধ করে চলেছেন। সংগঠনটির ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে আজ সন্ধ্যা ৬টায় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বাংলা একাডেমি রবীন্দ্র পুরস্কার ২০১৬ ও চ্যানেল আই আজীবন সম্মাননা পাওয়া উপলক্ষে অনুষ্ঠানে শিল্পীকে সংবর্ধনাও দেয়া হবে। এ প্রসঙ্গে গুণী এ শিল্পীর সঙ্গে কথা হয়। বাংলাদেশ রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থার ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন সম্পর্কে বলুন। তপন মাহমুদ : মূলত ২৭ মে ছিল সংগঠনটির ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। মিলনায়তন বরাদ্দ না পাওয়ায় আজ শনিবার আয়োজনটি করতে হয়েছে। মিক্সড প্রোগ্রাম হবে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সঙ্গে সম্মাননা থাকবে। অনুষ্ঠানে আনিসুজ্জামান স্যার প্রধান অতিথি থাকবেন। বিশেষ অতিথি থাকবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান, চিত্রশিল্পী হাশেম খান ও কবি আসাদ চৌধুরী। এছাড়া সঙ্গীতের বিভিন্ন শাখার শিল্পীরাও থাকবেন। নাচ, গান ও আবৃত্তি সবই থাকবে। ঢাকের বাদন দিয়ে শুরু হবে অনুষ্ঠান। হাঁটি হাঁটি পা পা করে সংগঠনটির বয়স বেড়েছে, কেমন লাগছে? তপন মাহমুদ : আমার বক্তব্য হচ্ছে সন্তান জন্ম দিয়ে পিতা হিসেবে তার যেমন দায়িত্ব ও কর্তব্য থাকে, আমিও তেমন পিতা হিসেবে আমার দায়িত্ব পালন করেছি। এখন সন্তান বড় হয়েছে, এটা খুব আনন্দের যে এতদিন সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে পথ চলতে পারছি। আমার ভেতরে এক অনির্বচনীয় আনন্দ কাজ করছে। বাংলা একাডেমি রবীন্দ্র পুরস্কার ও চ্যানেল আই আজীবন সম্মাননা, এ দুই মিলিয়ে আপনার অনুভূতি কি? তপন মাহমুদ : আমি প্রাপ্তির জন্য কোনদিন কিছুই করিনি। একজন শিল্পী হিসেবে শীর্ষে ওঠার ইচ্ছাও কখনও আমাকে পেয়ে বসেনি। তবে কোন কাজের একটা স্বীকৃতি বড় আনন্দের। এখন যেভাবে পুরস্কার কেনাবেচা হয়, এটা ভেবে খুব কষ্ট পাই। আমার অর্জনটুকুকে সবার সঙ্গে ভাগ করে নিতে পেরে আমি খুব আনন্দিত। এ দুই পুরস্কারের জন্য আপনাকে আজ সম্মাননা দেয়া হচ্ছে, আপনার বক্তব্য কি? তপন মাহমুদ : আনুষ্ঠানিকতা বলব না, এটা তাৎক্ষণিক। আমার সহযাত্রী যারা তারা এই আনন্দটুকু সবার সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাচ্ছে। সবাই নিজের পুরস্কার হিসেবে গ্রহণ করে আনন্দ করছে। দেশের রবীন্দ্রচর্চা সম্পর্কে আপনার অভিমত কি? তপন মাহমুদ : ডামা ডোলের মধ্যেও আগের তুলনায় এখন অনেক বেশি রবীন্দ্রচর্চা হচ্ছে, বিশেষ করে রবীন্দ্রনাথের গান প্রাধান্য পাচ্ছে। তবে এ চর্চা তেমন দৃশ্যমান নয়। আমাদের দেশের টিভি চ্যানেলগুলো তেমন প্রচার করে না, এটাই আমার দুঃখ। সবকিছুর সঙ্গে সেকড়কে ভুলে গেলে চলবে না। রবীন্দ্র, নজরুল, লোকগান নতুন প্রতিভাদের লালন করা উচিত। এবং এ সবকিছুর পৃষ্ঠপোষকতা তেমন হচ্ছে না। রবীন্দ্রনাথের গান নিয়ে আপনার পরিকল্পনার কথা বলুন। তপন মাহমুদ : রবীন্দ্রনাথ নিয়েই তো আমার কাজ। নতুনদের কণ্ঠে রবীন্দ্রসঙ্গীতের সিডি বের করার প্রচেষ্টা আছে। আজ যে নবীন, ত্রিশ-পঁয়ত্রিশ বছর পরে সে বয়স্ক হবে। কাজেই এ গানকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে লালন করতে শিখবে। এছাড়া রবীন্দ্রসঙ্গীতের ভিডিও করে ডিভিডি আকারে বাজারজাত ও বিভিন্ন চ্যানেলে দেয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে। -গৌতম পাণ্ডে
×