ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ধামইরহাটের ৮ ইউনিয়নে মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবায় এ্যাম্বুলেন্স ও ভ্রাম্যমান লাইব্রেরী সেবা চালু

প্রকাশিত: ০২:৩০, ২৭ মে ২০১৬

ধামইরহাটের ৮ ইউনিয়নে মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবায় এ্যাম্বুলেন্স ও ভ্রাম্যমান লাইব্রেরী সেবা চালু

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ ॥ মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে নওগাঁর ধামইরহাটের ৮ ইউনিয়নে একটি করে এ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করা হয়েছে। অবহেলিত উপজেলার গ্রামের দরিদ্র ও অসহায় মানুষরা মাত্র ১শ’ থেকে ২শ’ টাকায় এসব এ্যাম্বুলেন্সের সেবা পাবেন। এছাড়া পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে এলাকার স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে ধামইরহাটের প্রতিটি ইউনিয়নে ‘দিপ্তী’ নামে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরী উদ্বোধন করা হয়েছে। শুক্রবার দুপূরে ধামইরহাট উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে এ্যাম্বুলেন্স ও ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরী সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন, জাতীয় সংসদের হুইপ মোঃ শহীদুজ্জামান সরকার বাবলু এমপি। ধামইরহাটের ইউএনও হোসেন আহমেদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও নওগাঁ স্থানীয় সরকার বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক আমিরুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঈন উদ্দীন, ধামইরহাট পৌরসভার মেয়র আমিনুর রহমান প্রমুখ। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের এলজিএসপি-২ প্রকল্পের অর্থায়নে ধামইরহাটের আট ইউনিয়নে এই এ্যাম্বুলেন্স ও ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরী সেবা পল্লীর অবহেলীত মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। স্থানীয়ভাবে তৈরি একটি ব্যাটারি চালিত চার্জারকে এ্যাম্বুলেন্সে রূপ দিয়ে তার নাম দেয়া হয়েছে, “মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা এ্যাম্বুলেন্স”। ছাদে ঘুর্ণায়মান লাল আলোর বিচ্ছুরণ আর সাইরেন বাজিয়ে গ্রামের কাঁচা-পাকা সড়কে ছুটে চলবে এই এ্যাম্বুলেন্স। এসব এ্যাম্বুলেন্সের চালক হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদে কর্মরত গ্রাম পুলিশদের। এ্যাম্বুলেন্সগুলো ইউনিয়ন পরিষদের তত্ত্বাবধানে থাকবে। প্রতিটি এ্যাম্বুলেন্সের গায়ে একটি মোবাইল নম্বর দেয়া হয়েছে। এই নম্বরে ফোন দিয়ে সেবা পাওয়ার জন্য স্থানীয় লোকজন তাঁদের প্রয়োজনের কথা জানাতে পারবেন। এছাড়া প্রতিটি ইউনিয়নের জন্য দেয়া হয়েছে একটি করে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরী। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের একটি স্কুলের অধীনে এই ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরী পরিচালিত হবে। ওই স্কুলের লাইব্রেরীয়ান এই ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরীর তত্ত্বাবধান করবেন। এই লাইব্রেরী সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নে প্রতিটি স্কুল-কলেজ ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে পৌঁছে যাবে। এ্যাম্বুলেন্স ও ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরীর উদ্যোক্তা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসেন আহমেদ জানান, একটি ইজিবাইককে এ্যাম্বুলেন্সে রূপ দিতে ২ লাখ টাকা করে খরচ হয়েছে। ৮টি এ্যাম্বুলেন্সের জন্য খরচ হয়েছে ১৬ লাখ টাকা। এ্যাম্বুলেন্সগুলো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা তত্ত্বাবধান করবেন। আর একটি ইজিবাইককে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরী হিসেবে রূপ দিতে খরচ হয়েছে ৭১ হাজার টাকা করে। ৮টি ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরীর জন্য খরচ হয়েছে ৫ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। এছাড়া প্রতিটি লাইব্রেরীতে গল্প, উপন্যাস, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসসহ বিভিন্ন ধরণের জ্ঞান-বিজ্ঞানের ২৫ হাজার টাকার বই দেয়া হয়েছে।
×