ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সবজির দাম নিম্নমুখী

প্রকাশিত: ২২:৫৭, ২৭ মে ২০১৬

সবজির দাম নিম্নমুখী

অনলাইন রিপোর্টার ॥ রাজধানীর বাজারে গত দুই সপ্তাহ দাম বাড়ার পর কমতে শুরু করেছে মুরগি, রসুন ও বেশ কিছু সবজির দাম। এসব পণ্যের দাম বাড়ার ক্ষেত্রে নানা অজুহাত দেখালেও শুধু সরবরাহ বাড়ায় বাজার নিম্নমুখী রয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে গরু ও খাসির মাংস। আজ শুক্রবার রাজধানীর শান্তিনগর, ফকিরাপুলসহ বেশ কিছু বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৭০ টাকা দরে। যা গত সপ্তাতে বিক্রি হয়েছিল ১৮০-১৮৫ টাকায়। একইসঙ্গে গত সপ্তাহে কেজিপ্রতি ২০০-২১০ টাকা বিক্রি হওয়া লেয়ার মুরগি আজ বিক্রি হচ্ছে ১৮৫-১৯০ টাকায়। বাজারের মুরগি বিক্রেতা জানান, বৈরি আবহাওয়ায় মুরগি আমদানি কম হওয়ায় গত দুই সপ্তাহে এর দাম বাড়তি ছিল। তবে চলতি সপ্তাহে আবহাওয়া তুলনামূলক ভালো হওয়ায় সে অবস্থা কেটে গেছে। ফলে বেড়েছে আমদানি; আর কমতে শুরু করেছে দাম। বাজার ঘুরে দেখা যায়, কিছু সবজি কেজিতে ৫-১০ কমেছে। এর মধ্যে ঢেড়স, করলা, শশা, পেপে, চিচিঙ্গা কেজিতে ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৩০-৩৫ টাকা দরে। কাকরোলও কেজিতে প্রায় ১৫-২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। এছাড়া অন্যান্য সবজি আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রতিকেজি পটল ৪০ টাকা, মানভেদে বেগুন ৪০-৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, ঝিঙ্গা ৪০ টাকা, ধুন্দল ৪০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, কচুর লতি ৫০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কাঁচাকলা প্রতি হালি ৪০ টাকা, প্রতিটি লাউ ৩৫-৪০ টাকা, চালকুমড়া ৩০ টাকা ও মিষ্টি কুমড়া প্রতি ফালি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়। বাজারে দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ৩ টাকা কমে ৪৫ টাকা, আমদানি করা মোটা পেঁয়াজ ২৫ টাকা, দেশি রসুন ১০ টাকা কমে ১৩০ টাকা, আমদানি করা মোটা রসুন ২০০-২১০ টাকা, আলু ২০ টাকা, আদা ৮০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চলতি সপ্তাহে রুই, কাতলা, শিং, তেলাপিয়াসহ বেশ কিছু মাছ কেজি প্রতি ৩০-৪০ টাকা বেড়েছে। তবে অন্যান্য মাছ বিক্রি হচ্ছে গত সপ্তাহের দামেই। গতসপ্তাহে প্রতিকেজি ৩৫০-৫৫০ টাকায় বিক্রি হওয়া রুই মাছ আজ শুক্রবার বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৩৮০-৭০০ টাকায়। তবে ছোট আকারের রুই পাওয়া যাচ্ছে ২৫০- ৩০০ টাকার মধ্যে। বড় আকারের কাতলা কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪৪০ থেকে ৫০০ টাকা, তেলাপিয়া প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২৪০ টাকা, আকারভেদে প্রতিকেজি গলদা চিংড়ি ৯০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, বড় শিং মাছ ৫৬০ থেকে ৬৮০ টাকা, দেশি মাগুর ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা, বেলে মাছ ৫০০ টাকা, রূপচাঁদা ১০০০ টাকা, বাটা মাছ ৪০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। ফার্মের লাল ডিম প্রতি হালি ৩২ টাকা এবং দেশি মুরগির ডিম ৪০ টাকা ও হাঁসের ডিম ৪০ থেকে ৪২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে বিক্রেতারা প্রতি কেজি মোটা চাল বিক্রি করছেন ৩২ থেকে ৩৮ টাকা দরে। এছাড়া মিনিকেট ৪৮ থেকে ৫২ টাকা, বিআর-২৮ চাল ৪২-৪৪ টাকা, পারিজা ৪২ টাকা, নাজিরশাইল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা এবং লতা ৩৮ থেকে ৪৩ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মুদি পণ্যের মধ্যে দেশি মসুর ডাল কেজিতে ১৪০-১৪৫ টাকা, আমদানি করা মোটা মসুর ডাল ১১০ টাকা, খোসাযুক্ত ছোলা ৯০-১০০ টাকা, খোসা ছাড়া ছোলা ১০০-১১০ টাকা, ডাবরি বুটের ডাল ৫০ টাকা। এছাড়া ছোলার ডালের বেসন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা এবং বুটের ডালের বেসন বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা দরে। ভোজ্য তেলের মধ্যে খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটারে ৯০ টাকা, সুপার ৭৫ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন তেলের মধ্যে প্রতি ৫ লিটারের বোতল পাওয়া যাচ্ছে ৪৪৫ টাকা থেকে ৪৫৫ টাকার মধ্যে। এছাড়া মান ভেদে প্রতি কেজি খোলা সরিষার তেল ১২০ টাকা থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
×