ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

লেখক : কর্নেলিয়া ফুঙ্কে (জার্মানি);###;জনরা : ফ্যান্টাসি

ড্রাগন রাইডার

প্রকাশিত: ০৬:৫৭, ২৭ মে ২০১৬

ড্রাগন রাইডার

পৃথিবীর দুর্গম থেকে দুর্গমতর এলাকায় মানুষের পদচারণা বিস্তৃত হচ্ছে। দখল হয়ে যাচ্ছে পাহাড়-পর্বত, বন-জঙ্গল, সমুদ্র, অন্তরীক্ষ। সঙ্কুচিত হয়ে আসছে প্রকৃতির অন্যসব প্রাণীর আবাস। মানব সভ্যতার বিস্তারে রক্ষা পাচ্ছে না ড্রাগনের মতো অতিকায় নিরপদ্রব প্রাণীও। স্কটিশ উপত্যকার ড্রাগনদের কাছেও পৌঁছাল দুঃসংবাদ। মানুষ দখল করতে আসছে তাদের বাসস্থান। জানা গেল, ড্রাগনদের একমাত্র নিরাপদ এবং নির্বিঘœ আবাস রিম অব হ্যাভেন। রহস্যময় সেই জায়গা, সে জায়গার সন্ধান কেউ জানে না। রিম অব হ্যাভেনের সন্ধানে বেরিয়ে পড়ল সাহসী ড্রাগন ফায়ারট্রেক। ব্রাউনি (কাল্পনিক জীব, বিড়ালের মতো) সোরেল হলো তার সঙ্গী। যাত্রাপথে তাদের অভিযানে সামিল হলো এক মানুষ বালক বেন। অন্যদিকে, পৃথিবী থেকে ড্রাগনদের নির্মূল করার লালসায় দেড় শতাধিক বছর ধরে অপেক্ষায় আছে প্রচ শক্তিধর হিংস্র এক দানব ন্যাটলব্রান্ড দ্য গোল্ডেন ওয়ান। ড্রাগনের সন্ধানে পৃথিবীর কোণায় কোণায় উড়ছে তার গুপ্তচর। ফায়ারট্রেকের খবর পেল ন্যাটলব্রান্ড। ওদের পিছনে গুপ্তচর লেলিয়ে দিল দানব। শুধু ফায়ারট্রেক নয়, রিম অব হ্যাভেনে লুকিয়ে থাকা ড্রাগনদেরও সন্ধান পেতে চায় ন্যাটলব্রান্ড। অভিযাত্রীরাও টের পেল তাদের পিছু নিয়েছে দ্য গোল্ডেন ওয়ান। উভয় সঙ্কটে পড়ল ফায়ারট্রেক। রিম অব হ্যাভেনে যাওয়াও বিপদ আবার নিজের পুরনো আবাসে ফিরে যাওয়াও বিপদ। কি করবে ড্রাগন ফায়ারট্রেক? দানবটার সঙ্গে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিলো ওরা। কারণ ওর সঙ্গে আছে ড্রাগন রাইডার বেন, আছে ন্যাটলব্রান্ডের পুরনো ভৃত্য ম্যানিকিন টুইগলেগ, বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্রাউনি সোরেল, ইঁদুর লোলা আর আছে অসংখ্য মানুষের ভালবাসা এবং আশীর্বাদ। ফায়ারড্রেক কি জিতবে? পারবে দানব ন্যাটলব্রান্ড কে পরাস্ত করতে? পারবে ড্রাগনদের জন্য নিরাপদ বাসস্থান খুঁজে বের করতে? পাঠককে সে বইটা পড়ে জেনে নিতে হবে। লেখিকার কল্পনাশক্তি দারুণ বলতে হবে। রূপকথার নানা ধরনের প্রাণীকে টেনে এনেছেন তার কাহিনীতে। আর সেগুলো খাপে খাপে মিলে গেছে কাহিনীর সঙ্গে। পঁয়ত্রিশটা ভাষায় অনূদিত লাখ লাখ কপি বিক্রীত এই বইটা শিশু-কিশোরদের খুব জনপ্রিয়। চরিত্রগুলোর মধ্যে ভাল লেগেছে ব্রাউনি সোরেলকে। মেয়েটার যদিও একটু নাক উঁচু স্বভাব, কিন্তু মন তার খুব নরম। ফায়ারড্রেককে খুব ভালবাসে সে। বেন অন্য কাহিনীর নায়কদের মতো। আলাদা করে বলার কিছু নেই। ক্যারেক্টার ডেভেলপমেন্টের জন্য খুব কম সময় পেয়েছিল ইঁদুর লোলা গিলবার্ট। কিন্তু এর মধ্যেই ফাটিয়ে দিয়েছে মোটকু পাইলট ইঁদুরটা। হয়ত শিশু কিশোরদের জন্য লিখতে গিয়ে লেখিকা এমনটা করেছেন। -টুটুল মাহফুজ
×