ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রাষ্ট্রপ্রধানদের সরকারী বাসভবন

প্রকাশিত: ০৬:৫০, ২৭ মে ২০১৬

রাষ্ট্রপ্রধানদের সরকারী বাসভবন

এক হাজার ঘর! তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়িপ এরদোগানের নতুন দফতরে নাম ‘হোয়াইট প্যালেস’। অক্টোবর ২৯, ২০১৪ সালে এটি উদ্বোধন করেন এরদোগান। প্রায় সাড়ে তিনশো মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই প্রেসিডেন্ট প্যালেসে ঘর রয়েছে এক হাজারটি। রাতের বেলায় আলোর নাচন প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্ট ভবন প্রায় যুক্তরাষ্ট্রের ‘হোয়াইট হাউস’-এর মতো। রাতের বেলায় এই ভবনে আলোর নাচন দেখা যায়। তুর্কমেনিস্তানের প্রাসাদ সাবেক সোভিয়েত সদস্য তুর্কমেনিস্তানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট গুরবাঙ্গুলি ব্যার্দিমুহামেদু থাকেন এই প্রাসাদে। তিনি ছিলেন জাতির জনক সাপারমুরাত নিয়াজোভের ব্যক্তিগত চিকিৎসক। সেই সূত্রে একে একে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও উপ-প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন শেষে এখন তিনি দেশের প্রেসিডেন্ট। থাকেন গম্বুজ বিশিষ্ট এই বিশাল ভবনে। বিতর্কিত ভবন ‘মিয়াজেহেরিয়া’ একসময় ছিল ইউক্রেনের সরকারী অতিথি ভবন। ২০১০ সালের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ এটাকে তাঁর বাসভবন হিসেবে বেছে নেন। তারও এক বছর আগে তিনি এই বাড়িটি কিনেছেন বলে দাবি করেছিলেন। যদিও কত দামে সেটা কিনেছিলেন তা বলেননি। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইয়ানুকোভিচ পদত্যাগে বাধ্য হলে ‘মিয়াজেহেরিয়া’ ছেড়ে পালিয়ে যান। তিন হাজার ঘরের প্রাসাদ! রোমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্টে বিশাল প্রাসাদটি নির্মাণ করেছিলেন সে দেশের কমিউনিস্ট নেতা নিকোলাই চসেস্কু। ১৯৮৪ সালে উত্তর কোরিয়া ভ্রমণের পর তাঁর এ ধরনের ভবন নির্মাণের সাধ জাগে। ৮৪ মিটার উঁচু এবং ২৬৫,০০০ বর্গমিটার এলাকাজুড়ে থাকা এই প্রাসাদে রুমের সংখ্যা তিন হাজারেরও বেশি! এলিসি প্রাসাদ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট জন্য বরাদ্দ সরকারী বাসভবন এলিসি প্রাসাদ। ইরানের প্রেসিডেন্ট ভবন ‘সা’দাবাদ প্যালেস’ ১৯২০-এর দশকে রেজা শাহ পাহলভি প্রাসাদের সংস্কার করে এর আকার বড় করেন। বর্তমানে প্যালেসে ১৮টি ক্যাসেল বা ভবন রয়েছে। সা’দাবাদ প্যালেসের কাছেই ইরানের প্রেসিডেন্টের সরকারী বাসভবন। ঘানার প্রেসিডেন্ট ভবন আফ্রিকার একটি উন্নত অর্থনীতির দেশ ঘানা। কোকো ও সোনা রফতানি করে দেশটি অনেক অর্থ আয় করে। রাজপুত্রের বাড়ি এখন প্রেসিডেন্ট ভবন ১৯৯৪ সাল থেকে জার্মানির প্রেসিডেন্টদের সরকারী বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে ‘বেলভ্যু প্যালেস’। বার্লিনের স্প্রি নদীর ধারে অবস্থিত এই ভবনটি ১৭৮৬ সালে নির্মিত হয়। তখন থেকে প্রাশিয়ার রাজকুমার ফার্ডিনান্ডের গ্রীষ্মকালীন বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে এটি। সূত্র: ডয়েচে ভেলে
×