ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ঠাকুরগাঁওয়ে ভৌতিক বিদ্যুত বিল নিয়ে ভোগান্তি

প্রকাশিত: ০৬:২০, ২৭ মে ২০১৬

ঠাকুরগাঁওয়ে ভৌতিক বিদ্যুত বিল নিয়ে ভোগান্তি

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও, ২৬ মে ॥ বিদ্যুতের ভৌতিক বিল নিয়ে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন ঠাকুরগাঁওবাসী। মিটার রিডাররা বাসাবাড়িতে সরেজমিন গিয়ে মিটার না দেখে বিল করায় প্রতিমাসে ব্যবহারকৃত ইউনিটের সঙ্গে সামঞ্জস্য না হওয়ায় অতিরিক্ত বিল পরিশোধে বাধ্য হচ্ছেন গ্রাহকরা। এ ঘটনায় গ্রাহকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন। শুধু ঠাকুরগাঁও পৌরসভায় বর্তমানে ২৬ হাজার বিদ্যুত গ্রাহক রয়েছেন। এর বিপরীতে সরকারীভাবে মিটার রিডার মাত্র ৩ জন। এই ৩ জন দিয়ে নিয়মমাফিক এত মিটার দেখা সম্ভব হয় না বলে জানান বিদ্যুত অফিসের কর্মকর্তারা। গ্রাহকদের অভিযোগ, বিদ্যুত বিলের কাগজে লেখা ইউনিটের সঙ্গে মিটার ইউনিটের কোন মিল পাওয়া যায় না। যে পরিমাণ বিদ্যুত ব্যবহার করা হয় তার চেয়ে বিলের টাকার পরিমাণ অনেক বেশি লেখা থাকে। এছাড়া বিদ্যুত বিলের টাকা পরিশোধ করা হলেও লাইনম্যান মিটার থেকে বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ঘটনার উপক্রম হয়েছে। অনেক সময় বিল রিডার গ্রাহকদের মিটার না দেখে অনুমানের ওপর নির্ভর হয়ে বিল লেখেন বলেও জানা যায়। এছাড়াও নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, মিটার রিডারকে টাকা দিলে তারা প্রতিমাসে অল্প টাকার বিদ্যুত বিল বানিয়ে দেয়। বিভিন্ন বাসাবাড়িতে অটো চার্জার চার্জের জন্যও অবৈধ বিদ্যুত সংযোগ দিতে সহযোগিতা করে থাকে মিটার রিডাররা। আবার মিটার রিডার কম হওয়ায় নিয়োগপ্রাপ্ত রিডাররা তাদের সহযোগিতার জন্য নিজ উদ্যোগে চুক্তিভিত্তিক মিটার রিডার নিয়োগ দিয়েছেন। ঠাকুরগাঁও হাজিপাড়ার বাসিন্দা নাজমুল ইসলাম জানান, মিটার রিডাররা মিটার দেখে ইউনিট না লেখায় সারাবছর ব্যবহৃত বিদ্যুত ইউনিটের অবশিষ্ট ইউনিটগুলো গ্রাহকদের বিদ্যুত বিলের কাগজে তুলে দেয়া হয়। হঠাৎ করে বেশি টাকার ভৌতিক বিদ্যুত বিল দেয়ায় গ্রাহকদের হয়রানির শিকার হতে হয়। ঠাকুরগাঁও বিদ্যুত বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের উপ-প্রকৌশলী মুক্তা মনি জানান, আমাদের লোকবল খুবই কম। প্রতিমাসে মিটার দেখে মিটার রিডারদের ইউনিট লেখার নিয়ম থাকলেও সেটা অনেক সময় সম্ভব হয় না। সে কারণে অনুমান করে বিদ্যুত বিলের ইউনিট লেখা হয়। এতে কম-বেশি হতে পারে। কোন গ্রাহক এ ধরনের অভিযোগ নিয়ে অফিসে এলে বিলের হিসাব ঠিক করে দেয়া হয়।
×