ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার

নওগাঁয় পথচারী সেতু ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম

প্রকাশিত: ০৬:১৭, ২৭ মে ২০১৬

নওগাঁয় পথচারী সেতু ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ২৬ মে ॥ সরকারী বরাদ্দকৃত অর্থের সিংহভাগই লুটপাট করার পর নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করায় নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার মিরাট ইউনিয়নের হামিদপুর ভক্তেরঘাট নামক স্থানে শ্রীমতখালী খালের ওপর পারাপারের জন্য নির্মাণাধীন পথচারী সেতু উদ্বোধনের আগেই হেলে ও দেবে ভেঙ্গে পড়েছে। নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার, সংশ্লিষ্ট দফতরের যথাযথ নজরদারির অভাবে নির্মাণ কাজ শেষ করার আগেই পিলার দেবে ও হেলে ভেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। যে কোন মুহূর্তে ব্রিজটি খালের মধ্যে ভেঙ্গে পড়ে প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। জানা গেছে, উপজেলার মিরাট ইউনিয়নের হামিদপুর গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে শ্রীমতখালী খালের ওপর পারাপারের জন্য ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে রাণীনগর উপজেলা পরিষদের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর (এডিপি) আওতায় ৪৪ মিটার পথচারী সেতু নির্মাণের জন্য ২৯ লাখ ৭২ হাজার ৭৩৪ টাকা প্রাক্কলন মূল্যে দরপত্র আহ্বান করা হয়। শর্ত মোতাবেক রাণীনগরের জাকিয়া বিল্ডার্সের স্বত্বাধিকারী ময়নুল হক ভুট্টু ফুট ব্রিজটি নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পান। তখন থেকেই বরাদ্দ প্রার্থীসাপেক্ষে কয়েক ধাপে ব্রিজটি নির্মাণ কাজের সিদ্ধান্ত হয়। সেই আলোকে ২০১২-১৩ অর্থবছরে এডিপির আওতায় ব্রিজটির সাব-স্টাকচার নির্মাণের জন্য প্রথম ধাপে ৬ লাখ ৯৯ হাজার এবং ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর আওতায় ৬ লাখ টাকা ও ১২ লাখ ৭৩ হাজার ৭৩৪ টাকা এবং এলজিএসপি-২ এর আওতায় ৪ লাখ টাকা বরাদ্দ প্রদান করে মোট চার ধাপে উক্ত ঠিকাদারের মাধ্যমে ফুট ব্রিজটি নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার জন্য উপজেলা প্রকৗশলীর দফতর থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়। সে মোতাবেক প্রায় ৪ বছর অতিবাহিত হলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অবহেলা ও উপজেলা প্রকৌশলীর গাফিলতিসহ যথাযথ নজরদারির অভাবে ফুট ব্রিজটি হঠাৎ করে দেবে ও হেলে ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়। এ ব্যাপারে হামিদপুর গ্রামের ভক্ত (৩৮), সাজেদুল ইসলাম (৪৮), আব্দুল (৩৬), ধনপাড়া গ্রামের মহির উদ্দিন (৪৪) জানান, ব্রিজটি নির্মাণের শুরুতেই নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করায় ব্রিজটি ভেঙ্গে পড়েছে। সেই সময় স্থানীয় জনগণ বাধা দিলেও তারা কোন তোয়াক্কা করেনি। উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ সাইদুর রহমান মিঞা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। গায়ে আগুন দিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ ॥ বৃহস্পতিবার সকালে জেলার এনায়েতপুর থানার খুকনীতে স্বামীর নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে লুবনা খাতুন (৩০) নামের এক গৃহবধূ শরীরে কোরোসিন ঢেলে আত্মহত্যা করেছে। নিহত লুবনা খাতুন ওই গ্রামের গাজী আবু সাইদ মন্টুর মেয়ে এবং রাজশাহী শহরের বোয়ালিয়া থানার সাধুর মোড় মহল্লার মাসুদ রানার স্ত্রী। এনায়েতপুর থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল হালিম ও নিহত লুবনার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ৯ বছর আগে রাজশাহীতে মাসুদের সঙ্গে তাদের দুই পরিবারের অজান্তে লুবনার বিয়ে হয়। বর্তমানে তাদের ৬ বছরের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। তবে গত কয়েক বছর ধরে তাদের দু’জনের মধ্যে মন-মানিল্য চলে আসছিল। ৩ মাস আগে অকর্মা স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে সন্তান নিয়ে লুবনা বাবার বাড়ি পালিয়ে যায়। এরপরও নানানভাবে মোবাইলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করত এবং আর কোনদিন তাকে ঘরে তুলে নেবে না বলে ভয়ভীতি দেখাত। বৃহস্পতিবার এমনই ক্ষোভ থেকে বাথরুমের দরজা লাগিয়ে সবার অজান্তে শরীরে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যা করে লুবনা।
×