ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

এ্যাটলেটিকোকে সমীহ করছে রিয়াল মাদ্রিদ

প্রকাশিত: ০৫:১০, ২৭ মে ২০১৬

এ্যাটলেটিকোকে সমীহ করছে রিয়াল মাদ্রিদ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মাঝখানে আর একদিন। আজ বাদে কালই উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ফুটবলের ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে দুই স্প্যানিশ ক্লাব, নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ ও এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। ২০১৪ সালেও এ দুই ক্লাব ইউরোপ সেরার লড়াইয়ে ফাইনালে লড়েছিল। দুই বছর পর আবারও একই চিত্র। সেবার এ্যাটলেটিকোকে হারিয়ে রেকর্ড সর্বোচ্চ দশম শিরোপা জয়ের উল্লাস করেছিল রিয়াল। এবার ইতালির সানসিরোতে কি হয় সেটা দেখতে উন্মুখ হয়ে আছে ফুটবলবিশ্ব। নিজেদের ইতিহাসে কখনই চ্যাম্পিয়ন্স লীগে শিরোপা জেতা হয়নি এ্যাটলেটিকোর। এবার সেই আক্ষেপ ঘোচাতেই নামছে দিয়াগো সিমিওনের দল। সেই সঙ্গে তাদের সামনে সুযোগ আছে আগের আসরের হারের মধুর প্রতিশোধ নেয়ার। ফাইনাল যে সহজ হবে না সেটা ভালই বুঝতে পারছে রিয়াল। দলটির অধিনায়ক সার্জিও রামোস সমীহই করছেন নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের। বিশেষ করে তাদের শিরোপা স্বপ্নে দারুণ ফর্মে থাকা এ্যান্টোনিও গ্রিজম্যান মূল বাধা হতে পারেন বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্প্যানিশ এই ডিফেন্ডার। ২০১৩-১৪ মৌসুমে নগর প্রতিবেশী দলটিকে হারিয়েই চ্যাম্পিয়ন্স লীগের দশম শিরোপা জিতেছিল রিয়াল। তবে সম্প্রতি মুখোমুখি লড়াইয়ের পরিসংখ্যান এ্যাটলেটিকোর পক্ষে কথা বলছে। শেষ পাঁচবারের দেখায় রিয়ালের ১ জয়ের বিপরীতে এ্যাটলেটিকোর জয় ২। বাকি ২ ম্যাচ ড্র হয়। রামোস ফাইনালের আগে প্রতিপক্ষের শক্তি নিয়ে ভাবছেন। আর তাতে দলটির আক্রমণভাগের মূল ফরাসী তারকা গ্রিজম্যানকে ভয়ঙ্কর মনে করছেন। সাক্ষাতকারে রামোস বলেন, নিজে থেকে আমি পুরো দলকে (এ্যাটলেটিকো) নিয়ে ভাবছি। তারা সবসময় লড়াকু দল। বিশেষ করে আমার কাছে গ্রিজম্যান দারুণ খেলোয়াড়। এ বারের মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এ্যাটলেটিকোর হয়ে ৫৩ ম্যাচে ৩২ গোল করেন ফরাসী তারকা। এর মধ্যে গত ফেব্রুয়ারিতে সান্টিয়াগো বার্নাব্যুতে রিয়ালকে ১-০ ব্যবধানে হারাতে একমাত্র গোলটি করেন গ্রিজম্যান। শিরোপা এ্যাটলেটিকো জিততে পারবে কি না সেটা সময়ই বলবে। তবে দলটির ডিফেন্ডার দিয়াগো গডিন দুই বছর আগের ফাইনালে হার থেকে প্রেরণা নিচ্ছেন। উরুগুয়ের সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার গডিনের মতে, ২০১৪ আসরের ফাইনালের অভিজ্ঞতায় ভর করেই এবার এর পুনরাবৃত্তি এড়াতে পারবে এ্যাটলেটিকো। ২০১৪ সালের মে মাসে লিসবনের ফাইনালে প্রথমার্ধে গডিনের গোলে এগিয়ে যাওয়া এ্যাটলেটিকো ইতিহাস গড়ার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল। কিন্তু যোগ করা সময়ের শেষ মুহূর্তে রামোসের গোলে সমতায় ফেরে রিয়াল। পরে অতিরিক্ত সময় আরও তিনবার বল জালে জড়িয়ে ৪-১ ব্যবধানে জিতে উল্লাসে মেতে ওঠেন রোনাল্ডো, বেনজেমারা। সেই দলটির বিপক্ষে আরেকবার একই মঞ্চে মাঠে নামার আগে গডিন বলেন, ফাইনালে গোল করাটা দারুণ। অবশ্যই এটা ভাল গোল ছিল। কিন্তু শেষে আমরা শিরোপা তুলে ধরতে পারিনি। আর এটাই আসল বিষয়। এবার ঘুরে দাঁড়ানোর আকাক্সক্ষার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা হেরে ছিলাম, কিন্তু ওই রকম হার থেকে আপনাকে ইতিবাচক দিকগুলো নিতে হবে এবং শিখতে হবে কোথায় আপনার উন্নতি করতে হবে। এখন আমরা আরেকটা ফাইনাল খেলব এবং সেই অভিজ্ঞতা থেকে নিশ্চিত করতে হবে যেন ও রকম আর না ঘটে। এ্যাটলেটিকো কোচ দিয়াগো সিমিওনে বলেন, জীবন প্রতিশোধের নয়। এটা আমাদের জন্য নতুন সুযোগ। এই সুযোগটা কাজে লাগতে হবে। ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলের সেরা এই আসরে ২০১৪ সাল ছাড়াও আরেকবার ফাইনালে উঠেছিল এ্যাটলেটিকো। কিন্তু ১৯৭৩-৭৪ মৌসুমের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচেও স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল দলটির। সেবার জার্মান পরাশক্তি বেয়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে এগিয়ে যেয়েও শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে বসে স্পেনের দলটি। পরে রিপ্লে ম্যাচে ৪-০ গোলে জিতে শিরোপা জয়ের উল্লাস করে বাভারিয়ানরা।
×