ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

জুনিয়র এ্যাথলেটিক্স শুরু কাল

প্রকাশিত: ০৬:৪৪, ২৬ মে ২০১৬

জুনিয়র এ্যাথলেটিক্স শুরু কাল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আগামী ২৭ ও ২৮ মে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ‘হাজী নুরুল ইসলাম স্মৃতি জাতীয় জুনিয়র এ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতা’র ৩২তম আসর। বালক ও বালিকা এবং কিশোর ও কিশোরী এই চারটি গ্রুপে ৩৪ ইভেন্টে (কিশোর-কিশোরী ২০ ও বালক-বালিকা ১৪টি) টুর্নামেন্টের খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হবে। এই প্রতিযোগিতা উপলক্ষে বুধবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের তৃতীয় তলার সম্মেলন কক্ষে সকালে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ এ্যাথলেটিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম চেঙ্গিস, নারায়ণগঞ্জ সদর ফতুল্লার এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আসাদুজ্জামানসহ আরও অনেকে। প্রধান অতিথি হিসেবে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করবেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা, এমপি। প্রতিযোগিতার সমাপনী ঘোষণা করবেন এ্যাথলেটিক ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহ্ আলম। এই প্রতিযোগিতায় দেশের ৬৪ জেলা, ৭ বিভাগ ও শিক্ষাবোর্ডসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৬০০ এ্যাথলেট এবং ১৫০ কর্মকর্তা অংশ নেবেন। প্রতিযোগী এ্যাথলেটের থাকা-খাওয়া ও আনুষ্ঠানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। এর মধ্যে পৃষ্ঠপোষক নারায়ণগঞ্জ সদর ফতুল্লার এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আসাদুজ্জামান দিয়েছেন পাঁচ লাখ টাকা। বাকি টাকা এ্যাথলেটিক ফেডারেশনের তহবিল থেকে ব্যয় করা হবে। প্রতিযোগিতা উপলক্ষে মোট ১৫টি উপ-কমিটি গঠন করেছে এ্যাথলেটিক ফেডারেশন। টাইম কিপার হিসেবে ১৩ জন, আম্পায়ার হিসেবে ৩৪ জন এবং হ্যান্ড টাইমার (এবারও ইলেকট্রনিক্স টাইমার ব্যবহৃত হচ্ছে না) হিসেবে ৬ জন দায়িত্ব পালন করবেন। বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের তোপে পড়েন এ্যাথলেটিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম চেঙ্গিস। ৩০ বছর ধরে তিনি এই ফেডারেশনে আছেন। তারপরও এ্যাথলেটিক্সের কোন উন্নতি হয়নি। বরং দিন দিন অবণতিই হচ্ছে। সর্বশেষ দ্বাদশ সাউথ এশিয়ান গেমসে (এসএ গেমস) এ্যাথলেটিক ফেডারেশনের এ্যাথলেট সেভাবে সাফল্য পায়নি। বলতে গেলে ভরাডুবিই হয়েছে। প্রতিবাদ করলেন চেঙ্গিস, ‘মোটেও ভরাডুবি হয়নি। আমাদের এ্যাথলেটরা ২টি তামা জিতেছে।’ প্রতিবারই কোন এ্যাথলেটিক্স আসর হলে ফেডারেশন ঘোষণা দেয়, ট্যালেন্ট হান্ট করে এ্যাথলেটদের উন্নত প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। কিন্তু আদতে সেটা বাস্তবায়িত হয় খুব কমই। এ প্রসঙ্গে চেঙ্গিসের সাফাই, ‘দেখুন, অনেক সময় আমাদের কিছু গৎবাঁধা কথা বলতেই হয়। এটা তেমন কিছু না। তারপরও আমি আশাবাদী।’ এরকম আশার বাণী তো অনেক বছর ধরেই শুনিয়েই আসছেন? ‘দেখুন, রাতে আমরা ঘুমাতে যাই সুন্দর একটি সকাল দেখার প্রত্যাশায়। তেমনি আমিও প্রত্যাশা করি এ্যাথলেটিক্সে একদিন সুদিন আসবেই। আমাদের আর্থিক সমস্যা বা স্পন্সর সঙ্কট দূর হবেই।’ দেশে প্রতিভাবান এ্যাথলেটের সঙ্কট কেন, এ প্রশ্নের জবাবে চেঙ্গিসের ভাষ্য, ‘আমার নিজেরই উচ্চতা ৬ ফুট। আমি তো এখন আমার উচ্চতারই কোন এ্যাথলেট খুঁজে পাই না। তাহলে কিভাবে এ্যাথলেটিক্সে উন্নতি হবে?’
×