ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

যুদ্ধাপরাধী বিচার;###;১৪ জুন থেকে যুক্তিতর্ক

জামালপুরের ৮ রাজাকারের মামলার তদন্ত কর্মকর্তার জেরা শেষ

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ২৬ মে ২০১৬

জামালপুরের ৮ রাজাকারের মামলার তদন্ত কর্মকর্তার জেরা শেষ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে জামালপুরের ৮ রাজাকারের মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা মতিউর রহমানকে জেরা শেষ করেছে আসামি পক্ষের আইনজীবী। আগামী ১৪ জুন থেকে এই মামলার যুক্তিতর্ক শুরু হবে। অন্যদিকে কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার ১৯ জনের মধ্যে পলাতক ১২ আসামির বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। সেই সঙ্গে মামলার পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ১৪ জুলাই দিন ধার্য করা হয়েছে। চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ বুধবার এ আদেশ প্রদান করেছে। জামালপুরের ৮ রাজাকারের মামলায় ১৪ জুন থেকে যুক্তিতর্ক শুরু হবে। আসামিপক্ষে কোন সাক্ষী না থাকায় যুক্তিতর্কের জন্য এ দিন ধার্য করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী যুক্তিতর্কের পরই মামলার সকল কার্যক্রম শেষ হয়। এবং রায় ঘোষণার জন্য মামলাটি অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখে। আইনজীবী আব্দুস সোবহান তরফদার ও আইনজীবী মিজানুল ইসলাম আসামিদের পক্ষে এ মামলায় কাজ করছেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করছেন প্রসিকিউটর হƒষিকেশ সাহা, প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম, প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সিমন, প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল ও প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন। আসামিদের বিরুদ্ধে একাত্তরে হত্যা, গণহত্যা, আটক, অপহরণ, নির্যাতনসহ ৫টি অভিযোগে বিচার কাজ চলছে। এই মামলায় ৮ আসামির মধ্যে দু’জন এ্যাডভোকেট শামসুল আলম এবং এসএম ইউসুফ আলী কারাগারে। বাকি ৬ জন পলাতক। পলাতকরা হলো আলবদর বাহিনীর উদ্যোক্তা মোঃ আশরাফ হোসেন, অধ্যাপক শরীফ আহমেদ ওরফে শরীফ হোসেন, মোঃ আব্দুল হান্নান, মোঃ আব্দুল বারী, মোঃ হারুন ও মোঃ আবুল কাসেম। তার আগে পলাতকদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি ও আত্মসমর্পণের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়া হলেও তারা এতে সাড়া দেয়নি। গত ২০১৫ সালের ২৯ এপ্রিল এই ৮ আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল। একই বছরের ২২ জুলাই পলাতক জামালপুরের ৬ রাজাকারকে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিল ট্রাইব্যুনাল। গত ১৯ এপ্রিল এ ৮ আসামির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ৫টি ঘটনায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। মহেশখালীর ১৯ রাজাকার মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার ১৯ জনের মধ্যে পলাতক ১২ আসামির বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। সেই সঙ্গে মামলার পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ১৪ জুলাই দিন ধার্য করা হয়েছে। চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেয়। ট্রাইব্যুনালে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর রানাদাস গুপ্ত, রেজিয়া সুলতানা চমন ও তাপস কান্তি বল। এর আগে ২০১৫ সালের ২২ মে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল। পরে এই মামলায় সাত আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তবে কারাগারে থাকা অবস্থায় আসামিদের মধ্যে একজন মারা যান। বাকি ৬ জন এখনও কারাগারে। মামলার অন্যান্য আসামি হলো মৌলবী জকরিয়া শিকদার (৭৮), মোঃ রশিদ মিয়া বিএ (৮৩), অলি আহমদ (৫৮), মোঃ জালাল উদ্দিন (৬৩), মোলভী নুরুল ইসলাম (৬১), মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সাবুল (৬৩), মমতাজ আহম্মদ (৬০), হাবিবুর রহমান (৭০), মোলভী আমজাদ আলী (৭০), মৌলবী আব্দুল মজিদ (৮৫), বাদশা মিয়া (৭৩), ওসমান গণি (৬১), আব্দুল শুক্কুর (৬৫), মোলভী সামসুদ্দোহা (৮২), মোঃ জাকারিয়া (৫৮), মোঃ জিন্নাহ ওরফে জিন্নাত আলী (৫৮), মোলভী জালাল (৭৫), আব্দুল আজিজ (৬৮)।
×