ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকদের তনুর বাবার উকিল নোটিস

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ২৬ মে ২০১৬

ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকদের তনুর বাবার উকিল নোটিস

নিজস্ব সংবাদদাতা, কুমিল্লা, ২৫ মে ॥ দেশব্যাপী আলোচিত-সমালোচিত কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু হত্যার প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে আলামত গোপন এবং দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন বিলম্বিত হওয়ার কারণে তার বাবা ইয়ার হোসেনের পক্ষে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকদের বরাবরে উকিল নোটিস পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক এ্যাডভোকেট সালমা আলী ওই নোটিসটি প্রেরণ করেন। কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ মোহসিন-উজ-জামান, কুমেক ফরেনসিক বিভাগীয় প্রধান ডাঃ কামদা প্রসাদ সাহা ও তনুর প্রথম ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ডাঃ শারমিন সুলতানা বরাবর নোটিসটি পাঠানো হয়। বুধবার অফিসে পৌঁছার পর উকিল নোটিসটি পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন ডাঃ কামদা প্রসাদ সাহা। এছাড়া তাকে উড়োচিঠিতে হুমকি দেয়ার বিষয়ে বুধবার দুপুরে নিরাপত্তা চেয়ে কুমিল্লার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও কুমেক অধ্যক্ষের নিকট পৃথক আবেদন করেন। এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি একই বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরিও করেন। জানা গেছে, সোহাগী জাহান তনু হত্যা মামলার বাদী তার বাবা ইয়ার হোসেনের পক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক এ্যাডভোকেট সালমা আলীর পাঠানো ওই নোটিসে তনুর মরদেহের প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে হত্যার কারণ ও ধর্ষণের আলামত না পাওয়া এবং দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে কালক্ষেপণ করায় কেন আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে নাÑ তা জানতে চাওয়া হয়েছে। বুধবার নোটিস প্রাপ্তির বিষয়টি স্বীকার করে তনুর দ্বিতীয় ময়নাতদন্তকারী মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান ডাঃ কামদা প্রসাদ সাহা সাংবাদিকদের জানান, ৭ দিনের মধ্যে নোটিসের জবাব দিতে বলা হয়েছে, আমরা আইনজীবীদের সঙ্গে আলাপ করে নোটিসের জবাব দেব। এ বিষয়ে তনুর বাবা ইয়ার হোসেন জানান, ন্যায়বিচারের জন্য প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সেনাপ্রধান থেকে শুরু করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা আশ্বাস দিয়েছিলেন; কিন্তু এখন ডাক্তাররা ময়নাতদন্ত নিয়ে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে টালবাহানা শুরু করেছেন। সোহাগী জাহান তনুর মরদেহের প্রথম ময়নাতদন্তকারী কর্মকর্তা ডাঃ শারমিন সুলতানা সাংবাদিকদের বলেন, আমি সত্যের পথে আছি; আমি যা পেয়েছি তাই লিখেছি। এ ঘটনায় আমাকে কেউ চাপ দেয়নি। আমি আমার সায়েন্টিফিক নলেজ থেকেই এ রিপোর্ট দিয়েছি। তিনি বলেন, তার জেনেটেলিয়া হেল্দি ছিল। তার শরীরে ছোটখাটো আচড় ছিল। তাছাড়া মাইক্রোবায়োলজিক্যাল যে রিপোর্ট দেয়া হয়েছে সব কিছু মিলিয়েই আমি রিপোর্ট দিয়েছি। উল্লেখ্য, গত ২০ মার্চ তনুর মরদেহ কুমিল্লা সেনানিবাসের অভ্যন্তরে তার বাসার অদূরে একটি জঙ্গলের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়। অথচ হত্যাকা-ের পর ২ মাস পেরিয়ে গেলেও এ ঘটনায় আজও কেউ গ্রেফতার হয়নি।
×