ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দৃষ্টি দক্ষিণ চীন সাগরে বেজিংয়ের আচরণের দিকে

চীনের প্রতিবেশীরা গড়ে তুলছে নিরাপত্তার নতুন বলয়

প্রকাশিত: ০৪:১৭, ২৬ মে ২০১৬

চীনের প্রতিবেশীরা গড়ে তুলছে নিরাপত্তার নতুন বলয়

প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার হ্যানয় সফর নিঃসন্দেহে এক ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করে। আমেরিকার পুরনো এ শত্রুকে মরণঘাতী অস্ত্র কেনার প্রস্তাবও দিতে পারেন তিনি। কিন্তু সম্প্রতি অন্য দুই দেশের দুই অধস্তন কর্মকর্তার ভিয়েতনাম সফরে এশীয় দেশগুলো কীভাবে নজিরবিহীন উপায়ে তাদের নিরাপত্তা রক্ষার ছকটি অংকন করছে- সে সম্পর্কে ধারণা পাওয়াই বরং তার এ সফরের উদ্দেশ্য বলে জানানো হয়েছে। খবর ক্রিশ্চিয়ান সায়েন্স মনিটর অনলাইনের। ওই দুই সফরকারীর একজন হচ্ছেন ফিলিপিন্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোস রেনে এ্যালমেনড্র্যাস। তিনি এক মাস আগে হ্যানয় সফরে গিয়ে শীঘ্রই নৌমহড়া অনুষ্ঠানের জন্য একটি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণে সম্মতি প্রকাশ করেন। তার সফরের পরদিনই ক্যামরান বে ডকে জাপানি নৌবাহিনীর দুটি ডেস্ট্রয়ারকে ভিড়তে দেখা যায়। চীনের প্রতিবেশী দেশগুলো বেজিংয়ের বর্ধিত প্রতিরক্ষা বাজেট ও দক্ষিণ চীন সাগরে ক্রমবর্ধমান শক্তি প্রদর্শনে সঙ্কিত হয়ে উঠেছে। চীন ওই সাগরে সামরিক উদ্দেশ্যে নির্মাণ করেছে কৃত্রিম দ্বীপ। এ প্রেক্ষিতে প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতিক্রিয়া কেমন? দেশগুলো চাইছে, তাদের মধ্যে এক নতুন সম্পর্ক গড়ে তুলতে। ওয়াশিংটন ডিসির সেন্টার ফর স্ট্রাটেজিক এ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজয়ের আঞ্চলিক বিশ্লেষক বোনি গ্ল্যাসার বলেছেন, জাপান থেকে ভারতে এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে ভিয়েতনামে সকল ধরনের নতুন নিরাপত্তা বন্দোবস্ত গড়ে ওঠছে। ওয়াশিংটন কয়েক দশক ধরে এ অঞ্চলে তাদের স্বার্থ ও মিত্রদের রক্ষা করে আসছে বেশকিছু দ্বিপক্ষীয় বন্দোবস্তের মাধ্যমে।
×