ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অভিভাবকের কর্তব্য

প্রকাশিত: ০৪:১৭, ২৬ মে ২০১৬

অভিভাবকের কর্তব্য

জয়কেতু বড়ুয়া মাদকাসক্ত বলতে আগে বুঝতাম যারা মদ খায়, গাঁজা খায় মাতলামি করে তারাই মাদকাসক্ত। পরে শোনা গেল ফেনসিডিল, হেরোইন খায় মাদকাসক্তরা। হালে ইয়াবা সেবনকারীরা মাদকাসক্ত হিসেবে বিবেচিত। এসব মাদকে প্রচ- নেশা হয় এবং প্রচুর অর্থ খরচও হয়। একবার খেলে বার বার খেতে ইচ্ছা হয়। আবার পেথেডিন জাতীয় ইনজেকশন এবং ঘুমের ওষুধও এক জাতীয় নেশা বড় লোকেরা নিয়মনীতির মধ্যে দামী বিদেশী মদ খায় এবং চা বাগানের শ্রমিক ও সুইপার জাতীয় লোকেরা এবং পার্বত্য এলাকার গরিব লোকেরা সস্তা নিজে বানানো দেশী মদ খায়। সর্বনাশের কথা হলো ছাত্র জীবনে কিংবা বেকার জীবনে এবং অল্প বয়সে নেশায় আক্রান্ত হলে সব শেষ হয়ে গেল। আজকাল পত্রিকায় দেখা যায় নেশার টাকার জন্য মা-বাবাকে হত্যা করে, চুরি করে, ডাকাতি করে, ছিনতাই করে সমাজে নানাভাবে নিগৃহীত হয়, জেল-জুলুমের শিকার হয়। মানবজীবন অর্থহীন বিষাদপূর্ণ হয়ে শেষে আত্মহননে লিপ্ত হয়। যে কারও সন্তান যদি মাদকাসক্ত হয় শুধু বাবা-মা নয় তার ভাইবোন ও পরিবারের অন্য সদস্যের জীবনও ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। তাই বাবা-মাকে আদর স্নেহ প্রেম ভালবাসা দিয়ে সন্তানের মন বুঝে আচরণ করবে যাতে কোন অবস্থাতে সন্তান পথচ্যুত না হয়। বাবা-মার নিজেদের মধ্যে গরমিল হলে মারামারি গালাগালি এবং ভুল বোঝাবুঝি হলে সন্তানের ভবিষ্যত নষ্ট অবধারিত। সব ধর্মেই নেশা দ্রব্য বর্জনীয়। ধর্মীয় অনুশাসন মানলে মাদক থেকে দূরে থাকা কঠিন নয়। হালিশহর, চট্টগ্রাম থেকে
×