ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

মাদক ব্যবসায়ীরা দেশের শত্রু

প্রকাশিত: ০৪:১৬, ২৬ মে ২০১৬

মাদক ব্যবসায়ীরা দেশের শত্রু

মেছের আলী দেশের যুব সমাজ আগামী দিনের উজ্জ্বল ভবিষ্যত। এই যুব সমাজের একাংশ সমাজের ক্যান্সার মাদকের আসক্তে ভুলপথে চলে গেছে নানা কারণে নানাভাবে। মাদক বা নেশা নামের শব্দটি এক সময় উচ্চ মহলে চালু ছিল। মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত, গরিব, হতদরিদ্রের সন্তান নেশার সঙ্গে জড়িত ছিল না। বিভিন্ন কোম্পানির তৈরি বোতলজাত নেশাদ্রব্য পান করত এক শ্রেণীর পয়সাওয়ালা ব্যক্তি। বিগত ১৫-২০ বছর যাবত নানা জাতীয় মাদকের নাম বাতাসে ভাসছে। দেশের এক শ্রেণীর অসাধু নষ্ট বিত্তশালী ব্যক্তির সহযোগিতায় নানা দেশ হতে চোরাইপথে ইয়াবা ও ফেনসিডিল নামক নেশা দেশের সকল স্তরে সকল স্থানে, গ্রামগঞ্জে, প্রত্যন্ত অঞ্চলে যুবক, কিশোর এমনকি যুবতী ও কিশোরীদের নানাভাবে সেবনে উৎসাহ দিয়ে আসছে বিক্রেতারা। যারা এই মরণ নেশা ইয়াবা ও ফেনসিডিল আকাশ, স্থল ও নৌপথে দেশে আনছে এবং যারা এই নেশা দেশে সকল স্থানে পৌঁছে দিচ্ছে তাদের হাত শক্তিশালী। সঙ্গদোষে যুবক নেশা পানে অভ্যস্ত হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে অভিভাবকদের করার কিছুই থাকে না। কারণ যারা নেশা করে তাদের সংখ্যা অনেক বেশি। এসব সন্তান তখন আর পিতা-মাতা ও অভিভাবকদের সামান্যতম ভয় পায় না। বরং পিতা-মাতা মাদকাসক্ত সন্তানকে অর্থ দিতে বাধ্য হয়। বর্তমান কঠিন সময়ে সচেতন অভিভাবক, পিতা-মাতার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না সন্তানকে সুপথে ফিরিয়ে আনা। কারণ সমাজপতি, ক্ষমতাধর ও বিত্তবানরা বিপথগামীদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে সমাজ ধ্বংস করার ভূমিকা পালন করছে নিজেদের শক্তি ধরে রাখার জন্য। শত হলেও প্রিয় সন্তান। খেয়ালের বশবর্তী হয়ে নিজের অজান্তে অন্ধকার পথে প্রবেশ করার পরও ফেলে দেয়া যায় না, মেরে ফেলা যায় না। বকাঝকা ও মারধর করে সুফল পাওয়া যায় না, স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা নিতে হবে আদর, যতœ দিয়ে বুঝিয়ে সুঝিয়ে। হতাশা, বেকারত্ব, প্রেমে ব্যর্থ, অর্থ নষ্ট ইত্যাদি কারণে অভিমান করে নেশার জগতে প্রবেশ করার ঘটনা কম নয়। যেসব কালো ব্যবসায়ী মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত তারা সন্ত্রাসী, জঙ্গী ও আইএস হতে অধিক ক্ষতিকর তারা দেশের শত্রু। মাদকের বড় ব্যবসায়ীদের নির্মূল করার ব্যবস্থা না নিলে দেশ এক সময় অসভ্য জগতে প্রবেশ করবে। মাফিয়াদের বিরুদ্ধে কঠোর হতে হবে। ওদের আটকাবস্থায় রেখে নৌ, সমুদ্র, স্থল ও আকাশ পথে মাদক আসা বন্ধ করতে কঠোর হতে হবে। শ্রীনগর, মুন্সীগঞ্জ থেকে
×