ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

কৃষি ঋণ ॥ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি বিতরণ করেছে ২৫ ব্যাংক

প্রকাশিত: ০২:৩৪, ২৫ মে ২০১৬

কৃষি ঋণ ॥ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি বিতরণ করেছে ২৫ ব্যাংক

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ চলতি অর্থবছরের প্রথম দশ মাসে (জুলাই’১০-এপ্রিল ’১১) লক্ষ্যমাত্রার ৮৬ শতাংশেরও বেশি কৃষি ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে কৃষি ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ১৪ হাজার ১২৮ কোটি টাকা। গত বছর এর পরিমাণ ছিল ১২ হাজার ৩৯৯ কোটি টাকা। গেল ১০ মাসে দেশে কার্যরত ৫৬ ব্যাংকের মধ্যে ২৫টি ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরে কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ১৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। জুলাই-এপ্রিল ১০ মাসে কৃষি ঋণ বিতরণ হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৮৬ দশমিক ১৫ শতাংশ অর্থাৎ ১৪ হাজার ১২৮ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা। গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। ওই অর্থবছরের ১০ মাসে বিতরণ করা হয়েছিল ১২ হাজার ৩৯৯ কোটি ১৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ চলতি বছরে গতবছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ১৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ বিতরণ বেশি হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, কৃষিঋণ বিতরণে পরিমানের সঙ্গে বেড়েছে বিতরণের মান। কৃষকরা ঋণ নিয়ে তা কতটুকু কাজে লাগাতে পারছে তাও নিশ্চিত করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে একদিকে কৃষির উৎপাদন বাড়াতে সহায়ক হচ্ছে। যদিও কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রত্যাশিত ফল পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, অর্থবছরের ১০ মাসে বিদেশী খাতের হাবিব ব্যাংক ৬ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৩০ কোটি টাকা কৃষি ঋণ বিতরণ করেছে। সিটি ব্যাংক এনএ ২৫৪ শতাংশের বেশি কৃষি ঋণ বিতরণ করেছে। মোট বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ ১৭ কোটি টাকা। সিটি ব্যাংক লক্ষ্যমাত্রার ২০৬ শতাংশ বেশি কৃষি ঋণ বিতরণ করেছে। টাকার অংকে ১৮০ কোটি টাকা। ইস্টার্ন ব্যাংক লক্ষ্যমাত্রার ১৭৪ শতাংশের মধ্যে কৃষি ঋণ বিতরণ করেছে ১৯০ কোটি টাকা। প্রিমিয়ার ব্যাংক ১১০ কোটি টাকা কৃষি ঋণ বিতরণ করেছে। যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১৭২ শতাংশের বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, কৃষি ঋণ বিতরণে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে শুধু পরিমাণগত অর্জনই নয় বরং বিতরণকৃত কৃষি ঋণের গুণগত দিক এবং ঋণের সদ্বব্যবহারের প্রতিও বাংলাদেশ ব্যাংক সমান গুরুত্ব দিচ্ছে। কৃষি ঋণ কার্যক্রমকে কার্যকর করে তোলার জন্য তিন স্তর বিশিষ্ট মনিটরিং ব্যবস্থা বর্তমানে চালু রয়েছে।
×