ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

৯ পৌরসভায় আজ নির্বাচন

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ২৫ মে ২০১৬

৯ পৌরসভায় আজ নির্বাচন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আজ বুধবার ৯ পৌরসভায় নির্বাচন। কমিশন জানিয়েছে পৌরসভায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ করা হবে। ভোটের সরঞ্জাম রাতের মধ্যেই কেন্দ্রে পৌঁছানো হয়েছে। কেন্দ্রে নিরাপত্তার পাশাপাশি নির্বাচনী এলাকায়ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। নির্বাচনী অপরাধ বিচারের জন্য ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য যা যা করণীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে কমিশনের কর্মকর্তারা জানান। ৯ পৌরসভার নির্বাচনের জন্য কমিশন গত ২০ এপ্রিল তফসিল ঘোষণা করে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রার্থীরা ২৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবারের মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার নিকট মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। মনোনয়নপত্র বাছাই করা হয় ২ মে। প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল ৯ মে সোমবার। আজ যেসব পৌরসভায় ভোট হবে তার মধ্যে রয়েছেÑ নরসিংদী জেলার ঘোড়াশাল ও রায়পুরা, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর পৌরসভা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা, নোয়াখালী সদরের নোয়াখালী ও সেনবাগ পৌরসভা, ফেনীর ছাগলনাইয়া, কক্সবাজারের টেকনাফ ও খাগড়াছড়ির রামগড় পৌরসভা। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে ৯ পৌরসভায় মোট ভোট কেন্দ্র রয়েছে ১৩৩টি, ভোট কক্ষের সংখ্যা, ৮৭৯টি। মোট ভোটার সংখ্যা রয়েছে ৩ লাখ ১৩ হাজার ৬৫১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছে ১ লাখ ৫৯ হাজার ২৫৫ জন। মহিলা ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৫৪ হাজার ৩৯৬ জন। ৯ পৌর সভায় ওয়ার্ড সংখ্যা রয়েছে ৮৭টি। সংরক্ষিত ওয়ার্ড সংখ্যা ২৯টি। ভোটাররা ভোট দিয়ে ৯ জন মেয়র নির্বাচনের পাশাপাশি ৮৭ জন কাউন্সিলর ও ২৯ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর নির্বাচিত করবেন। ৯ পৌরসভায় মেয়র পদে রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলে ২৭ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে রাজনৈতিক দলের প্রার্থী রয়েছেন ২১ জন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন ৬ জন। সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৩১৬ জন প্রার্থী এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৭০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে নরসিংদী ঘোড়াশাল পৌরসভার ৯টি সাধারণ ওয়ার্ডের মধ্যে ৬টি ওয়ার্ডেই কাউন্সিলরর প্রার্থীর সংখ্যা রয়েছেন একজন করে। ফলে এসব প্রার্থীরা কোন ভোট ছাড়া নির্বাচিত হতে চলেছেন। অপরদিকে রায়পুরা পৌসভার সংরক্ষিত ৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২নং ওয়ার্ডের প্রার্থী সংখ্যা ১ জন থাকায় তিনিও বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে চলেছেন। গত বছর ৩০ ডিসেম্বর প্রথম দফায় সারাদেশে ২৩৪ পৌরসভায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। পৌরসভার মাধ্যমে দলীয় ভিত্তিতে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের সূচনা হয়েছে। এরপর দ্বিতীয় দফায় গত ২০ মার্চ ১০ পৌরসভায় ভোট অনুষ্ঠিত হয়। তৃতীয় দফায় নির্বাচনের জন্য এবার ৯ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে আজ বুধবার। সারাদেশে ৩২৩টি পৌরসভা রয়েছে। কমিশন জানিয়েছে বাকি পৌরসভায় পর্যায়ক্রমে ভোট গ্রহণ করা হবে। কমিশনের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয় শাখার কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচন উপযোগী আরও ৪০টি পৌরসভার একটি তালিকা করা হয়েছে। সীমানা ও মামলা জটিলতায় কিছু পৌরসভার নির্বাচন আটকে রয়েছে। বাধা কেটে গেলে মেয়াদোত্তীর্ণ পৌরসভার ভোটের তফসিল দেয়া হবে। পঞ্চম ধাপে ইউপি নিবাচন ॥ এদিকে ইউপি নির্বাচনের পঞ্চম দফায় ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে আগামী ২৮ মে শনিবার। কমিশন জানিয়েছে সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। পাশাপাশি নির্বাচনী অপরাধ বিচারের জন্য নামছে বিচারিক হাকিমও। নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলতে বাধ্য করতে আগেই দায়িত্ব পালন করছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। আগামীকাল বৃহস্পতিবার রাত ১২ থেকে নির্বাচনী এলাকায় সব ধরনের প্রচার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এ সময়ের পর সব ধরনের যান চলাচলের ওপর নিষেজ্ঞা থাকছে। এছাড়া আজ থেকেই নির্বাচন এলাকায় সব ধরনের মোটরসাইকেল চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত এসব নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশন জানিয়েছে পঞ্চম দফায় ভোটগ্রহণ করা হবে ৭২৯ ইউপিতে। এর মধ্যে ৪২ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে চলেছেন। গত ১২ মে এ দফায় প্রত্যাহারের শেষ দিনে একক প্রার্থী থাকায় তারা ভোট ছাড়াই এখন নির্বাচিত হতে চলেছেন। এদের সবাই আবার ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের বলে জানা গেছে। পঞ্চম ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৭২৯ ইউপিতে ৩ হাজার ২৫৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ১৫টি দলের প্রার্থী রয়েছে ১ হাজার ৭২৭ জন। স্বতন্ত্র প্রার্থী ১ হাজার ৫২৭ জন। এ দফায় আওয়ামী প্রার্থী নেই তিন ইউপিতে। আওয়ামী লীগের প্রার্থী রয়েছেন ৭২৬ ইউপিতে, আর বিএনপির প্রার্থী রয়েছেন ৬২৯ ইউপিতে। ১০০ ইউপিতে তাদের কোন প্রার্থী নেই। এছাড়া এ দফায় জাতীয় পার্টি ১৭৭টি, জাসদ ২১টি, বিকল্পধারা ২টি, ওয়ার্কার্স পার্টি ১৩টি, ইসলামী আন্দোলন ১২২টি, জেপি ২টি, ইসলামী ফ্রন্ট ১১টি, এলডিপি ৬টি, সিপিবি ৫টি, জেএসডি ১টি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ৬টি, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ৭টি এবং অন্যান্য ১ ইউপিতে প্রার্থী দিয়েছে।
×