ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ইনজুরিতে ক্যাম্প ছাড়লেন চার ফুটবলার

প্রকাশিত: ০৪:২৬, ২৫ মে ২০১৬

ইনজুরিতে ক্যাম্প ছাড়লেন চার ফুটবলার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ জাতীয় দলের ফুটবলারদের নিয়ে ভিডিও সেশন করেছেন কোচ লোডভিক ডি ক্রুইফ। এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের প্লে-অফে তাজিকিস্তানের বিপক্ষে এ্যাওয়ে ম্যাচে (আগামী ২ জুন অনুষ্ঠিতব্য) সফল হতেই সোমবার শিষ্য মামুনুল-জামালদের নিয়ে এই ভিডিও সেশন করেন তিনি। বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের আট ম্যাচে ৩২ গোল হজম করেছে বাংলাদেশ। তাই কিভাবে ডিফেন্সিভ খেলে শক্তিশালী তাজিকিস্তানকে গোলবঞ্চিত রাখা যায় বা ম্যাচটি ড্র করা যায়Ñ তা নিয়ে দলকে পরামর্শ দেন এই ডাচ কোচ। সেশনে নিজেদের ভুলগুলো আর প্রতিপক্ষের শক্তির জায়গাগুলো দেখে নেন ফুটবলাররা। গত ১২ মে থেকে জাতীয় দলের অনুশীলন শুরু হয়। দলের চার খেলোয়াড় তাদের ইনজুরি সম্পর্কে লিখিতভাবে জানিয়েছেন এবং ইতোমধ্যেই ক্যাম্প ছেড়েছেন। এরা হলেন : ডিফেন্ডার মোহাম্মদ লিঙ্কন, কেষ্ট কুমার বোস, মিডফিল্ডার শাহেদুল আলম শাহেদ জুনিয়র এবং গোলরক্ষক মাজহারুল ইসলাম হিমেল। কদিন আগে ক্যাম্প ছিল ৩৬ জনের। পরে ক্রুইফ এসে ছয়জনকে বাদ দিলে তা ৩০-এ নেমে আসে। সোমবার চারজন চোট পাওয়ায় সংখ্যাটা আরও কমে দাঁড়ায় ২৬-এ। এখন এই ২৬ জন থেকে চূড়ান্ত দলে ঠাঁই পাবে ২৩ জন। তার মানে বাদ পড়বেন আরও তিনজন। কিন্তু প্রতিদিনই যেভাবে চোটের কারণে ক্যাম্প থেকে একেকজন ফুটবলার বিদায় নিচ্ছেন, তাতে শঙ্কা হচ্ছে ক্রুইফকে হয়তো ২৩ জন পুরো করতেই হিমশিম খাবেন! চূড়ান্ত দল এখনও ঘোষণা হয়নি। জানা গেছে ২৭ মে’র আগে হচ্ছে না চূড়ান্ত দল। ‘২০১৪ সাফেও বাঁ হাঁটুতে চোট পেয়ে জাতীয় দলের ক্যাম্প ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলাম। এবার এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের প্লে-অফ ম্যাচ খেলার আগেই চোটের কারণে ক্যাম্প ছাড়লাম। প্রতিবারই ক্যাম্প ছাড়ার সময় খুব কষ্ট পেয়েছি। কেননা জাতীয় দলে খেলা, দেশের জার্সি গায়ে চাপিয়ে কোন আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার রোমাঞ্চই আলাদা। তা থেকে এবার বঞ্চিত হচ্ছি।’ মঙ্গলবার জনকণ্ঠকে এভাবেই নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন ডিফেন্ডার কেষ্ট কুমার বোস। শেখ জামাল ধানম-ির এই ফুটবলার আরও জানান, ‘সর্বশেষ স্বাধীনতা কাপে ভাল খেলেই জাতীয় দলের প্রাথমিক দলে ডাক পেয়েছিলাম। স্বপ্ন তাজিকিস্তানের বিরুদ্ধে দুটি ম্যাচে নিজের সামর্থ্যরে সবটুকু উজাড় করে খেলবো। কিন্তু অনাকাক্সিক্ষত চোট যে আমাকে দলের বাইরে ছিটকে দেবে, তা কল্পনাও করিনি। এটা আমার জন্য অনেক বেদনাদায়ক।’ ইনজুরির মাত্রা কতটা? সারতে কতদিন লাগবে? ‘সপ্তাহ দুয়েকের মতো লাগবে। তাই আগামী ২ জুনের ম্যাচে খেলার কোন সম্ভাবনাই নেই আমার। জাতীয় দলে খেলার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেল। তাই লিখিত আবেদন করে ক্যাম্প থেকে চলে এসেছি বাসায়।’ কেষ্টর ভাষ্য। নিজে খেলতে না পারলেও দলের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন কুষ্টিয়ার ফুটবলার কেষ্ট, ‘দলের অনুশীলন খুব ভাল চলছে। আশাকরি টিমমেটরা জানপ্রাণ দিয়ে খেলবে এবং তাজিকিস্তানের বিরুদ্ধে ভাল ফল করবে। তাদের জন্য শুভকামনা রইলো।’ দলের কোচ প্রসঙ্গে কেষ্ট বলেন, ‘কোচ ক্রুইফ সম্পর্কে নতুন করে বলার আর কিছু নেই। তিনি খুবই ভাল কোচ। আমাদের অনেকদিন ধরেই চেনেন, জানেন। আশাকরি এবার তিনি সফল হবেন।’ গত ১২ মে থেকে জাতীয় দলের অনুশীলন শুরু হয়। তাজিকিস্তানের কন্ডিশন মাথায় রেখে যে ধরনের অনুশীলন করার কথা তাই করছে ক্রুইফের শিষ্যরা। তাজিকিস্তানের বিপক্ষে এর আগে গত বছরের ১৬ জুন অনুষ্ঠিত হোম ম্যাচে (ফিফা বিশ^কাপ বাছাইপর্ব, স্কোর ১-১ গোলে ড্র) অনেক ভাল খেলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এ্যাওয়ে ম্যাচের ফলটা তেমন ভাল ছিল না (গত বছরের ১২ নভেম্বর, স্কোর ০-৫ গোলে হার)। গত ২০ জুন চারদিন অনুশীলন করানোর পর দলের পরিধি কমাতে কাটছাঁট প্রক্রিয়া শুরু করেন ক্রুইফ। ৩৬ জন থেকে পাঁচজনকে বাদ দেন। বাদ পড়াদের সবাই নতুন মুখ। এরা হলেন : রহমতগঞ্জের দুই ফরোয়ার্ড নুরুল আবসার, মান্নাফ রাব্বি; চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেডের মিডফিল্ডার কৌশিক বড়ুয়া, উত্তর বারিধারার মিডফিল্ডার খালেকুজ্জামান সবুজ এবং বিজেএমসির উইঙ্গার সৈকত মাহমুদ। আগেরদিন চোটের কারণে ক্যাম্প ছেড়েছিলেন শেখ রাসেলের ডিফেন্ডার আতিকুর রহমান মিশু। এখন তাদের সঙ্গে যুক্ত হলেন কেষ্ট-লিংকন-শাহেদ-হিমেল।
×