ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সহিংসতায় তিন কর্মী খুন

প্রকাশিত: ০৩:৫৩, ২৫ মে ২০১৬

সহিংসতায় তিন কর্মী খুন

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট অফিস ॥ ওসমানীনগরে নির্বাচনী লিফলেট বিতরণ নিয়ে সৃষ্ট বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। নিহত রকিব মিয়া (৩২) উপজেলার গোয়ালাবাজার ইউনিয়নের একারাই গ্রামের মৃত মছদ্দর আলীর ছেলে। জানা যায়, উপজেলার গোয়ালাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার পদপ্রার্থী আফতাব মিয়া সোমবার দুপুরে সমর্থকদের নিয়ে শশারকান্দি গ্রামে গণসংযোগে বের হন। এ সময় কয়েক শিশু তাদের কাছে লিফলেট চাইলে আফতাব মিয়ার সমর্থক শশারকান্দি গ্রামের জাকির শিশুদের কয়েকটি লিফলেট প্রদান করেন। হুড়োহুড়ি করে লিফলেট নেয়ার সময় একারাই গ্রামের দিলবর মিয়ার মেয়ে শিশু মাটিতে পড়ে আহত হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দিলবর মিয়া উত্তেজিত হয়ে জাকিরকে মারধর করেন। এতে জাকির আহত হন। বিষয়টি স্থানীয় লোকজন মীমাংসা করে দেন। এরপর আহত জাকিরকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে দিলবরের ভাই রকিব রাত আটটার দিকে বাড়ি ফেরার পথে ওঁৎপেতে থাকা জাকিরের চাচাত ভাই আখতার, রিপন ও আখলুসহ কয়েকজন রকিবের ওপর অর্তকিত হামলা চালায়। গুরুতর আহত অবস্থায় রকিবকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে মঙ্গলবার সকালে রকিবের মৃত্যু ঘটে। নিজস্ব সংবাদদাতা, রাঙ্গুনিয়া, চট্টগ্রাম থেকে জানা, রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। নিহতের নাম মহসিন (৩৬)। তার পিতার নাম রমজান আলী। তিনি একই ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের খতিবনগর এলাকার বাসিন্দা। এদিকে পোস্টার লাগানোর সময় মহসিনকে প্রতিপক্ষের লোকজন কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী সিরাজুদ্দৌলাহ দুলাল। তিনি বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকরা আমার কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। তিনি আরও বলেন, তার দোকান ভাংচুর করা হয়েছে। তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। তাকে এলাকায় প্রচার প্রচারে বাধা দেয়া হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। নিজস্ব সংবাদদাতা, নরসিংদী, থেকে জানান, এবায়দুল্লাহ ওরফে এবা (৩০) নামে এক যুবককে গলা কেটে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা। সদর উপজেলার হাজিপুর ইউনিয়নের বাদুয়ারচর গ্রামে সোমবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, ওই ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থীর আলতাফ হোসেনের কর্মী বাদুয়ারচর গ্রামের ছেনু মুন্সীর পুত্র এবায়দুল্লাহকে কে বা কারা গভীর রাতে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে যায়। মঙ্গলবার সকালে গ্রাম সংলগ্ন নদীর পাড়ের রাস্তায় এবায়দুল্লাহর গলাকাটা লাশ পাওয়া যায়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মির্জাপুরে নির্বাচনী অফিসে আগুন নিজস্ব সংবাদদাতা, মির্জাপুর থেকে জানান, উপজেলার উয়ার্শী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহবুব আলম মল্লিকের নির্বাচনী অফিসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার রাতে ওই ইউনিয়নের মৈশামূড়া বাজারে অবস্থিত নির্বাচনী অফিসে এ অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এতে এলাকার সাধারণ ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে। দুর্বৃত্তের দেয়া আগুনে নির্বাচনী অফিসের চেয়ার, টেবিল ও অন্যান্য আসবাবপত্র পুড়ে গেছে বলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহবুব আলম মল্লিক জানিয়েছেন। ভাঙ্গায় সংঘর্ষে আহত চার নিজস্ব সংবাদদাতা, ফরিদপুর থেকে জানান, ভাঙ্গায় ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে চারজন আহত হয়েছেন। সোমবার রাত ৮টার দিকে কালামৃধা ইউনিয়নের আটরা ভাসরা গ্রামে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, স্বতন্ত্র প্রার্থী রিজাউল মাতুবরের (ঘোড়া) কয়েক সমর্থক ইউনিয়নের আটরা ভাসরা গ্রামে নির্বাচনী প্রচারে যায়। ওই সময় আওয়ামী লীগ প্রার্থী এসকান্দার আলী খলিফার সমর্থকদের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি ও এক পর্যায়ে কিল ঘুষিসহ মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয় প্রার্থীর চারজন সমর্থক আহত হন। ঠাকুরগাঁওয়ে ভাংচুর নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও থেকে জানান, সদর উপজেলার নারগুন ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নৌকা প্রতীকে অগ্নিসংযোগ ও বিএনপি প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বিএনপি-আ’লীগ প্র্থর্াী একে অপরকে দোষারোপ করায় এলাকার সাধারণ ভোটারগণ অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এলাকাবাসী জানায়, সোমবার রাত ১২টায় ওই ইউনিয়নের শাপলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে রাখা ২টি স্থানে প্রদর্শিত নৌকা প্রতীকে কে বা কারা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। এদিকে শাপলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে, কোনাপাড়া, ম-লপাড়া ও দৌলতপুর হাবুস পাড়ায় গ্রামে ৩০/৪০ জন ব্যক্তি মোটরসাইকেল নিয়ে লাঠিসোটা দিয়ে বিএনপি প্রার্থীর নির্বাচনী ২টি অফিসে হামলা চালিয়ে চেয়ার-টেবিল, মোটরসাইকেল ও অফিস ভাংচুর করেছে। রাজশাহীতে ২৩ বিদ্রোহীকে বহিষ্কার স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী থেকে জানান, দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে পঞ্চম ধাপে অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় রাজশাহীর তিন উপজেলার ২৩ বিদ্রোহীকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ। প্রার্থীরা পবা, চারঘাট ও দুর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পদে ছিলেন। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে দলীয় মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোটে অংশ নিয়েছিলেন তারা। এতে নেতাকর্মীরা বিভ্রান্ত হচ্ছেন, দল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ কর্মকা- দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী। তাই কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃরা হলেন চারঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এ্যাডভোকেট টিপু সুলতান, সরদহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসরাইল, ৫নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন (কয়েল), ২নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, ভায়ালক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন সদস্য শওকত আলী (বুলবুল), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, ৪নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক দুলাল আলী, ৬নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক মিলন আলী, ৭নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক দোদারুল আসলাম (বাবলু)। পবায় বহিষ্কৃতরা হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাইফুল বারী ভুলু, এমদাদুল হক ও দেওয়ান রেজাউল করিম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও হরিয়ান ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জেবের আলী, একই ইউনিয়নের সহ-সভাপতি ওবাইদুল্লাহ, বিজ্ঞান ও ক্রীড়া সম্পাদক নূর হোসেন, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক রেজাউল করিম সরকার (বাবু)। এছাড়া দুর্গাপুরের বহিষ্কৃতরা হলেন উপজেলা সৈনিকলীগ সভাপতি আব্দুল লতিফ মৃধা, সাবেক সহসভাপতি কবিরুল ইসলাম আনিস, যুবলীগের ক্রীড়া সম্পাদক আলামিন, কৃষকলীগ সভাপতি আলিফ আলী, জয়নগর ইউনিয়নের শমসের আলী ও আজিজুল ইসলাম। কচুয়ায় বিদ্রোহী প্রার্থী নিখোঁজ নিজস্ব সংবাদদাতা, কচুয়া, চাঁদপুর থেকে জানান, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার রাত ১টার দিকে উপজেলার কাদলা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ইমাম হোসেন চৌধুরীর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাটি ঘটে। থানায় অভিযোগ মর্মে জানা গেছে-নির্বাচনী প্রচার শেষে ইমাম হোসেন চৌধুরী তার গ্রাম কাদলা চৌধুরী বাড়িতে ফিরে আসে। তার পরিবারের দাবি গভীর রাতে সবার অজান্তে কে বা কারা তাকে ডেকে ঘর থেকে নিয়ে যায়। সে আর বাড়ির ফিরে আসেনি। গজারিয়ায় হত্যাকারীর ফাঁসির দাবি স্টাফ রিপোর্টার মুন্সীগঞ্জ থেকে জানান, গজারিয়ায় নির্বাচনী সহিংসতায় গুলিতে নিহত হানিফের হত্যাকারীর বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে জামালদি-গজারিয়া সড়কে নিহতের স্বজন, ছাত্রলীগ ও এলাকাবাসী হত্যাকারীর ফাঁসির দাবিতে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করে। জানা যায়, আগামী ২৮ মে গজারিয়ার হোসেন্দি ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সোমবার সন্ধ্যার দিকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাহাবুবুল হক মজনুর নেতৃত্বে একটি মিছিল বের হয়। বিদ্রোহী প্রার্থীর মিছিলে ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান রেফায়েত উল্লাহ খান তোতা। এর কিছুক্ষণ পরই আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মনিরুল হক মিঠুর একটি মিছিল বের হয়। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে এবং মজনুর সমর্থকরা মিঠুর কয়েকটি নির্বাচনী ক্যাম্প ভাংচুর করে। এতে দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে রাত সাড়ে ৯টার দিকে মিঠুর লস্করদি বাজারের পাশে নির্বাচনী ক্যাম্প লক্ষ্য করে প্রতিপক্ষের লোকজন গুলি চালায়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন হানিফ। আহতাবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
×