ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দিনাজপুর সীমান্তে মানব কঙ্কাল পাচার

প্রকাশিত: ০৩:৫০, ২৫ মে ২০১৬

দিনাজপুর সীমান্তে মানব কঙ্কাল পাচার

স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ সোনা, কাঁসা, তামা, পিতল, কষ্টিপাথরের মূর্তি ও হুন্ডির পর এবার দিনাজপুর থেকে ভারতে ‘মানব কঙ্কাল’ পাচার শুরু হয়েছে। অল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে বেশি মুনাফা পাওয়া যায় বলে, চোরাকারবারিরা জেলার বিভিন্ন সীমান্ত পথ দিয়ে ভারতে মানব কঙ্কাল ও হাড়-হাড্ডি পাচার করছে। কবর থেকে তোলার সময় ধরা পড়লে গণধোলাই ছাড়া এই কাজে তেমন কোন ঝুঁকি নেই বলে দিন দিন কঙ্কাল পাচারের ঘটনা বেড়েই চলেছে। পাচারকৃত কঙ্কালের মূল ক্রেতা হচ্ছে ভারতের মেডিক্যাল কলেজগুলোর ছাত্রছাত্রী ও কলেজ কর্তৃপক্ষ। অপরদিকে প্রতি রাতেই কবর থেকে লাশ চুরি হওয়ায় এই অঞ্চলের লোকজন বর্তমানে রাত জেগে কবর পাহারা দিচ্ছে। তারপরও লাশ চুরি বন্ধ হচ্ছে না। জানা যায়, ভারতের মেডিক্যাল কলেজগুলোতে মানুষের কঙ্কালের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ভারত মূলত হিন্দু অধ্যুষিত দেশ হওয়ায়, অধিকাংশ মৃত ব্যক্তির দেহ পুড়িয়ে ফেলা হয়। ফলে সেখানে মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রছাত্রী ও গবেষকদের কাছে মানুষের কঙ্কাল ও হাড়ের তীব্র সঙ্কট রয়েছে। বিশেষ করে পিঠের স্পাকুলা, ক্লাভিকাল, কোমরের অংশের স্যাকরাম, ফিমার, হাতের অংশ হিউমাস, আলনা, মেটাকার্পাল ও ফেলাঞ্জেস, কারপাল স্টানাম, রিবোস, টিবিয়া, ফিবুলা, মাথার খুলির স্কাল ও ভার্টিকাল কলামের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাদের এই চাহিদার সুযোগকে কাজে লাগিয়েছে দিনাজপুরের চোরাকারবারিরা। তারা রাতের আঁধারে কবর খুঁড়ে মানুষের কঙ্কাল ও হাড়-হাড্ডি তুলে আনার জন্য স্থানীয় চিহ্নিত চোরদের নিয়োগ করেছে। মাদকাসক্ত বাবাকে ছেলে ও ছেলেকে পুলিশে দিলেন বাবা স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ মাদকজোন হিসেবে পরিচিত গোদাগাড়ীতে এবার পৃথক ঘটনায় হেরোইন আসক্ত বাবাকে তার ছেলে ও মাদকাসক্ত ছেলেকে তার বাবা পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন। পরে তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়। পুলিশ জানায়, উপজেলার হাবাসপুর গ্রামের নাসিম হোসেন তার মাদকাসক্ত বাবা খাইরুল ইসলামকে এবং সুলতানগঞ্জ জাহানাবাদ গ্রামের রফিকুল ইসলাম তার ছেলে সিরাজুল ইসলামকে পুলিশে সোপর্দ করেন। তারা অভিযোগ করেন, মাদকাসক্ত হয়ে তারা বাড়িতে অশান্তি সৃষ্টি করে চলছিলেন। অনেক চেষ্টা করেও তাদের মাদকের করাল গ্রাস থেকে মুক্ত করা যাচ্ছিল না। বাধ্য হয়ে তাদের পুলিশের সোপর্দ করা হয়েছে।
×