অনলাইন রিপোর্টার ॥ ফৌজদারি আইনের ৫৪ ধারা এবং ১৬৭ ধারা সংশোধন সংক্রান্ত উচ্চ আদালতের রায় প্রত্যেককে মেনে চলতে হবে। যদি ৫৪ ধারার অপব্যবহারে কোনো অপরাধ হয়, তবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্টদের বিচার করা হবে’। মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
এর আগে সকালে পরোয়ানা ছাড়া ৫৪ ধারায় গ্রেফতার এবং রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ সংক্রান্ত ১৬৭ ধারা সংশোধনে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সরকারের করা আপিল খারিজ করে এ রায় দেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।
৫৪ ধারায় বিনা পরোয়ানায় পুলিশ গ্রেফতার করে মানুষকে হয়রানি করে, এমন ক্ষেত্রে কী হবে- জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সদস্য ৫৪ ধারার অপব্যবহার করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সর্বোচ্চ আদালতের রায় প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রায় মেনেই চলতে হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, পুলিশ কিভাবে অ্যারেস্ট করবে এবং কাদের অ্যারেস্ট করতে পারবে ৫৪ ও ১৬৭ ধারায় সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। প্রতিটি বিষয় ফৌজদারি কার্যবিধিতে লেখা আছে। মন্ত্রী বলেন, সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছেন সেখানে আমাদের আর বলার কিছু নেই। সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো।
এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, ৫৪ ধারার বাইরে আমরা কিছু করতে পারি না। ৫৪ ধারার বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশনা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা এলে আমরা দেখতে পারবো, কোথায় আমাদের ঘাটতি হচ্ছে। সেটা আমরা দেখে ব্যবস্থা নেবো।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সাদা পোশাকে কাউকে গ্রেফতারের সময় আপনারা দেখেছেন, এসবি লেখা থাকে, ডিবি লেখা থাকে, র্যাব লেখা থাকে,পুলিশ লেখা থাকে, কোটও থাকে। যখন তারা কাজে যান, কোটটা গায়ে পরেই যান। সাংবাদিক শফিক রেহমানকে সাংবাদিক পরিচয়ে গ্রেফতার প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাকে গ্রেফতার করেছে। বাহিনীর প্রধান তার পরিচয় দিয়েই তাকে (শফিক রেহমানকে) গ্রেফতার করেন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: